কাউকে ভালোবাসলে এমন নিখুঁতভাবে ভালোবাসুন যেন কোন খাদ না থাকে, তার হৃদয় এমনভাবে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন যেন সে হৃদয়ে অন্য কোন কিছু প্রবেশ করতে না পারে
আপনি যাকে ভালোবাসেন হোক না সে খারাপ ,, বা ভালো,,,,
ভালো মানুষ হলে তো কোন কথাই নেই,
ভালো মানুষকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়ায় যায়।
খারাপ হলেও দোষের কি? আপনি তাকে ভালো তো বাসেন,,
ভালোবাসা কখনো দোষ গুণ বিচার করে হয় না,, দোষ গুণ নিয়েই মানুষ, তার দোষ গুলো বাদ দিয়ে যদি কোন একটিমাত্র গুণ থেকে থাকে তাহলে, সেটিকেই ভালোবাসুন,,
তার জীবনে এমনভাবে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন ,, যেন সে তার জীবনটাকে একেবারে বদলে ফেলে,,
হ্যাঁ মানুষ কিন্তু বদলায় কারনে অকারণে,, অবহেলায়, অযত্নে, আবার ভালোবাসায় ,
একাগ্র ভালোবাসা কিন্তু একজন অমানুষকেও মানুষে পরিণত করে।
কিন্তু সেই ভালোবাসার মাঝে থাকতে হবে ধৈর্য্য আর একাগ্রতা।
আপনার ভালোবাসার মানুষটির হৃদয় যদি ভালবাসায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে তাহলে খারাপ কিছু বা তৃতীয় কোন ব্যক্তি তার জীবনে প্রবেশ করতে পারবে না ,
ভালোবাসার কিন্তু আবার অপর পীঠ ও আছে,,,
তা হলো যত্ন,
ঠিক মুদ্রার মতো, একটি মুদ্রার দুই পাশে দুই ধরনের ছবি থাকলেও মানের দিক থেকে কিন্তু দুটোই সমান,
ঠিক তেমনি ভালোবাসা আর যত্ন দুটি শব্দ যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
শব্দ দুটি আলাদা হলেও অর্থ কিন্তু একই।
ভালোবাসা থাকলেই মন থেকে যত্ন আসে,
আর যেখানে যত্ন আছে সেখানে ভালোবাসা অমলিন।
ধরুন,,,,,,
আপনি একসময় একটা মানুষকে অনেক বেশি ভালোবাসলেন, ভালোবাসার পাহাড় বানিয়ে ফেললেন তার জীবনে অথচ মানুষটিকে কাছে পাবার পর সবকিছু ভুলে তাকে অবহেলা আর অযত্ন করা শুরু করলেন,এই অবহেলায় অযত্নে ভালোবাসার পাহাড় এক সময় ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যেতে শুরু করে, ক্ষয়ে যেতে যেতে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না , অবশিষ্ট থাকে শুধু অবহেলা।
আসলে,,,,,
অবহেলায় অযত্নে ভালোবাসা এক সময় হারিয়ে যায়, ফিকে হয়ে যায় মানুষের জীবন, তখন মানুষের জীবন পরিনত হয় নরকে।
যত্ন ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ জীবন যেন স্বর্গের সমান।