ভূত
ভূতের রাজা দীপঙ্কর, বাস ছিলো তার তেপান্তর সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার।
শ্মাশান ঘাটের ভিতর থাকতো সে এক মন্দিরে আপন-স্বজন কেউ ছিলো না তার।
দৈর্ঘ্যে এক তালগাছ, প্রস্থে যেনো বটগাছ যেনো এক ছোটো-খাটো পর্বত গোঁফ ছিলো তার পাঁচ মণ, চুল ছিলো তার তিনগুণ দাঁতগুলো এক একটি ইমারত।
চোখ দুটো জ্বলতো, কান দু'দুটো নড়তো
নিতো সে ঝড়ো হাওয়া নিঃশ্বাস,
পেটটাতো ভুঁড়িসার, উঠে নামে বারবার
ক্ষণিকেই হারাতো সে বিশ্বাস।
পথ দিয়ে চললো, দেহখানি দুলতো হাত দিয়ে থাপরাতো পেটটা ঝঝম্ শব্দে পথ চলতো রাত্রে মানুষ ধরতে চালাতো সে চেষ্টা।
অমাবস্যার রাতটায় ক্ষেপে গেলো ভূতটা সেই রাতে দিলো এক হুংকার, জেগে উঠে লোকজন ধরিলো ভূতের চরণ তার পরে পেলো সবে নিস্তার।
This is a premium post.