এক মোড়লের দুি মেয়ে ছিল।এক মেয়ের নাম মায়া,আর এক মেয়ের নাম লীলা।মায়ার মা মায়ার জন্মের পর মারা যায়।মায়া দেখতে অতটা সুন্দর ছিল না।কিন্তু মায়া অনেক গুণবতী ছিল। আর লীলা মোড়লের দ্বিতীয় মেয়ে ছিল। মায়ার মা, মারা যাওয়ার পর লীলার মাকে বিয়ে করে ছিলেন মোড়ল। লীলা ছিলেন অনেক সুন্দর,কিন্তু মনটা ছিল অনেক কুৎসিত ও অহংকারী।লীলার মা মায়াকে কখনো পছন্দ করতেন না। তাকে দিয়ে বাড়ির সমস্ত কাজ করা তো। একটু ভুল হলে মায়াকে অনেক কথা শুনতে হতো, সারাক্ষণ মায়াকে খারাপ খারাপ ভাষায় বকাবকি করতো।একদিন মোড়ল
বাড়িতে না থাকায় মায়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার সৎ মা। সারাদিন এখানে সেখানে ঘুরে এক মহিষের খামারের পাশে বসে থাকে সারাদিন,কোন কিছুই খাইনি।তাই মহিষগুলো মায়াকে ডেকে নেয় বলে আমার ঘরটা গুছিয়ে পরিস্কার করে দে, আমাদের গোসল করে দে।মায়া তাই করল,মহিষগুলো খুশি হয়ে মায়াকে অনেক দূধ দিল,মায়া পেটভরে দুধ খেল, বাকি দুধ বাড়ীর জন্য নিল।যাওয়ার পথে এক বুড়ি ডাকলো মায়া এদিকে আয়, মায়া বুড়ির কাছে গেল।বলল কি হয়েছে বুড়িমা? বুড়ি বলল আমার শরীরে অনেক ব্যাথা আমার পাগুলো টিপে দে তো, মায়া বুড়ির পা টিপে দিলো বুড়ির সমস্ত ব্যথা চলে গেল,বুড়ি খুশি হয়ে মায়া কে বলল ঐ ঘরের দেখ অনেক বাক্স আছে।তুই একটা বাক্স নিয়ে যা।মায়া ঐ রুমে গিয়ে দেখল অনেক বাক্স,সেখান থেকে সবচেয়ে যেটা ছোট বাক্স তা নিল। বাড়িতে নিয়ে দেখে সে বাক্সে ভর্তি সোনা গহনা আরো কত কি।। তাই দেখে মায়ার সৎ মা খুশি হয় এগুলো নেয়ার জন্য মায়াকে ঘরে থাকতে দেয়।
এবার লীলার মা লীলা কে বলে তুই তো কিছুই পারিস না দেখ মায়া কত কিছু নিয়ে এসেছে তুই যা মায়ার সাথে মিল দিয়ে সবকিছু জেনে নে।তারপর তুই গিয়ে আরো বেশি করে নিয়ে আসবি।তাই এবার লীলা মায়ার সাথে অনেক ভালো ভালো কথা বলে মিল দেয়, মায়া তাকে অনেক বিশ্বাস করে সব কিছুই বলে দেয়।
এবারে লীলা মহিষের খামারে গিয়ে বসে কান্না করতে থাকে,মহিষ ডেকে বলে এই মেয়ে এদিকে আয়, তোর কি হয়েছে? লীলা বলে আমার মা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।আমি সারাদিন কিছুই খাইনি। আমাকে দুধ খেতে দাও। মহিষ বলে তুমি আমার ঘরটা পরিষ্কার করে আমাদের গোসল করিয়ে দাও তো মেয়ে। লীলা বলে আমার খিদে পেয়েছে আমি অত সব পারবো না। মহিষ রাগ করে লীলাকে এক লাথি মারলো লীলা গিয়ে বুড়ির ঘরের সামনে পরলো।
বুড়ি বলল কে এসেছিস মায়া নাগো আমি লীলা, বুড়ি বলল আয় এদিকে আয়।দেতো লীলা আমার পাগুলো একটু টিপে,লীলা মুখ বাকিয়ে বলল আমি অতসব পারিনা।আমি কেন তোর পা টিপে দিব?দে আমাকে একটা সোনার মোহরের বাক্স দে তো বুড়ি, বললো বুড়িও তাই,দাড়া-যা ঘরে গিয়ে দেখ বাক্স আছে, যা নিয়ে যা।লীলা ঘরে গিয়ে দেখে অনেক বাক্স, সেখান থেকে যেটি সবচেয়ে বড়,সেই বাক্সটি নিয়ে গেল বাড়িতে। মাকে দেখালো মা তো মহা খুশি বাক্স দেখে, অনেক সোনার মোহর এনেছে, তাই খুশিতে মা ও মেয়ে বাক্স খুলল, বেরিয়ে এলো বড় বড় সাপ, যা মা-মেয়েকে কামড়ে খেয়ে চলে গেল।
বলা হয় -রুপে কি আসে,গুনে হয় কীর্তিমান।