✉️ চিঠিটা আজও ভিজে আছে — ৫ম পর্ব
শিরোনাম: “নতুন ভোরের চিঠি”
রাতের শেষ প্রহরে জানালার কাঁচে আবার টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে।
একসময় এই শব্দে বুক কেঁপে উঠত,
আজ শুধু নিঃশব্দে শুনি—
যেন প্রতিটি ফোঁটা বলে যাচ্ছে, “সবকিছুরই একদিন শেষ হয়…”
চিঠিটা আজও আমার টেবিলে আছে।
ভাঁজে ভাঁজে শুকনো অক্ষর, তবু মনে হয় ভিজে আছে কেমন যেন।
আমি আর কাঁদি না, শুধু মৃদু হাসি।
কারণ এখন বুঝেছি—
যে যায়, সে স্মৃতি রেখে যায়,
আর যে থাকে, সে স্মৃতি থেকে নিজের পথ খুঁজে নেয়।
কয়েক মাস আগে আমি একটা ছোট্ট বইয়ের দোকানে কাজ শুরু করেছি।
বৃষ্টি পড়লে জানালার ধারে বসে কফি খাই,
আর যারা বই নিতে আসে, তাদের মুখে খুঁজে দেখি জীবনের গল্প।
কেউ ভালোবাসে, কেউ হারায়,
কেউ আবার আমার মতোই চিঠির পাতায় বাঁচতে শেখে।
একদিন এক অচেনা মানুষ এলো।
হাসি দিয়ে বলল, “আপনার দোকানের নামটা সুন্দর— ভেজা চিঠি।”
আমি চমকে তাকালাম, তারপর ধীরে বললাম,
“হ্যাঁ, কিছু চিঠি কখনও শুকায় না…”
বাইরে তখন সূর্য উঠছে।
বৃষ্টির জল জানালা বেয়ে নামছে,
আর আমার ভেতরটা অবশেষে হালকা লাগছে।
পুরনো চিঠিটা এখন একটা ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখেছি—
স্মৃতি হিসেবে নয়,
বরং প্রমাণ হিসেবে—
যে, ভেজা কাগজ থেকেও নতুন সূর্য ওঠে একদিন। ☀️