Posts

গল্প

আড়ালে_প্রণয়িনী

October 24, 2025

Anu Popy

Original Author সিমতি_আক্তার_মিম

148
View

“আজকে রাতের মধ্যে এই মেয়েটাকে আমার চাই। কিভাবে আনবি আমি জানিনা, কিন্তু আমার এই মেয়েটাকে চাই।”
রিভান চৌধুরী কয়েকটা ছবি গার্ড দের উদ্দেশ্য ছুড়ে দিয়ে কথাটা বলল। ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠেছে অদ্ভুত বাঁকা হাসি। চেয়ারে গাঁ এলিয়ে দিয়ে দুইহাত দুইদিকে ছড়িয়ে দিয়ে ঘাড়টা কাত করে তাকালো কালো পোশাকধারী গার্ড গুলোর দিকে।ওর তাকানোতে গার্ড গুলো ভয়ে কাঁপতে লাগলো। রিভান তা দেখে বাঁকা হেসে বলল,

“রিলাক্স, এতো ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি। তবে যদি রাতে মেয়েটাকে আমার বেডরুমে না পাই তাহলে তোদের লাশ আমি আমার প্রিয় রোমিও কে দিয়ে খাওয়াবো।”

গার্ড গুলো মাথা নিচে করে কুর্নিশ জানিয়ে চলে গেলো। রিভান বিড়বিড় করে বলল,

“যাকে একবার আমার চোখে ধরে সে কখনো আমার কাছ থেকে মুক্তি পায়না।”.

রিভান কথাটা বলে হিংস্র নীলাভ চোখদুটো মেলে সামনের ল্যাপটপ টার দিকে নজর দিলো। কিছুক্ষন পরে ওষ্ঠে শয়তানি হাসি ফুটে উঠলো। তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ালো রিভান। উদ্দেশ্য এবার ভিন্ন কিছু।

__________

চেয়ারে পা তুলে আয়েসী ভঙ্গিতে বসে আছে রিভান। ওর সামনে দুজন লোক হাতজোড় করে বসে আছে। প্রাণের ভয়ে দুজন কাঁপছে। একরকম মৃত্যু ওদের সামনে বসে আছে। রিভান একটা সিগারেট ধরালো যেটা চারিদিকে ধোঁয়া ছাড়ছে। গুমোট, আবদ্ধ একটা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। রিভান দুই আমি আঙুলের ফাঁকে সিগারেট চেপে ঘাড়টা ওপর হাতের সাহায্য ডলে সামনে থাকা লোকদুটোর উদ্দেশ্য বলল,

“তোদের সাহস দেখে অবাক হচ্ছি আমি, আমার ডেরায় ঢুকে আমার ওপর হামলা করার সাহস কিভাবে হলো তোদের?”

লোকদুটো তোতলা কণ্ঠে বলতে চাইলো। কিন্তু সেই ধৈর্য রিভানের হলো না। ওর চোখে খুনের নেশা চেপেছে। এক্ষুনি এদের মেরে ফেলতে চাইলো। অন্ধকার কক্ষ, আশেপাশের থেকে উটকো, পচা ভ্যাপসা গন্ধ ভেসে উঠছে। কোনো সাধারণ মানুষ হয়তো এই আবদ্ধ জায়গায় থাকতে পারবে না। রিভান একটা ধারালো ছুরি বের করলো। বেশ ধারালো ছুরিটা। রিভান লোকগুলো কে কামুক চোখে দেখলো। ইতিমধ্যেই লোকদুটোর প্রাণপাখি ভয়ে উড়ে গেছে। কিন্তু একটা শব্দ বের করার সাহস পাচ্ছে না।রিভান এবার ছুরিটা লোকগুলোর গলায় চেপে ধরে সজোরে টান মেরে দিলো। ছিটকে এসে তাজা রক্ত রিভানের মুখে পড়লো। রিভান চোখদুটো বন্ধ করে নিলো। তাজা রক্তের ঘ্রান নিলো। যেন কোনো নেশালো দ্রব্য সেবন করছে।কাজটা শেষ হতেই ওর পিএ রাতুল দৌড়ে আসলো। রিভান গাঁয়ের ওভার কোর্টটা খুলে ওর হাতে দিলো। এক্ষুনি শাওয়ার নিতে হবে।

____________

বিছানায় এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে এক রমণী
গাঁয়ে তার লাল শাড়ি। চুলগুলো বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মেয়েটার জ্ঞান নেই। সফেদ রঙা বিছানায় শয়িত রমণী অজ্ঞাত। একটু আগে তাকে ধরে আনা হয়েছে এই সিক্রেট প্যালেসে

হটাৎ একটা জুতোর শব্দ সমস্ত নিস্তব্ধতা কেটে দিলো। সেখানে জমা হলো এক অজানা ভয় আর আতঙ্ক। মৃদু আলোয় রুমটা জ্বলজ্বল করছে। লাস্যময়ী নারীর রূপের ঝলকানি রুমটাকে আরও আলোকিত করে তুলছে।

ধীরে ধীরে আগন্তুক এগিয়ে আসলো রমণীর দিকে, আগন্তুক অদ্ভুত দৃষ্টিতে মেয়েটার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে দৃষ্টি দিচ্ছে।যেন মেপে নিচ্ছে নারী শরীরের সমস্ত অংশ। লোকটা এবার একটা সিগারেট ধরালো। নেশালো দৃষ্টিতে মেয়েটার পায়ের কাছে বসলো। ফর্সা পা গুলো ওকে আরও উত্তেজিত করে তুলছে। ক্রমাগত নিজেকে নিয়ন্ত্রণহীন লাগছে। ঠোঁট থেকে সিগারেট এনে মেয়েটার পায়ে চেপে ধরলো। মুহূর্তে ফর্সা পায়ের একটা জায়গা কালচে বর্ণ ধারণ করলো। লোকটা বেশ মজা পেলো এতে। এবার চোখ গেলো মেয়েটার ফর্সা ঢেউ খেলানো উন্মুক্ত কোমরে। নেশার ধাপ কয়েক গুন বেড়ে গেলো। সিগারেট ফেলে হাতটা রাখলো কোমরে। কোমরে একটা কালো তিল জ্বলজ্বল করছে।লোকটা ঠোঁট এগিয়ে নিয়ে সেখানে নিজের দাঁত বসিয়ে কামড়ে দিলো, নেশাক্ত, মাতালের মতো বলল,

“উমমম টেস্টি, আই লাইক ইট।”

এদিকে জোরে কামড় দেওয়ার জন্য মেয়েটার জ্ঞান ফিরে আসলো। চোখ মেলে নিজের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করতে লাগলো। বুঝতে পারলো ও কারো ঘরে আছে। কিন্তু এটা কার ঘর? তৎক্ষণাৎ নাকে একটা ভোটকা গন্ধ আসলো। সামনে তাকাতে অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো। ওর সাথে কোনো পুরুষ।রিভান অপ্রতিভ, নিভানো দৃষ্টি স্থির করে রেখেছে ওর বাঁকানো শরীরের ভাঁজে। মেয়েটার ভিতরে এক অজানা ঘৃণা কিরবির করে উঠলো। গুলিয়ে আসতে লাগলো। এ কোথায় এসে পড়লো ও?

এদিকে রিভান তখন একটা ঘোরের মধ্যে বিরাজ করছে। গাঁয়ের ব্ল্যাক শার্টটা এলোমেলো, এবড়োথেবড়ো হয়ে আছে। সাথে বুঁকের কাছের তিনটে বোতাম খোলা। উন্মুক্ত পুরুষালি লোমশ বুকটা তাতে দৃশ্যমান চোখের দ্বারে। মেয়েটা নিজের শাড়ি সামলে উঠে বসলো। হয়তো  এখান থেকে পালাতে চাইছে। কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব? রিভানের সাম্রাজ্যের ভিতরে একবার কেউ প্রবেশ করলে হয়তো তার লাশ বের হয় আর নয়তো সারাজীবন তাকে ওর দাসত্ব স্বীকার করতে হয়।

মেয়েটা ভয়ার্ত, কুন্ঠিত দৃষ্টি ফেলে ধাতব দরজার দিকে এগিয়ে যেতে চাইলো কিন্তু যেইনা দরজা ডিঙিয়ে যাবে তার আগেই দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলো। মেয়েটা ভয়ে চিৎকার করতে লাগলো। রিভান কপাল স্লাইড করতে করতে মুখে চু চু শব্দ তুলে বলল,

“আমার অনুমতি ছাড়া এই ঘরের বাইরে পা ফেলতে পারবে না তুমি ডার্লিং। এই পুরো প্যালেস টা আমার পার্সোনাল সিকিউরিটি এর আওতায়। “

মেয়েটা এবার কিছুটা উচ্চ শব্দে চিৎকার করে বলল,
“আমাকে এখানে কেন ধরে এনেছেন? কি উদ্দেশ্য আপনার?”
রিভান এবার মেয়েটার একদম কাছাকাছি এসে দাঁড়ালো। মুহূর্তে মেয়েটার নাসারন্ধ্রে একটা ম্যানলি ঘ্রান এসে বাড়ি খেলো। লোকটা গাঁয়ে বিশেষ চন্দন কাঠের সুগন্ধি মাখে মনে হয়। যেকোনো নারী এই মন মাতানো সুগন্ধে বশ হতে বাধ্য। রিভান বাঁকা হেসে নারী শরীরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ গুলো পরখ করলো। সাথে সাথে গাঁ টা হিম হয়ে আসলো মেয়েটার। একটু পিছিয়ে গেলো, পুরোটা পারলো কই 
তার আগেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো দরজা। মেয়েটার শরীর একদম মিশে গেলো দরজার সাথে। ভয়ে তটস্থ জুবুথুবু শরীর। রিভান একটা হাত মেয়েটার পাশে রেখে ঝুকে পড়লো মেয়েটার আকর্ষিত মুখের ওপর। মেয়েটা দুচোখে একদম খিচে বন্ধ করে নিলো।ওপর মানুষটার তুখোড়, প্রলম্বীত শ্বাস প্রস্বাস মুখের ওপর সমুদ্রের ঢেউ এর ন্যায় আছড়ে পড়ছে। রিভান আরও ঝুকে এলো, প্যান্টের পকেট থেকে রিভলবার বের করে মেয়েটার উন্মুক্ত কোমরে গুঁজে রেখে বলল,

“আপাতত আমার একটাই উদ্দেশ্য সেটা হলো তোমার গাঁয়ের সমস্ত ঘ্রান শুষে নেওয়া। তোমার মাঝে আমার বন্ধিত সত্ত্বাকে লুকিয়ে ফেলা। আই ব্যাডলি নিড ইউ”শ্বেতশুভ্রা”।

মেয়েটার মেয়েলি সত্তা টের পেলো তার সাথে কিছু খারাপ অযাচিত ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। এই সাইকো লোকটা ওকে কিভাবে চিনে? ওকে কেন এখানে আনলো, নানান প্রশ্ন ওর মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো।

রিভান রিভলবার টা আরও জোরে চেপে ধরলো ওর কোমরে। মেয়েটা কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে বলল,
“আমার সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করবেন না। একদম খুঁন করে ফেলবো।”
রিভান বাঁকা, অনাবৃত হাসি দিয়ে বলল,
“আমি যদি এখন এই বদ্ধ ঘরে তোমাকে চেপে ধরি, তাহলে তো তুমি এক সপ্তাহ বেড থেকে নামতে পারবে না।”
তরুলতা নাক কুঁচকে বলল,
“ছি, আপনি এতো জঘন্য।
“একটা এডাল্টিক চুমু খাবো শুধু, আপাতত অন্য কাজকর্ম বাকি থাক। “
তরু লাজে, ঘৃনায় মুখ ঘুরিয়ে নিলো। রিভান বন্দুকটা পকেটে ঢুকিয়ে তরুর শ্বেতশুভ্র ফুলের ন্যায় ঠোঁটেদুটো আঁকড়ে ধরলো। শুধু চুমুই খাচ্ছে না সাথে সেখানে দানবীয়, ক্ষতবিক্ষত কামড় বসিয়ে দিচ্ছে। তরুর নিঃশাস অচল, নিস্তেজ হয়ে আসছে। কিন্তু বিপরীতে থাকা মানুষটার মধ্যে থামার কোনো ইচ্ছে নেই। এক পর্যায়ে চুমুর ভার সইতে না পেরে তরু জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।

       ★★★

হাসপাতালে তরুকে কোলে করে দ্রুতবেগে আসলো রিভান। শরীর ঘেমে গেছে একপ্রকার, তবুও কোলে ছোট্ট শরীরটাকে নিজের সাথে চেপে ধরে রেখেছে। মেয়েটার ওপর ওর প্রচুর রাগ হচ্ছে। সাধ করে একটু চুমু খেতে গেছিলো কিন্তু এই ইউসলেজ মেয়েটা সামান্য চুমুর ভার ও নিতে পারে না। ঠিক বিশ মিনিটের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।

রিভান ডক্টর এর কাছে এসে তরুকে দেখিয়ে বলল,

“এই ডক্টর এর কি হয়েছে দেখুন তো। সেই কখন জ্ঞান হারিয়েছে এখনো ফিরছে না কেন?”

মধ্যবয়স্ক ডাক্তার তীক্ষ্ণ চোখে রিভানের কোলে থাকা লাল শাড়ি পরিহিতা মেয়েটার দিকে তাকালো। কিছু একটা ভেবে ওকে বেডে শুইয়ে দিতে বলল। রিভান ওকে বেডে শুইয়ে দিলো। ডক্টর ওর পালস চেক করে গম্ভীর মুখে বলল,

“কে হয় উনি আপনার?”
রিভান বোধহয় বিরক্ত হলো। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“আমার না হওয়া ইউজলেস বউ।”
ডক্টর থত মত খেলো। এটা আবার কেমন কথা? বউ তো বউ হয়। না হওয়া মানে কি বোঝাতে চাচ্ছে। ডক্টর তরুর দিকে তাকিয়ে রিভানকে বলল,

“ওনার পালস রেট তো কমে গেছে, কি করেছেন আপনি ওনার সাথে?”
রিভান ভ্রু কুঁচকে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল,
“চুমু খাচ্ছিলাম, হটাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে।”
“কত সময় নিয়েছিলেন?
“মাত্র বিশ মিনিট”
ডক্টর এবার কটমট করে বললেন,
“আপনাকে দেখে তো পাক্কা খিলাড়ি মনে হচ্ছে তো হাঁফ সেঞ্চুরি না করে মাঠ ছাড়লেন কেন?”

রিভান এবার সংযম হারালো। ক্রমশঃ ওর ভিতরে অগ্নিরূপ বেরিয়ে আসছে। ডক্টর এর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে বলল,
“আমি কি জিনিস সেটা বেঁচে থাকলে দেখতে পারবি, আগে ওকে ঠিক করে দে।”
ডক্টর ভয়ার্ত কণ্ঠে আমতা আমতা করে বলল,
“”উনি এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। একটু পরেই ওনার জ্ঞান ফিরে আসবে, চিন্তা করবেন না।”
“ওর জ্ঞান না ফিরলে তোর জীবন আমি চিন্তায় ফেলে দেবো।”
ডক্টর দুজন নার্স ডেকে তাঁদের তরুর পাশে রেখে ওকে দেখতে বলে চলে গেলো। তিনি এই মুহূর্তে কোনো ভুল করতে চাইছেন না। বলা যায়না এই মাফিয়া আবার তার মাথায় বন্দুক তুলে দেবে। তারচেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো।

নার্স দুজন এসে আড়চোখে একবার রিভানের দিকে তাকালো। মুখটা রসগোল্লা হয়ে গেলো। কাজ ফেলে ধ্যান মেরে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো। রিভান ওতো খেয়াল করেনি, ও উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে জ্ঞান ফেরার। নার্স এর মধ্যে একজন আরেকজন কে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
“লোকটা কত হ্যান্ডসাম দেখছিস? হায় আমার জামাই যদি এরকম চকোলেটে ফ্লেভার হতো আমি নির্ঘাত কামড়ে খেয়ে ফেলতাম। “

ওপরজন বলল,
“ইস, তোর জন্য এতো সুন্দর ছেলে জুটবে না ওটা আমার জন্য।”
দুজন হিংসা চোখে দুজনের দিকে তাকালো। রিভান ফিরে ওদের অঙ্গভঙ্গি লক্ষ্য করে বিরক্ত স্বরে ধমক দিয়ে বলল,
“এই মেয়ে তোমাদের ওকে দেখতে বলা হয়েছে না? তোমরা এখানে খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন?”

নার্স রিমি বলল,
“আপনি কি বিবাহিত স্যার?”
রিভান রাগী দৃষ্টিতে তাকালো, অমনি রিমি ভয় পেলো। সরে আসলো। রিভান একটা জরুরি কল আসায় একটু বাইরে গেলো। ও বাইরে যেতেই তরু চোখ খুললে। এতক্ষন মটকা মেরে ইচ্ছে করে পড়ে ছিলো। ও চাইছিলো কখন রিভান বাইরে যায়। তরু ঝটপট উঠে বসলো। নার্সাদুটো এসে ওকে ভালো মন্দ কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করলো। তরু ওদের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আচমকা প্রশ্ন করলো,

“তোমাদের ওনাকে পছন্দ হয়েছে?”
নার্স দুটো বেশ লজ্জায় পড়ে গেলো। কিন্তু রিমি চটপট বলল,

“আমার না ওনাকে অনেক পছন্দ হয়েছে। ওনার ঠোঁটেদুটো দেখেছো একদম কোরিয়ান ফ্লেভার চকোলেটে এর মতো।”

রিমি লজ্জা পাওয়ার ভান ধরলো। তরু যেন সুযোগ পেলো। তন্মন্ধ জানালার দিকে নজর পড়তেই দেখলো সেখানে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হচ্ছে। ওর মাথায় একটা চমৎকার বুদ্ধি আসলো।নার্স দুটোকে কাছে ডাকলো। ওরা চুপিচুপি এগিয়ে আসলো। তরু ওদের বলল,

“তোমরা কি ওনাকে চাও?
মীরা না বলল। কিন্তু রিমি বলল,
“আমি চাই। কিন্তু কিভাবে পাবো।”
তরু এবার শয়তানি হাসি দিয়ে বলল,
“তুমি আমাকে পঞ্চাশ টাকা দিবে আর আমি তোমাকে ওনাকে দেবো। ডিল ইজ ডিল ওকে?”
“কিন্তু উনি কি মাত্র পঞ্চাশ টাকায় বিক্রি হতে রাজি হবেন?
তরু মাছি তাড়ানোর মতো হাত নেড়ে বলল,
“আরে পঞ্চাশ টাকা তো অনেক বেশ টাকা। ওনার দাম তো দশ টাকারও কম।”
রিমি বলদের মতো হেসে পঞ্চাশ টাকা দিলো। তরু ভিতরে ভিতরে হেসে হেসে মরে যাচ্ছে। ইশ বদমাইশ ব্যাটা আমাকে চুমু খাওয়া এবার বোঝ ঠেলা। তরু পঞ্চাশ টাকা নিয়ে ছুটে বাইরে গেলো। উঁকি দিয়ে দেখলো রিভান আছে কি না। স্বস্তির নিঃশাস ফেলল, নাহ বদমাইশ লোকটা নেই।তরু এই সুযোগে ছুটে গেলো হাওয়াই মিঠাই খেতে। এটা ওর ফেভরিট খাবার। ইভান ওকে সবসময়ে এনে দিতো। কিন্তু এখন ওর কাছে কোনো টাকা নেই টাই ওই বদমাইশ নামের জামাই কে বেঁচে এটা খেতে হবে। তরু হেলেদুলে দোকানের দিকে চলল।

এদিকে রিভান কেবিনে এসে দেখলো………

#আড়ালে_প্রণয়িনী 
#সিমতি_আক্তার_মিম 
সূচনা_পর্ব

এলার্ট :গল্পটা রোমান্টিক +ফানি টাইপের হবে, যাদের ভালো লাগবে না এড়িয়ে যাবেন।

প্রথম পর্ব কেমন লাগলো বলবেন।

Comments

    Please login to post comment. Login