এই নিঃশব্দ সন্ধ্যায়
দেয়ালের ঘড়িটা থেমে আছে
এক সেকেন্ডের মতো পুরোনো ক্লান্তিতে
ওই যে জানালার পাশে, আলোছায়ার ফাঁকে
চুপচাপ বসে আছেন—
তিনি আমার বাবা।
মাথার কাছে কুঁচকে থাকা বালিশ
তার ওপরে জমে থাকা ঘাম,
আর এক পাশে রাখা পুরোনো রেডিও
যেন প্রতিটি যন্ত্রই
তার মতো ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
বাইরে ছাদের ওপর পায়চারি করছে বাতাস
আলগোছে জানালা কাঁপছে
কিন্তু তিনি শুনছেন অন্য কোনো শব্দ
অন্য কোনো সুর
যা কেবল ক্লান্ত মানুষরাই শুনতে পায়।
আমি দেখছি,
বাবার চুলের ভেতর দিয়ে
আলোর শেষ দানা গলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
সম্ভবত এভাবেই একদিন
সব বাবা নিঃশব্দে পরিণত হন
সন্ধ্যার এক একটা দীর্ঘশ্বাসে।