বুকার প্রাইজ বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার। আগামী বছর নতুন একটি বুকার প্রাইজ আসছে। বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করেছে, তারা ২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চিলড্রেনস বুকার প্রাইজ’ চালু করবে এবং ২০২৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিলড্রেনস বুকার প্রাইজের মাধ্যমে ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য রচিত সেরা সমসাময়িক কথাসাহিত্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এটি বিশ্বজুড়ে লেখকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বিজ্ঞতিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব বই মূলত ইংরেজিতে লেখা হয়েছে বা ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৬ এর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোই এ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
বিচারক প্যানেলে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও থাকবে। যুক্তরাজ্যের বর্তমান চিলড্রেনস লরিয়েট লেখক ফ্র্যাঙ্ক কটরেল-বয়েস ২০২৭ সালের জন্য বিচারক প্যানেলের উদ্বোধনী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ‘মিলিয়নস’, ‘দ্য অ্যাস্টাউন্ডিং ব্রোকলি বয়’, ‘স্পুটনিকস গাইড টু লাইফ অন আর্থ’ এর মত জনপ্রিয় বইয়ের লেখক।
চিলড্রেনস বুকার প্রাইজ বিজয়ী ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ৬৭ হাজার ডলার) পাবেন। পুরস্কারের অর্থ লেখক, ইলাস্ট্রেটর এবং অনুবাদকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। এই পুরস্কারটি স্পন্সর করবে একেও ফাউন্ডেশন।
এদিকে বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী গ্যাবি উড নতুন পুরস্কারটি সম্পর্কে বলেন, এটি এমন একটি উদ্যোগ যা আরও বেশি শিশুদের বই পড়তে অনুপ্রাণিত করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে; আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মের পাঠক তৈরি হবে এবং আগামী দশকগুলোতে এর প্রভাব অনুভূত হবে।
উল্লেখ্য, ইংরেজিতে লেখা এবং যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত সেরা কথাসাহিত্যেকে প্রতি বছর বুকার প্রাইজ দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালে মর্যাদাবান এই পুরস্কারটি চালু হয়। ২০০৫ সালে বুকার ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ চালু করে, যা প্রথমে দ্বিবার্ষিকভাবে একজন লেখককে তাদের সমগ্র কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হত। তবে এখন ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় লেখা বইয়ের জন্য একজন লেখক এবং অনুবাদককে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।