এই নে ডিভোর্স পেপার সই করে মুক্তি দে আমার আয়ুব কে,
ঠোঁটে মেকি হাসি ও হাতে ডিভোর্স পেপার হাতে নিশা কে আপাদমস্তক উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখল ঈশা, তার সামনে তাকেই তার স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য বলছে,
আচ্ছা তার কি এখন কেঁদে কটুকুটি করা উচিত,
নিজের ভাবনা ভাবতেই সে ক্ষণিক অবাক হল ,
মার....মার..মারবি তো উফ্.... কিসব বা/ল ছালে দের নিয়ে গেম খেলছি..মার শা/লা কে পাশের সোফায় বসে ফ্রি ফায়ার গেম নিয়ে ব্যস্ত, যেন গেম নয় যুদ্ধ করছে,
তার দেখে আবার বিরক্ত হল ঈশা, কেন এই লোকের দিকে তাকাতে গেল...?
কিসের জন্য তাকালো...?
সে তো অন্য দিকে তাকালেও পারত...
যাকে নিয়ে তার এত ভাবনা সে ভাবলেশহীন হয়ে গেম খেলায় ব্যস্ত,
কোনো ধ্যান নেই তার দিকে তেছড়া নজরে তাকিয়ে আছে কেউ...,
সে তার গেম নিয়ে ব্যস্ত, এমনকি নিশার ডিভোর্স পেপার দেওয়া তে তার কোনো ভাবান্তর দেখা গেল না,
ড্রয়িং রুমের বাতাস ক্রমশ ভারী হচ্ছে,কারর মুখে যা নেই যেন সবাই মনঃব্রত পালন করছে, নিরবতা ভেঙে ঈশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পেপার হাতে নিয়ে বলল, কোথায় সই করতে হবে,
খুশির ঝিলিক দেখা গেল নিশার বএিশ পাটি খুলে হেসে প্রতুওর করল আমি জানতাম আমার বোন নিজের বড়ো আপু খুশি বেছে নেবে, বলে পেপার টা এগিয়ে দিল ঈশার দিকে, পাশের সোফায় বসল আয়ুবের ,
খুশিতে গদগদে হয়ে আয়ুবের কাঁধ ঝাঁকিয়ে বললো দেখলে আয়ুব , তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছিলে যে ঈশা ডিভোর্স এর জন্য রাজি হবে কিনা দেখলে ঠিক মেনে নিল,
একটু ঈশা কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল আফটার অল আমিই তো আইয়ুবের ফাস্ট্ লাভ....
আর প্রথম প্রেম কি ভোলা যায় নাকি, আয়ুব ও ভুলতে পারি তাই তো আমার কাছে ফিরে আসতে চা.....ই
কথাটা মুখের মধ্যে আটকে আসলো যেন নিশার..
আমি কিছু ভুল বললাম নাকি..... আয়ুবের রক্তলাল চোখের তেছড়া নজরে তার কথায় তাল বেঁকেছে,কারন এটা তার অজানা নয় আয়ুব বেপরোয়া, উগ্ৰ,হলেও মারাত্মক রাগের অধিকারী,
এইভাবে তাকাতে দেখে শুকনো এক ঢোক গিলল নিশা,
মূলত রাত জাগার ফলে তার চোখের এই অবস্থা,কাল প্রায় রাত একটার পর ফ্লাটে ফিরেছে সে, তারপর বসে বসে তার অতি প্রিয় ফ্রি ফায়ার গেম খেলছে,
নিজেও ঘুমায়নি ঈশার ঘুমের সর্বনাশ করেছে ,,বেচারা ঈশা সারাদিন হসপিটাল কাজ সেরে ফিরে শান্তিতে
ঘুমাতে পারেনি খাটাশ টার জন্য,
ঘুমাতে গেলেই আধঘণ্টা পর পর কফি দে কফি দে করেছে,
তার উপর সকাল সকাল মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উপস্থিত হয়েছে নিশা আবার ডিভোর্স পেপার হাতে নিয়ে, তার উপর আয়ুবের গা ছাড়া ভাব যেন এখানে কি হচ্ছে এসবে তার কোনো ভাবান্তর নেই,সব মিলিয়ে অতিরিক্ত রাগ লাগছে ঈশা তার সকাল সকাল হসপিটাল যাওয়ার ছিল , এখন লেট হচ্ছে তার,
এত কিছু ভাবনার মাঝে গম্ভীর স্বরে তার ঘ্যান চুত্য হল
আবার মানুষটির উচ্চারণ করা বাক্য তার মেজাজ বিগরে দিল,
আয়ুব: বেগম আপনার স্বামী ক্ষুদার জ্বালায় পীড়িত হচ্ছে আপনার সেই দিকে কোনো ভাবান্তর নেই ,এটা কিন্তু ঠিক মেনে নেয়া যায়না নোপ নোপ;দুই দিকে মাথা নাড়িয়ে,
ঈশা অবাকের শেষ পর্যায়ে রয়েছে তার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল, কিহ এখন আপনি খাবেন?
আয়ুব,আমার জানা মতে এখন ব্রেকফাস্ট টাইম ।
ঈশা; হম,কিন্তূ
এক তো সকাল সকাল আপনার বোন আমার শখের ঘুমের সর্বনাশ করেছে তারপর থেকেই মোরগের মত কোঁকড়াচ্ছে,
নিশা নাক্যা স্বরে বলল কি আমি মোরগের মত কোঁকড়াচ্ছি,
কোনো জবাবদিহি না করে রুমে প্রবেশ করবার জন্য
অগ্রসর হল ঈশা কে তেছড়া চোখের নজরি রেখে বলল অনলি" ফিফটিন মিনিটস ইউ হ্যাভ, আমি অফিসে বের হব তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট রেডি চাই,
আর একটাও বাক্য খরচ না করে রুমে চলে গেল
Continue
#বৃষ্টিভেজা_প্রহর
#লেখিকা Ma_Ya
সূচনা
Published Popy