Posts

গল্প

ফেরিঘাটের সেই মেয়েটি।

October 21, 2025

Shafin pro

111
View

আমরা তিন বন্ধু ভাই ভাই ফেরিঘাট আসছিলাম। ফেরি একটু দেরি হলো আমরা সবাই চায়ের দোকানে বসলাম। চা খেতে খেতে ফেরি এপারে চলে আসলো। ফেরি থেকে সব গাড়ি বাইক উঠার পরে আমরা আবার পুনরায় দিয়ে সামনে উঠে গেলাম। আমরা এবার ফেরির সামনেই আছি। ফেরিতৈ গাড়ি ফিলাপ হয়ে গেল। আমরা তিন বন্ধু ফেরির সামনেই দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। ধীরে ধীরে ঘাটে এসে পৌঁছলে। রঙ্গ করলো দড়ি বেঁধে দিল চতুর্দিকে । এর ভিতরে আমাদের বাইকের পিছনেই একটা বাস দাঁড়ানো ছিল । হঠাৎ করে একটি মেয়ের দিকে আমার লক্ষ্য চোখ লক্ষ্য পুড়ে যাবে। দেখছি মেয়েটি আমাকে ডাকছে। আমি ভাবলাম হয়তো আমাকে না অন্য কেউ। আমি আর তার সামনের দিকে এগুলোর না। কিছুক্ষণ পরেই দেখি মেয়েটি গাড়ি থেকে নেমে আসলো। এখন দেখছি আমার দিকেই চলে আসতেছে। আমি একটু বিচলিত হলাম। কারন আমি তো তাকে কোন ব্যাট কমেন্ট করি নাই। কিন্তু সে আমার দিকে ধেয়ে আসছে কেন। এদিকে ফেরিওর ডালা ওনামাতে শুরু করল। আর কিছুক্ষণ পরে আসলে তো আমরা ফেরি থেকে বের হতে পার তাম। মেয়েটি আমার সামনে এসে অনুনয়-বিনা শুরু করল। আমি হতবাক হয়ে গেলাম। সে আমাকে তুমি করে বলতেছে। অথচ সে আমার বয়সে ছোট। সে সময় আমাদের দেশে বাইকের শেয়ার করার প্রচলন ছিল না। আমাকে বলল এই তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন তাড়াতাড়ি উঠ। আমার দুই বন্ধু অবাক হয়েছে রইল। মেয়েটি দেখতে এতই সুন্দর যে চাইলে চোখ ফেরানোর কারোই সম্ভব না। আমার বন্ধু দুইটি লাফিয়ে লাফিয়ে মেয়েটর কথা শুনতে ছিল। মেয়েটি বলল তাড়াতাড়ি চলো আমি শহরে যাব কেনাকাটা রয়েছে। তারমানে সে আমাকে এই কথার বলার অর্থ হলো এই যে। ফেরি চতুর্দিকে মানুষ দাঁড়ানো। আমার বন্ধু দুটি আমার চাইতেও লম্বা ছিল। বন্ধু দুটি হঠাৎ করে বলল। যা বন্ধু তাড়াতাড়ি যা। ভাবির কাজ পড়ে আছে। পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম যে ওখানে কোন সামথিং রং আছে। যে ব্যাপার দুটি আমার বন্ধু দুটি খেয়াল করেছে। তাই ওরা আমাকে ওকে নিয়ে চলে যেতে বল। না হলে সেখানে হয়তো একটা গন্ডগোল পাকাতে। তখন অবশ্য আমার বন্ধু দুটি বিয়ে করে ফেলেছে। শুধু আমি করিনি। চিনতে করতে করতে এর ভিতরেই বাইকগুলো সামনের শাড়িগুলো সব ফেরিত দিয়ে উঠে গেল। এখন আমার পালা ভেবে না চিনতে আমি নিজেও বলে ফেললাম ওঠো। মেয়েটি হঠাৎ চট করে উঠে গেল। আমি বাইকটি স্টার্ট দিয়ে ফেরি থেকে উঠে গেলাম। বন্ধু দুটি আমাকে ইশারা দিয়ে বলল আমি যেন ওকে আমাদের এলাকায় নিয়ে আসি সে সময়কার যুগে মোবাইলটি এত নেটওয়ার্ক পাওয়া যেত না। তাই ওদের সাথে আমি আর ফোনে কিছু বলতে পারলাম না। ফেরি থেকে চলে আসলাম রাস্তা থেকে রাস্তায় যে মেয়েটি এত হাসি খুশি দেখছিলাম এখন দেখি সে চুপ হয়ে গেছে। আমি ভাবতে লাগলাম। আমার বাসায় তো বিয়ের জন্য প্রেশার দিতেই আছে। যদি সে রাজি হয় তাহলে তাকে নিয়েই বাসায় চলে যাবে। আমি এর ভিতরে এগোতে তার সাথে কথা শুরু করলাম। সে আমার তিনটি কথার একটি জবাব দেয়। আমাকে একটু দ্রুত লঞ্চ ঘাট নিয়ে চলেন মেয়েটি বলল। তখন আমি ভাবলাম যে মেয়েটির পারিবারিক কোনো সমস্যা হয়েছে। তাই কাছাকাছি আসতে লঞ্চঘাটের রাস্তা নিলাম। লঞ্চঘাট আসতেই আমাকে বললেন আমার সাথে তাড়াতাড়ি আসুন। বাইকটি লঞ্চের রেখে লঞ্চের দিকে এগুতে শুরু করলাম। লঞ্চঘাটেসেখানে সমস্ত লোকই আমার পরিচিত। সবাই আমাকে ডাকাডাকি করছিল। তারপরও আমি তার সাথে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি একটি ছেলে ব্যাগ নিয়ে হাতে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটি খুব বুদ্ধিমান মনে হল। আমরাএতক্ষন কত কিছুই না ভেবেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হলো। আমি দেখেই বুঝলাম যে লটকা কেশ আমি আর ভালো মন্দ কিছু জিজ্ঞেস না করে। নিজেকে সামলে নিলাম। কারণ আমি সেখানে বসে কিছু একটা উ করলে। ঘাটের সকল পোলাপান পিছনে এসে দাঁড়াবে। মেয়েটি বুদ্ধিমান ছিল। তাই ছেলেটির সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিল। ছেলেটি তখন আমাকে খুব অনুনয় বিনিনাই করি ধন্যবাদ জানাল। তাই মেয়েটি বলল যদি আমি আপনার ভাইকে তখন না উঠি তাহলে এলাকার পোলাপান আমাকে ধরে নিয়ে যায়। মেয়েটি বলল আমি গাড়িতে বসে বুঝতে পারলাম আমি যদি আপনার সাহায্য নেই তাহলেই আমি এখান থেকে বের হতে পারব। তাই আমি আপনার আশ্রয় নিয়েছি এভাবে ভঙ্গিমা করেছি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি ডাইনে বামে তাকিয়ে দেখি কোন পরিচিত লোক আছে কিনা। দেখলাম ঘাটে সবাইর কাজে সবাই ব্যস্ত আমি ওদেরকে দ্রুত লঞ্চে উঠিয়ে দিয়ে টেবিলে বসিয়ে দিলাম। এবং বলে দিলাম তোমরা সুখী হও। আমি আমার বন্ধুদের কাছে আমি ফিরে গেলাম। কিন্তু ফেরিঘাট গেলে আজও আমার সে কথা মনে পড়ে।

Comments

    Please login to post comment. Login

  • Shafin pro 1 month ago

    লেখার জন্য আরো উৎসাহিত করলে আরো গল্প লিখতে পারে