(দ্বিতীয় খন্ড) লঞ্চ থেকে নেমে আসলাম আমরা সবাই। নিচে আসতে দেখি বড় মামা সেজো মামা এবং তার সাথে অন্যান্য লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। আমরা এখন নৌকায় চড়ে নানাবাড়ির উদ্দেশ্যে বড় মামার সাথে চলে যাব। তবে বড় মামা নাও যেতে পারে সেজো মামা থাকতে পারে আমাদের সাথে। লঞ্চের সিঁড়ি উঠিয়ে নিল। লঞ্চের সবাই বড় মামাকে হাত নাড়িয়ে দিয়ে। লঞ্চের সবাই লঞ্চ পিছনের দিকে নদীর ভিতরে চলে গেল। সবাই তাকে বলতেছিল চেয়ারম্যান সাহেব বিদায় চেয়ারম্যান সাহেব বিদায়। তবে বলা উচিত ছিল আমার বড় মামা তখনকার বর্তমান চেয়ারম্যান ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের। আমরা সবাই সামনে সামনে হাঁটছিলাম বাবা আমাদের সামনে। এরপরে বড় মামা বাবার পিছনে হাঁটতেছিল এবং দুলাভাই দুলাভাই বলে বিভিন্ন কথা বলতেছিল। যেহেতু আমার বড় মামা আমার আম্মার পরে খালা তারপর বড় মামার জন্ম তাই সে আমার আম্মার অনেক ছোট। এবং ইউনিয়ন কাউন্সিলের সংঘ বাঙ্গরা মামা পিছনে পিছনে হাটতেছিল। আমার বড় মামা ছিলেন অনেক উঁচু লম্বা তার শরীর স্বাস্থ্য এত চমৎকার ছিল যে সে খালি গায়ে বেশিরভাগ গ্রাম অঞ্চলের মানুষের সাথে মেলামেশা করত। তার জামা সব সময় কাজের উপরেই থাকতো। এটা আমরা বড় হয়ে বুঝতে পারলাম । যে এটা একটা বড় রাজনীতি। কারন তখনকার সময় অত পোশাক আশাক ছিলনা গ্রাম অঞ্চলে পড়ার চল। বেশিরভাগ মানুষের একটা গেঞ্জি গায়ে লুঙ্গি পরা চলাফেরা করতো হাটে বাজারে তাই তাই গ্রামের মানুষের সাথে মেলামেশা করতে হলে তারও জামা খুলে ওইভাবে গেঞ্জি গায়ে চলাফেরা করতে হত। আমি যখন নামাজ সাথে বিছনায় ঘুমাতে যেতাম নানা বাড়ি বসে। তখন সব সময় মামার হাতের শক্তি আমি জোরে জোরে ধর তাম । আমি বলতাম মামা আমারও এরকম হাতের মাছের হতে হবে । মামা বলল তুমি বড় হলে তোমারও ব্যায়াম করলে তোমার হাতের মাসল এরকম হবে। নৌকো ঘাটে লাগানো আছে। প্রথমে আম্মা নৌকায় উঠে গেল। তারপরে বাবা উঠল মামারা আমাদের ধরে শুরু করব। এবং মামার সাথের লোকজন আমাদের সব ব্যাগ লাকজ গুলো নৌকায় তুলে দিল। আমি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ধফট করে খালের ভিতরে পিচল খেয়ে পড়ে যায়। অমনি আমার সেজো মামা টানে টান দিয়ে উঠে ফেল। কিন্তু এর ভিতরেই আমার জামা কাপড় সব ভিজে যায়। পাছার পিছনে প্যান্টে কাদা লেগে যায়। আমি হু হু করে কি দেখিনি। নৌকায় উঠে আবার পুনরায় কাপড়চোপড় পড়ি। আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম সবার কাছে। পড়ার সময় সবাই একটু হেসে ফেলেছিল। বড় মামা বললেন ওতে কিছু যায় আসে না ও জীবনে অনেকেই পাছার খাবে। পাছার খেতে খেতেই দাঁড়াতে হবে । বড়মামা সেই কথাটি আজও মনে পড়ে যে সব কাজেই ভুল ত্রুটি হবে আবার সেখান থেকেই উঠে দাঁড়াতে হবে। ধীরে ধীরে আমরা সব নৌকার ভিতর চলে গেলাম। মাঝি মশাই বললেন। উকিল সাহেব আমরা কি এখন নৌকা ছেড়ে দেবো। বাবা বললেন হ্যাঁ ছেড়ে দিতে পারেন। বড় মামা বললেন। মাঝি ঠিকঠাকমতো চালিয়ে যেও। মাঝি মামা কে বলল। হ্যাঁ ঠিক আছে চেয়ারম্যান সাহেব। বললেন মাঝিকে আপনি বাড়ি থেকে খেয়ে আসবেন কিন্তু। আমি ইউনিয়ন কাউন্সিল এ আছি আপনি ইউনিয়ন কাউন্সিলে চলে আসবেন। বাবা বড় মামাকে বলল। কি চেয়ারম্যান তুই যাবে না আমাদের সাথে । বড় মামা বলল দুলাভাই আমার একটু কাজ আছে ইউনিয়ন পরিষদে একটা শার্লেসি আছে। বাবা বলল তাহলে তুমি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসো। রাতে একসাথে সবাই খাব। তবে আমাদের এখান থেকে নৌকায় যেতে যেতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগবে বাড়িতে যেতে। এখন নৌকার ভিতর আমি সেজো মামা বাবা আমার ছোট বোন আম্মা এরা নৌকাতে বাড়ি যাচ্ছি। মাঝির নৌকার বাসটি উঠিয়ে নিল। বাসটি দিয়ে খোঁজ দিয়ে খালের ভিতরে চলে গেল। এরপর বাসটি নৌকার উপরে থুয়ে দিয়ে। মাঝি একটি বৈঠা নিল । বৈঠাটা এমন ভারী যা আমি জাগাতে পারি না তবু হয় বৈঠাটি আমি একবার ধরে নিয়েছিলাম। মাঝি চালাতে শুরু করল বৈঠা দিয়ে। আমি মাঝির অপর প্রান্তের আরেকটি বইটা ছিল। আমি গিয়ে সেই বৈঠাটি ধরে। পিছন থেকে বৈঠাটি টানতে শুরু করলাম। মূলত এটাকে বলে দার টানা । আমি দারটানি আর হু করে হু করে ক শব্দ করি। আমার ছোট বোনটি আমার পাশে বসে। ও কিছুক্ষণ পরপর নদীর পানিতে হাত দিচ্ছি। নদী থেকে আমরা খালে চলে আসলাম। এখন মাঝি আমাকে বলল। মামা খালে দার টানার দরকার নেই। কারণ মাটিতে বাড়ি লাগদে পারে। বাবা ধমক দিয়ে বলল ওটা দিয়ে দাও। মা আমার ছোট বোনকে কয়েকবারই বলেছিল যে তুমি ভিতরে এসে বস নাসার বান্দা আমাকে ছেড়ে যাবে না। বোনটি খুব ভালো ও সব সময় আমার সবকিছু গুছিয়ে রাখে। ইভেন কি এখন পর্যন্ত ও আমার সকল খোঁজ খবর রাখে শ্বশুরবাড়ি থেকেও। খালি কিছুক্ষণ পরে একটি বাসের সাঁকো সামনে পড়ে । নৌকার ছাওনি বাঁশের মাথায় জোয়ারের পানির জন্য বেজে যাবে। তাই মাঝি বাঁশের ছাউনিতে উঠে। ধীরে ধীরে নৌকাটি আঁগাতে শুরু করলো। তখন সেজো মামা নৌকাটির বৈঠা ধরে রাখল। সাকোর মাঝখানের বাস দুটি উঠিয়ে দিল। সেজু মামা বৈঠাটি ঠেলে ঠেলে সাঁকোটি পার করে ফেলল। এইসব কাজগুলো যেকোনো লোক ধরলেই করতে পারে না কারণ আমি এর আগেও বাড়িতে গিয়ে দেখেছি যে নৌকার বৈঠা দিয়ে নৌকাবেএও সোজা যাওয়া যায় না। নৌকা ঘুরে যায়। এই কাজগুলো শুধু যাদের অভ্যাস আছে তারাই করতে পারে করতে। তাইলে সবাই করতে পারে না। আবার নৌকার মাঝি নৌকার বৈঠক চালানো শুরু করল । কিছুক্ষণ পরে একটা বড় বন্দরের মাল টানা নৌকা চলে এলো । নৌকার মাঝি ডাক দিয়ে বলল বাম সাই ড কিলিয়ার রাখুন। যেহেতু নৌকাটি অনেক বড় ছিল তাই দার গুলো উঠিয়ে নিলো। আমাদের নৌকাটি বড় নৌকার বাম পাশ দিয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেল। মাঝি আবার বৈঠা চালাতে শুরু করল। কতদূর চালানোর পর গিয়েই দেখে একটি বাঁশের ধার নিচু হয়ে পরে আছে। বাসের ঘাড়ের নিচে থেকে যাওয়াটা খুব কঠিন। যদি জোয়ারের পানি বেশি উঠে না যেতো। সেজো মামা নৌকার ছাউনিতে উঠে গেল। বাসের দলটি মামা জাগিয়ে দিয়েই ধীরে ধীরে নৌকাটি আগে নিল। আবার আমরা চলতে শুরু করলাম মাঝি বাইছে বানিয়েছে। মাঝে মাঝে একটু পান খুলে পান খায়। বাবা-মা নৌকার ভিতরে বসে মামার সাথে কথা বলতেছিল বড় মামার বিয়ে নিয়ে। বড় মামার বিয়েতে কিনা ধুমধাম হবে। সবাই চতুর্দিক দিয়ে বাড়িতে আসতেছে। এর ভিতরে সন্ধ্যা হয়ে গেল। কালো অন্ধকার নিমে আসলো। মাঝি নৌকা যে হারিকেন জালিয়ে দিল। নিভু করে। দুই সাইডের পর্দা আটকিয়ে দিল। যাতে করে মাঝি চালাতে সুবিধা হয়। কিছুদিন পরে চাঁদের আলো চতুর্দিকে ছড়িয়ে পরল। আলোগুলোতে নৌকা খালি পানি গুলো চিকচিৎ করছে। একটি মাছ ধুস করে লাফ দিয়ে নৌকার উপর পড়ে গেল। বাঝি অমনি পপত করে নৌকাটি উপরে মাছ টি হাত দিয়ে চেপ ধরল । আমরা দেখে খুব খুশি। তাড়াতাড়ি সে নৌকার পাটাতন উঠিয়ে। মাছটি পাটতন নিচে রেখে দিল। আমরা দেখে খুব ভালো অনুভব করলাম। মাছটি ছিল কাতল মা। এরকম আমি একবার নানা বাড়ির পুকুরে বরসি ফেল ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি একটি মাছ লেগে গেল। আমি এই প্রথমেই বড়শীতে মাছ ধরতে পেলাম। আমার সেরকমই এখন ওই নৌকার মাছটি দেখ খুব ভালো লাগে। আমরা এখন নানা বাড়ির বাজারের হাটের কাছে চলে আসলাম । বাবা বললেন মাঝি মশাই একটু বাজারের সাইট করুন। বাবা আর মামা হাতে নেমে গেল। আমি যাওয়ার জন্য খুব ইচ্ছা করলাম। বাবা নিষেধ করার সত্ত্বেও মামা পরে আমাকেসাথে নিয়ে গেল। বাজারে গিয়ে অনেক মিষ্টি কিনলাম বাবার সাথে বিভিন্ন রকমের বিস্কুট পান সুপারি কিনে কিনে নৌকার দিকে চলে এলাম। নৌকায় উঠে আবার মাঝি নৌকা চালাতে শুরু করেন। মিনিট দশের পরেই নানা বাড়ি ঘাটে এসে বসলাম। খাটে নৌকা লাগার সাথে সাথে বাড়িতে খবর চলে গেল। ছোট খালা বাড়ির অন্যান্য সবাই হৈচৈ করে নৌকার দিকে সবাই ছুটি হল। কিছুক্ষণ পরে দেখি নানি আসতেছে। আমার নানুএত সুন্দর ছিল যে অন্ধকারে সে জ্বলজ্বল। আমার নানা ঐ যুগে তাকে অনেক স্বর্ণ জায়গা জমি দিয়ে বিয়ে করতে হয়েছিল আমার নানীকে। আমরা ধীরে ধীরে সবাই উপরে উঠে গেলাম। বাবা আর মাকে নানু ধরে বাড়ির দিকে নিয়ে চলল। ব্যাগ মিষ্টি বাড়ির লোকজন ধরে ধরে সবাই বাড়ির ভিতরে চলে গেল। আমরা নানীর সাথে সবাই সামনের দিকে চললাম। (দ্বিতীয় খন্ডটি এখানে শেষ করতেছি।)
Comments
-
Shiuly Begum 1 month ago
গল্প লিখতে গিয়ে মামার বাড়ি কথা খুব মনে পড়ে গেল
-
Shafin pro 1 month ago
গল্পটি লিখতে গিয়ে আমার নানির খুব মনে মনে পড়ে গেল