
🌧️ সে আবার লিখছে… আমার নামে চিঠি
পর্ব–২: চিঠির ভেতর লেখা ছিল একটা ঠিকানা…
রিমা সারারাত ঘুমাতে পারেনি।
চিঠিটা বারবার খুলে দেখেছে,
কালি ছড়ানো অক্ষরগুলো যেন বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
শেষে হঠাৎ চোখে পড়ল নিচের দিকে ক্ষীণ একটা লেখা—
> “যদি উত্তর জানতে চাও, এসো… পুরনো রেলস্টেশনের পাশে।”
রিমার বুক ধকধক করছে।
রাহাতের সেই দুর্ঘটনার পর থেকে ওই স্টেশন কেউ ব্যবহার করে না।
জায়গাটা এখন প্রায় ভুতুড়ে।
রিমা সাহস করল। পরদিন বিকেলে ছাতা হাতে বের হলো।
বৃষ্টি থেমে থেমে পড়ছে।
রেলস্টেশনে পৌঁছে দেখল —
একটা পুরনো বেঞ্চে কেউ বসে আছে।
সে এগিয়ে গেল।
বেঞ্চে রাখা আরেকটা খাম —
ওপর লেখা,
> “তুমি আসবে জানতাম, রিমা।”
রিমা কাঁপা হাতে খামটা খুলল।
ভেতরে একটা পুরনো ছবি —
সে আর রাহাত, ঠিক সেই দিন নদীর ধারে।
কিন্তু ছবির পেছনে লেখা—
> “তোমার পাশে আমি আছি… শুধু দেখা যায় না।”
বাতাসে হঠাৎ ঠান্ডা হাওয়া বয়ে গেল।
আর কোথাও থেকে ভেসে এল রাহাতের গলা—
> “তুমি এবারও দেরি করেছ, রিমা…”
রিমার চোখ বেয়ে নেমে এলো বৃষ্টি মেশানো অশ্রু।