#তুই_শুধু_আমার
পর্ব : ০২
লেখক জহিরুল ইসলাম আসিফ
রাইসা আমার মাথা টা টিপে দে তো। প্রচুর মাথা ব্যথা করছে।
আসিফের এমন কথা শুনে রাইসা মনে মনে বলে
ফাজিল বেডা বলে কি। রাত বাজে ১ টা আর বেডা বলে মাথা টিপে দিতে। ফাজিল, বদমাইশ, ইতর, বজ্জাত
আমাকে গলি দিয়া শেষ হলে এসে মাথা টিপা শুরু কর।
আমি যে ও কে গালি দিচ্ছি তা ফাজিল টা বুঝলো কি করে ?
তুই কি আসবি ?
না। আমি পারবো না ভাইয়া। আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে আমি এখন,,,
বাকিটুকু উচ্চারণ করতে পারে না রাইসা। কারণ বাকিটুকু উচ্চারণ করার আগেই রাইসার চোখ পড়ে আসিফের উপর। আসিফ রক্তিম চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে যা দেখে রাইসা শুকনো ঢোঁক গিলে।
কি জানি বললি তুই ?
কককই কিছু বলিনি তো। তুমি শুয়ে পড়ো আমি আসছি।
এই কথা বলে রাইসা বেডের দিকে এগিয়ে গিয়ে আসিফের মাথার কাছে বসে আসিফের মাথা টিপতে থাকে। রাইসার বিরক্তি মাখা মুখ টা দেখে আসিফ চোখ বন্ধ করে ফেলে। কারণ আর কিছুক্ষণ যদি রাইসার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে তাহলে আসিফ আর হাসি আটকাতে পারবে না।
রাইসা মাথা টিপছে আর আসিফ কে গালি দিচ্ছে। তা আসিফ বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে। কিছুক্ষণ পর আসিফ বলে,
আমি ঘুমিয়ে গেলে তুই গিয়ে সোফায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বি কেমন ?
সোফায় কেনো ভাইয়া ? বেডে কি হয়েছে। তাছাড়া তোমার বেড টা তো বেশ বড়,,
বাকিটুকু বলার আগেই আসিফ বলে,
থাপ্পড়ের কথা ভুলে গেছিস না কি ?
রাইসা গালে হাত দিয়ে বলে।
না।
তাহলে আর একটা ও কথা না বলে মাথা টিপতে থাক।
এই কথা বলে আসিফ আবার চোখ বন্ধ করে ফেলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আসিফ ঘুমিয়ে পড়ে। অপরদিকে রাইসা এখনো আসিফের মাথা টিপে যাচ্ছে। মাথা টিপতে টিপতে রাইসার হাত ব্যাথা হয়ে যায়। ফলে মাথা টিপা বাদ দিয়ে সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়ে।
পরিচয়
আসিফ হচ্ছে এই গল্পের নায়ক। আসিফের ফুল নাম হচ্ছে আব্রাহান আসিফ। পরিবারের বড় সন্তান। পেশায় একজন পাইলট। বয়স ২৭ হলে ও দেখতে ২৪ বছরের যুবকের মত। আসিফ দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা, লম্বা ৫ ফুট ৯ ইন্ধি, চুল গুলো তেমন বড় না মাঝারি সাইজের। জিম করা সিক্সে ফেক। হালকা চাপ দাঁড়ি রাখায় আসিফ কে আরো বেশি হ্যান্ডসাম লাগে।
অপরদিকে রাইসা হচ্ছে পরিবারের একমাত্র মেয়ে। বয়স ১৬ ক্লাস ১০ এ পড়ে। দেখতে ফর্সা, ৫ ফিট লাম্বা। চুল গুলো প্রায় হাঁটু পর্যন্ত লম্বা। চোখ দুটো হরিণের মতো বড় বড়। চোখ দুটো এতটাই সুন্দর যে, যে কেউ প্রথম দেখায় প্রেমে পড়তে বাধ্য.
&
পরের দিন সকালে রাইসার আগে আসিফের ঘুম ভেঙ্গে যায়। বেড থেকে উঠে বসতেই আসিফের চোখ পড়ে রাইসার উপর। রাইসার ঘুমন্ত মুখ খানা দেখে আসিফের অজান্তেই আসিফের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
ঘুমের মধ্যে কত কিউট লাগছে পিচ্ছি টা কে। লাল টুকটুকে স্টেব্রেরি একদম। ইচ্ছে করতো টুপ করে খেলে ফেলি।
কি খাওয়ার কথা বলছো ভাইয়া ?
তোকে বলতে হবে সব।
এই কথা বলে আসিফ ফ্রেশ হতে চলে যায়। আসিফ বের হয়ে আসলে রাইসা যায়। রাইসা ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে আসিফ রুমে নাই তাঁর মানে আসিফ নিচে চলে গেছে। তাই রাইসা ও নিচে চলে যায়। নিচে গিয়ে দেখে আসিফ খাবার খাচ্ছে যা দেখে রাইসা মনে মনে বলে
ফাজিল টা একা একা এসেই খেতে বসে পড়ছে। বৌ টা কে সাথে নিয়ে এসে খেলে কি এমন হতো।
আসিফের মায়ের কথায় রাইসার ভাবনার সুতা টান পড়ে
রাইসা ওই খানে দাঁড়িয়ে থাকবি না কি খেতে আসবি।
আসছি আন্টি।
এই কথা বলে রাইসা আসিফের সামনের চিয়ার টাই বসে। যা দেখে আসিফ উঠে চলে যায়। আসিফ কে চলে যেতে দেখে আসিফের মা রুমা বলে
কিরে না খেয়ে কোথায় যাচ্ছিস ? পুরোটা খেয়ে তারপর যা।
আমার পেট ভরে গেছে আর খেতে পারবো না।
এই কথা বলে আসিফ রুমে চলে যায়।
রাইসা ও খাবার খেয়ে রুমে চলে যায়। রুমে গিয়ে দেখে আসিস কার সাথে ফোনে কথা বলছে। রাইসা চুপচাপ দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনতে থাকে,
ধন্যবাদ দিতে হবে না।
এই কথা বলে আসিফ ফোন টা কেটে দেয়। আসিফ ফোন কেটে দেওয়ার পর রাইসা আসিফ কে উদ্দেশ্য করে বলে
কার সাথে কথা বলছিলা ভাইয়া ?
রাইধার সাথে।
ওর সাথে কিসের কথা ?
তুই জেনে কি করবি ? ছোট ছোটর মতো থাক।
এই কথা বলে আসিফ রুম থেকে বের হয়ে যায়। আসিফ চলে যাওয়ার পর রাইসা ভাবতে থাকে
ভাইয়া রাইদার সাথে ফোনে কথা বলে কেনো ? তাছাড়া বিয়ের দিন রাইদা আমাকে আর ভাইয়া কে ধন্যবাদ ও দিলো। ঝামেলা আছে মনে হচ্ছে। দেখতে হচ্ছে তো ব্যাপারটা
এই কথা বলে রাইসা আবার নিচে চলে যায়। নিচে গিয়ে আন্টির সাথে কাজে টুকটাক হেল্প করতে থাকে
&&
দুপুর ১২ টার দিকে আসিফ বাসায় ফিরে। আসিফ কে বাসায় ফিরতে দেখে আসিফের পিছু পিছু রাইসা রুমে চলে যায়। আসিফ গোসলে যাওয়ার সাথে সাথে রাইসা আসিফের ফোন টা খুঁজতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে এক পর্যায়ে পেয়ে ও যায়। ফোন টা অন করে দেখে নামের পাসওয়ার্ড দেওয়া
পাসওয়ার্ড কি হতে পারে?
এই কথা বলে রাইসা একবার বড় হাতের অক্ষরে আসিফের নাম লিখে। তাঁর পর ছোট হাতের অক্ষরে লিখে।
খুলছে না তো। ফাজিল টা কি পাসওয়ার্ড দিলো। মানুষ টা যেমন কঠিন পাসওয়ার্ড ও দিছে তেমন কঠিন।
এই কথা বলে রাইসা ফোন টা জায়গা মতো রেখে বেডে শুয়ে পড়ে। আসিফ বের হয়ে দেখে রাইসা বেডে হাত পা মেলে শুয়ে আছে। যা দেখে আসিফ বলে উঠে,
আমার হাতে থাপ্পড় খেতে তোর অনেক ভালো লাগে তাই না ?
আসিফের কন্ঠ শুনে বেড থেকে উঠে রাইসা এক দৌড়ে রুমের বাইরে চলে যায়। যা দেখে আসিফ মুচকি হাসে।
#চলবে
( ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ )