Posts

পোস্ট

ব্লাডি মেরি

October 15, 2025

safa

Original Author সাফা জান্নাহ

59
View

"ব্লাডি মেরি" (Bloody Mary) নামে পরিচিত রানীটি হলেন ইংল্যান্ডের প্রথম মেরি (Mary I of England), যিনি মেরি টিউডর (Mary Tudor)নামেও পরিচিত। তিনি টিউডর রাজবংশের সদস্য ছিলেন এবং ১৫৫৩ থেকে ১৫৫৮ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের রানী ছিলেন। তাঁর জন্ম হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৫১৬, গ্রিনউইচ, ইংল্যান্ড। তাঁর পিতা রাজা অষ্টম হেনরি (King Henry VIII)।এবং মা  রানী ক্যাথরিন অফ আরাগন (Catherine of Aragon), যিনি ছিলেন স্পেনের ক্যাথলিক রাজকুমারী। মেরি ছিলেন তাদের একমাত্র জীবিত সন্তান।

মেরি তাঁর মায়ের প্রভাবে একজন রোমান ক্যাথলিক হিসেবে অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ হয়ে ওঠেন।

তাঁর বাবা রাজা অষ্টম হেনরি যখন ক্যাথরিন অফ আরাগনকে তালাক দিয়ে অ্যান বোলেনকে বিয়ে করেন এবং রোমান ক্যাথলিক চার্চ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে চার্চ অফ ইংল্যান্ড (প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্ম) প্রতিষ্ঠা করেন, তখন মেরি প্রচণ্ড মানসিক কষ্টের মধ্যে পড়েন। 

হেনরি মেরিকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং রাজকুমারী পদ থেকে সরিয়ে দেন। এর ফলে মেরি তাঁর বাবা এবং প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মের প্রতি ক্ষুব্ধ হন।১৫৪৭ সালে অষ্টম হেনরির মৃত্যুর পর মেরির সৎভাই, প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মাবলম্বী ষষ্ঠ এডওয়ার্ড (Edward VI)সিংহাসনে বসেন।

ষষ্ঠ এডওয়ার্ডেরমৃত্যুর পর (১৫৫৩ সালে), মেরি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লেডি জেন গ্রে-কে পরাজিত করে ইংল্যান্ডেররানী হিসাবে সিংহাসন আরোহণ করেন। তিনিই ছিলেন ইংল্যান্ডেরপ্রথম নারী শাসক (Queen Regnant)।

রানী হওয়ার পর মেরি ক্যাথলিক ধর্মকে পুনরায় ইংল্যান্ডেররাজধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেন।

তিনি প্রোটেস্ট্যান্টদের উপর ব্যাপক নিপীড়ন শুরু করেন এবং যারা ক্যাথলিক ধর্মে ফিরে যেতে রাজি হননি, তাদের ধর্মদ্রোহী (heretics) হিসেবে গণ্য করে কঠোর শাস্তি দেন।

তাঁর পাঁচ বছরের শাসনামলে (১৫৫৩-১৫৫৮) প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি প্রোটেস্ট্যান্টকে আগুনে পুড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসে 'মেরিয়ান পারসিকিউশন' বা 'মেরিয়ান নিপীড়ন' নামে পরিচিত।

এই নিষ্ঠুরতার কারণেই তাঁর প্রোটেস্ট্যান্টবিরোধীরা নিন্দার্থে তাঁকে "ব্লাডি মেরি" (রক্তাক্ত মেরি) নামে ডাকতে শুরু করেন, যে নামটি ইতিহাসে কুখ্যাতি লাভ করেছে।

তিনি স্পেনের যুবরাজ ফিলিপকে (পরবর্তীকালে রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ) বিয়ে করেন, যা ইংরেজ জনগণের মধ্যে অজনপ্রিয় ছিল।

তিনি দু'বার গর্ভবতী হয়েছেন বলে বিশ্বাস করতেন, কিন্তু সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি (চিকিৎসা বিজ্ঞান একে 'ফলস প্রেগনেন্সি' বলে)

সন্তানহীনতা এবং স্বামীর অবহেলায় তিনি হতাশায় ভোগেন। কুইন মেরির শাসনকাল (Queen Mary এর শাসনকাল) স্কটল্যান্ডের জন্য বেশ অশান্ত এবং রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল ছিল, যেখানে তিনি ছোটবেলায় সিংহাসনে বসেন এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। তার শাসনকালে ইংরেজি আগ্রাসন ঘটেছিল, যা স্কটল্যান্ডকে সামরিকভাবে দখল করে নেয় এবং ফ্রান্সের সাথে তার জোটকে আরও শক্তিশালী করে। এই সমস্যাগুলো তার রাজত্বকে চিহ্নিত করে। ১৫৫৪ সালে তিনি স্পেনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপকে বিয়ে করেন, যা ইংরেজদের মধ্যে খুবই অপছন্দনীয় ছিল। কারণ, তারা আশঙ্কা করেছিল যে এর মাধ্যমে ইংল্যান্ড স্পেনের প্রভাবাধীন হয়ে পড়বে। এই বিয়ের বিরুদ্ধে জন উইয়াটের নেতৃত্বে একটি বিদ্রোহ হয়। মেরি কঠোর হাতে তা দমন করেন এবং এর পরিণতিতে লেডি জেন গ্রে-কে (যিনি কিছুদিনের জন্য সিংহাসনে বসেছিলেন) মৃত্যুদণ্ড দেন।

মাত্র ৪২ বছর বয়সে ১৫৫৮ সালে তিনি মারা যান এবং তার সৎ বোন প্রথম এলিজাবেথ সিংহাসনে বসেন, যিনি ইংল্যান্ডে প্রটেস্ট্যান্ট ধর্মকে আবার প্রতিষ্ঠিত করেন।সব মিলিয়ে, রানি মেরির রাজত্বকাল ছিল ধর্মীয় বিভাজন, রাজনৈতিক সংকট এবং কঠোর নিপীড়নের জন্য উল্লেখযোগ্য। তার মৃত্যুর পর ইংল্যান্ড আবার প্রটেস্ট্যান্ট দেশে পরিণত হয়।

মেরির মৃত্যুর পর তাঁর সৎবোন প্রথম এলিজাবেথ (Elizabeth

Comments

    Please login to post comment. Login