‘হ্যাঁ।’
আর প্রশ্ন করলাম না। কিছুক্ষণ চুপচাপ আছি। শ্রাবস্তীও কিছু বলছে না। ভ্যানিটিব্যাগ থেকে আবার কী যেন বের করতে যাচ্ছে। মোবাইল বের করছে না তো! কেমন একটা ভয় পেলাম। হ্যাঁ ব্যাগ হাতড়িয়ে মোবাইলটাই বের করলো। আমি আমার পকেটের দিকে তাকালাম। কী করি! মোবাইলের মাথা বের হয়ে আছে। শ্রাবস্তী দেখেনি তো! শ্রাবস্তী যদি আমার নাম্বরে রিং করে! মানসম্মান সব একেবারে যাবে। আমার কপালে যে আজ কী আছে ঠিক বুঝতে পারছি না।
তাড়াতাড়ি উঠে একপাশে গিয়ে মোবাইলটা বন্ধ করে আসি। উঠতে যাবো, ওমনি সময় কিরিক-কিরিক শব্দ হলো। শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম। শ্রাবস্তী মায়াবী চাহনিতে কৌতূহলী ভঙ্গিমায় আমার পানে তাকিয়ে আছে। ওর হাতে মোবাইল।
ঘাবড়িয়ে গেছি পুরোদমে। জীবনে অনেক পরীক্ষা দিয়েছি হয়তো আজকের পরীক্ষায় আমি পরাজিত হতে যাচ্ছি। কোনো মেয়েই আমাকে হালকা ভাবতে পারেনি। আজ অল্প সময়ের পরিচিত শ্রাবস্তীর কাছে হয়তো হালকা হয়ে যাবো। শ্রাবস্তীর মোবাইলে ফোন করাটা আমার ঠিক হয়নি। বুঝতে পারছি, কিন্তু এখন বুঝে কী হবে!
আমার মোবাইলে ইনকামিং রিং টোন বেজে উঠেঠে। অন্যমনস্ক ভাব নিয়ে বললাম, ‘আপনার ফোন এসেছে, ব’লে উঠে চলে যাচ্ছি ওমনি মুহুর্তে মৃদু হাসি দিয়ে শ্রাবস্তী বললো, ‘আমার নয়, আপনার ফোন এসেছে।’
‘দিন। ব’লে শ্রাবস্তীর মোবাইলটা নিতে গেলাম। শ্রাবস্তী সাথে-সাথে বললো, ‘রিং বাজছে আপনার মোবাইলে।’
অযথা ভান করা আর হলো না। তবু বললাম, ‘আমার মোবাইল !’
‘আজ্ঞে হ্যাঁ।’
ইনকামিং মিউজিক থেমে গেছে।
‘কই এখন তো শব্দ হচ্ছে না।’
‘তাই না কি?’ ব’লে ওর মোবাইলে ডিজিট টিপতে লাগলো। আমার কেবল মনে হতে লাগলো, শ্রাবস্তী শুধু মোবাইলের ডিজিটই টিপছে না, ও যেন আমাকে দুমড়ে-মুচড়ে একাকার করে ছাড়বে। এতোদিন খুব ভালো ছিলাম মেয়েদের উপেক্ষা করে। বাঃ বাঃ মেয়েরাও যে ছেলেদের ঘোল খাওয়াতে পারে, তা আমার জানা ছিলো না। আজকের এই ঘটনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমার মোবাইলে আবার ইনকামিং রিং টোন বেজে উঠলো । শ্রাবস্তী কৌতূহলী ভঙ্গিমায় তাকিয়ে আছে তো আছেই, যেন চোখের পলক পড়ছে না। আমাকে অপমান করতেই যেন শ্রাবস্তীর এই সব কৌশল। আমি ওর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। একটু না হয় খেয়ালীপনায় ওর মোবাইলে মোবাইল করেছিলাম।
আচ্ছা আমিই মোবাইল করেছি কিনা, শ্রাবস্তী তা পরীক্ষা করছে না তো! ও বোধ হয় বুঝে ফেলেছে আমিই মোবাইল করেছি। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার সামনেই ফোন করছেÑ আমার মোবাইল নাম্বরে। আচ্ছা ও জানলে দোষটা কী ? না হয় আমি সত্য কথাটাই বলে দেবো। আপনার বলা নাম্বরটা ঠিক মনে আছে কিনা তাই দেখছিলাম। নিশ্চয় শ্রাবস্তী কিছু মনে করবে না। আর যদি কিছু বলে, যা কোনোদিন করিনি তা আজ করবো।
‘কী হলো এতো কী ভাবছেন ?’
একটু চমকে গিয়ে বললাম, ‘কই কিছু না তো।’
‘তাহলে কল রিসিভ করছেন না কেন ?’
বাধ্য হয়েই পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে, কানে দিতে যাবোÑআড় চোখে দেখি শ্রাবস্তী মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে কাকে যেন বলছে, ‘প্লিজ আপনার সাথে কথা আছে।’
শ্রাবস্তীর কণ্ঠ থেকে বের হওয়া শব্দগুলো সরাসরি কানে প্রবেশ করলে মনে হলো প্রচ- এক আবেদন। তখনও ওর মুখে কৌতূহলী হাসি। আমিও শ্রাবস্তীর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে মোবাইল কানের কাছে নিয়ে বললাম,
‘বলেন কী বলবেন ?’
আমাদের দু’জনের কণ্ঠস্বর মোবাইল বাদেই শুনতে পারছিলাম। যেন এক কান দিয়ে আমাদের নিজস্ব কণ্ঠস্বর প্রবেশ করছিলো, অন্য কানে মোবাইলের শব্দ। ভাবতে খুবই ভালো লাগছে।
শ্রাবস্তী একবার জিজ্ঞেস করলো, ‘না-মানে আপনার মোবাইল নাম্বরটা কত ?’
‘আপনার মোবাইলের মেমোরিতে একটু দৃষ্টি দিলেই জানতে পারবেন।’
শ্রাবস্তী আবার বললো, ‘আমাকে কি খুব খারাপ মেয়ে বলে মনে হচ্ছে ?’
আমি উল্টো প্রশ্ন করলাম, ‘আমাকে ?’
এবার কৌতূহলী স্বরে শ্রাবস্তী বললো, ‘প্রশ্নটা আমি আগে করেছি ?’
‘যদি হ্যাঁ, না অথবা দুটোই বলি!’
‘এটা তো উত্তর হলো না।
‘তবে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।’
শ্রাবস্তী বললো, ‘আপনি মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থান করছেন।’
‘তার মানে?’ আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি।
শ্রাবস্তী বললো, ‘ভালো ও খারাপ দুটোই।’
আহত স্বরে বললাম, ‘তাহলে রাখলাম।’
শ্রাবস্তী এবার অনুরোধের স্বরে বললো, ‘প্লিজ আর এক মিনিট, আমার ওপর রাগ করলেন ?’
‘আপনি তো আচ্ছা মেয়ে।’
‘কেন, আপনার কী করলাম?’
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম, ‘আপনাকে আমি বুঝতে পারছি না।’
‘আপনাকেও!’
‘তার মানে ?’
‘মানে আর কি, রাখি।’
‘এক মিনিট, আপনার মতলবটা কী বলেন তো ?’
শ্রাবস্তী লাইন কেটে দিলো, হয়তো আমার ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হলো। আমি একটা নিম্ন মানের শব্দ ব্যবহার করেছি মতলব। এক সুন্দরী মেয়ে উপযাচক হয়ে কথা বলছে, আমারই উচিৎ সময়টাকে যথাযতভাবে ব্যবহার করা, চুটিয়ে গল্প করা। তা না করে আমি ভাব দেখাচ্ছি। সুযোগ না কি জীবনে একবারই আসে। সেই সুযোগ আমি হাতছাড়া করছি। এই যে কত কিছু ভাবছি শ্রাবস্তী সম্পর্কে। হয়তো ঠিক, হয়তো না। খারাপ মন্তব্য করার মতো তেমন কিছুই শ্রাবস্তী করেনি। বরং আমিই করেছি।
শ্রাবস্তী জানালা দিয়ে কী যেন দেখছে। এক গুচ্ছ সমীরণ এসে শ্রাবস্তীর মাথার চুলগুলোর সাথে খেলা শুরু করেছে। মাঝে-মধ্যে শ্রাবস্তীর ধ্যান ভঙ্গ করার জন্যে সুন্দর মুখখানির উপর চুলগুলো পড়ছে। আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। শ্রাবস্তী বোধ হয় জানে আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকবো। হয়তো সেজন্য আমার দিকে ও তাকাচ্ছে না। আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে ওকে ভালোভাবে দেখার জন্য। মেয়েদের নাকি ঈশ্বর প্রদত্ত কী একটা শক্তি থাকে, যাতে ওরা সহজেই পুরুষকে বুঝতে পারে। আমার কথা না, শোনা কথা। আমার জায়গায় অন্য ছেলে থাকলে শ্রাবস্তীকে নির্জন এই কামরায় অপমান করার সাহস দেখাতো কিনা কে জানে! আমি একটু তলিয়ে দেখবো শ্রাবস্তীকে! একটু খারাপ ব্যবহার করলে কেমন হয়। শ্রাবস্তী সাহস আছে বুঝতে পারছি। একা-একা বাড়িতে ফিরছে। নির্জন এই ট্রেনের কামরায় এক যুবক অর্থাৎ আমার সাথে ভাব জমাতে চাচ্ছে। খারাপ প্রকৃতির মেয়েরা না কি ইচ্ছে করে এমন করে অনেক ছেলের সাথে। তবে শ্রাবস্তীকে ততটা খারাপ মনে হচ্ছে না। ভদ্রঘরের মেয়ে হয়তো, একটু চঞ্চলা। চুপ করে বসে থাকতে ভালো লাগছে না, তাই আমার সাথে কথা বলছে। শ্রাবস্তীও মানুষ চিনতে ভুল করেনি। ও হয়তো ভেবেছে আমি ওর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করবো না। আমি না কি মোটামুটি ভদ্র, তাছাড়া ওর মুখ থেকেই আমার সম্পর্কে উত্তর পেয়েছি যে; আমি না কি মধ্যবর্তী অবস্থানে আছি। ভাবতেই বেশ হাসি পাচ্ছে। বেশ কিছুক্ষণ সময় হলো শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকাচ্ছে না। কী জানি কী ভাবছে! আমি যেমন ভাবছি ওকে নিয়ে, ও কি ভাবছে আমাকে নিয়ে ? জীবনানন্দ দাশের বইটা এখনও শ্রাবস্তীর কোলের উপর। বইটা কি শ্রাবস্তীর কাছ থেকে চেয়ে দেখবো ? যদি না দেয়, তাহলে তো অপমান বোধ করবো। আর অপমানই বা কি। যদি না দেয় তাহলে এখান থেকে চলে যাবার সুবিধা হবে। আর চিন্তা করা নয়Ñ বলেই ফেললাম, ‘বইটা কি পড়ছেন ?’
শ্রাবস্তী বললো, ‘না, আপনি পড়বেন ?’
‘যদি দিতেন।’ শ্রাবস্তী আগ্রহ দেখিয়ে কোল থেকে বইটা নিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। আমিও হাত বাড়িয়ে দিয়ে বইটা নিতে গেলাম। চোখে-চোখ পড়লো। বুকের ভেতর কেমন জানি হলো।
শ্রাবস্তীর চোখে-চোখ পড়লেই কেমন এক বিদ্যুৎ চমকে যাচ্ছে বুকের ভেতর। শ্রাবস্তী আমার সাথে চমকপ্রদ ব্যবহার করছে। হয়তো যে কোনো ছেলের মাথা ঘুড়িয়ে দেবে। ক্রমান্বয়ে শ্রাবস্তীকে ভালো লাগছে আমার। আমাকে কেমন লাগছে শ্রাবস্তীর, কী জানি! শ্রাবস্তীর দিকে তাকাচ্ছি না। বই পড়ার প্রতি মনোযোগ দিয়েছি পুরোদমে। মাঝে দু’-একবার শ্রাবস্তীর পায়ের দিকে নজর পড়ছে। পায়ের নখে হালকা গোলাপী রঙের নেইল পলিশ দিয়েছে। হালকা বাদামী রঙের হিল পায়ে। আহা! কী সুন্দর দুটি পা।
বইয়ের অর্ধেক পড়া হয়েছে ভালো লাগছে। হঠাৎ মনে জাগলো শ্রাবস্তী কী করছে একটু দেখি। মনে আসা মাত্র তাকাতেই চোখে-চোখ পড়লো, মনে কৌতূহল জাগলো। ও মুখ ঘুরিয়ে নিলো। বুঝতে পারলাম শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। আমাকে দেখছিলো। আমাকে কেমন দেখা যাচ্ছে এ মুহুর্তে ? শ্রাবস্তীর আর এক স্বভাব আবিস্কার করলাম, চুরি করে দেখা। হয়তো সবারই আছে। আমারও আছে। আমি দেখেছিলাম শ্রাবস্তীকে। আসলে খুবই চালাক মেয়ে শ্রাবস্তী। হঠাৎ প্রশ্ন জেগে উঠলো মনে, শ্রাবস্তীকে বললাম, ‘আচ্ছা বইটা কি পড়া হয়ে গেছে আপনার ?’
শ্রাবস্তী মাথা নাড়িয়ে মায়াবী চোখের যাদু নিয়ে বললো, ‘না।’
‘ও।’
‘বইটা পড়তে কেমন লাগছে আপনার ?’
‘ভালোই।’
‘বইটা অর্ধেক পড়েছি আমি।’
একটু বিস্ময় স্বরে বললাম, ‘তাই নাকি!’
‘হ্যাঁ।’
‘আমারও তো অর্ধেক পড়া শেষ হলো।’
‘আমি বইটা অর্ধেক থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পড়েছি।’
হিসাব মিলছে না। আমি প্রথম থেকে বইয়ের অর্ধেক পড়েছি। শ্রাবস্তী অর্ধেক থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছে। এ কেমন কথা হলো। বই কি কেউ অর্ধেক থেকে শুরু করে পড়ে ? আর আমার যখন অর্ধেক পড়া হলো ঠিক তখনই শ্রাবস্তীও নিজের কথা বললো। শ্রাবস্তী অশরীরী কিছু না তো। ভাবতেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে উঠলো, আমার পছন্দের বই ওর কাছে কেন ? আমিই বা কিসের মোহে এখান থেকে সরে যেতে পারছি না। অদ্ভুত সব চিন্তা মাথার ভেতর দৌড়ঝাপ করতে শুরু করেছে।
শ্রাবস্তী বললো, ‘কী হলো, এতো কী ভাবছেন ?’
দিবা স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। ‘নাÑকী আর ভাববো।’ বলে শ্রাবস্তীর দিকে তাকালাম। শ্রাবস্তীর চোখ দুটো খুবই বুদ্ধিদীপ্ত। মনে হয় সব বুঝতে পারছে ও। আমিও এবার আগ্রহটা বাড়িয়ে দিই। ও যেন আসল ভাব বুঝতে না পারে।
বইটা বন্ধ করে বললাম, ‘ভালোই তো হলো।’
শ্রাবস্তী কৌতূহলী ভঙ্গিমায় বললো, ‘আবার কী হলো।’
‘আপনি প্রথমের অর্ধেকটা পড়েছেন, আমি শেষের অর্ধেকটা পড়া শেষ করলাম।’
‘ও , আমি মনে করেছি কী না কী।’
কী না কী মানে! শ্রাবস্তী কি অন্য কিছু ভাবছে ? কী ভাবতে পারে ? ইস! যদি অন্তর্জামী হতে পারতামÑতাহলে বুঝতে পারতাম। মানুষের মন যে বুঝতে পারে, সেই না কি মানুষের মধ্যে উত্তম। কয়টি মানুষ বুঝতে পারে অপর মানুষের মনের কথা! আমার বোধগম্য হচ্ছে না। শ্রাবস্তী কি ভাবছে আমি উত্তম মানুষ না ? আসলে আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ। শ্রাবস্তীকে বইটা ফেতর দিয়ে দিই। বইটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, ‘আপনার বইটা রাখুন।’
শ্রাবস্তী মৃদু হাসি দিয়ে বললো, ‘কেন, আর পড়বেন না?’
‘না, এই মুহুর্তে আর ভালোলাগছে না।’
শ্রাবস্তী বইটা আমার হাত থেতে নিয়ে নিলো। ও তো আর একবার অনুরোধ করতে পারতো। কেন এমন মনে হলো বুঝতে পারছি না।
‘তিলেখাজা খাবেন ?’
শ্রাবস্তী ব্যাগ থেকে তিলেখাজা বের করেছে। না বাবা কী মেশানো আছে কে জানে। এবার মনে হচ্ছে শ্রাবস্তী এতো সুন্দর হলেও এর ভেতরের জগৎ অন্ধকার। শ্রাবস্তী নিশ্চয় কোনো ছিনতাইকারী দলের সদস্য। আমি তিলেখাজা যেমনি খাবো, তেমনি অজ্ঞান হয়ে যাবো। তারপর আমার সবকিছু নিয়ে ও উধাও হয়ে যাবে।
‘কী হলো, কী ভাবছেন এতো ?’
‘কই।’
শ্রাবস্তী বললো, ‘তিলেখাজা খাবেন ?’
‘না, আমার ক্ষিধে নেই।’
‘আপনি কি আমাকে সন্দেহ করছেন ?’
‘কই না তো। আপনাকে সন্দেহ করার কিছু আছে না কি ?’
শ্রাবস্তী একটু রেগে গিয়ে বললো, ‘কী বলতে চাচ্ছেন আপনি ?’
‘কই কিছু না তো। আপনাকে কী বলবো আমি ?’
শ্রাবস্তী ভ্যানিটিব্যাগ থেকে একশো টাকার নোটটি বের করে বললো, ‘টাকাটা ভাঙিয়ে আপনার টাকা নিন।’
189
View