Posts

গল্প

#গল্প: দ্যা মিস্ট্রি অফ ইজিপ্ট #

October 28, 2025

গল্পের সমারোহ

Original Author রিজন হোসেন অনিক

Translated by বাংলা

104
View

ক্রিং!! ক্রিং!!ক্রিং!!ক্রিং!! হ্যালো কিরে নিলয় কই তুই আজ মিউজিয়ামের হল এক্সিভিশনে যাবার কথা ভুলে গেলি ভাই? আরে নারে ভুলি নাই রেডি হচ্ছি। তুই মাত্র রেডি হইতেছিস??আরে আসতেছি রে ভাই ফোন টা রাখলে আমি এখন গাড়িটা স্ট্রাট দিতে পারি তাড়াতাড়ি কর কথাটা বলার পর ফোনটা কেটে দিলাম রিশান ব্যাটার ছেলে খুব ডিস্টার্ব করে আরে ভাই আসতেছি তো নাকি!! নিলয় কই যাস!! ভারি গলায় ডাক দিলেন আব্বা!! আব্বা যাদুঘর প্রদর্শনি অনুষ্ঠানে সেখানে নাকি তিন হাজার বছরের একটা মমি আনা হবে...ও আচ্ছা আচ্ছা যা সাবধানে যাস!!ঠিক আছে আব্বা। সম্প্রতি গাড়ি স্ট্রাট দিলাম ওহ আমার পরিচয় টা দিই আমি নিলয় আমার বাবার একমাত্র আদরের রাজপুত্র পরিবার বলতে আমি আর বাবা আর কেউ নেই আর এতক্ষণে সব বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই। কিরে ব্যাটা এতক্ষণে আসলি? আরে ভাই কথা কম বলে গাড়িতে ওঠ! কিছুক্ষণ পর পৌছে গেলাম যাদুঘরের সামনে ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পেলাম কাচের বাক্সের মধ্যে মমি টা শুইয়ে রাখা হয়েছে। শুনেছি মমিটার কফিন টা নাকি সোনার! কথাটি ফিসফিসিয়ে আমার কানে কানে বললো রিশান আমি একটু বিরক্ত নিয়ে বললাম ব্যাটার ছেলে তাতে তোর কি! তুই কি কফিনে শুবি নাকি?রিশান আর কনো কথা বললো না এমনিতেই এসব লাশ ঠাস দেখা আমার খুব একটা পছন্দ না তারওপর রিশানের জোরাজোরিতে আসতে হলো।কিন্তু কি অদ্ভুত মমির শরীর টা যেন এখনো গলছে দেখে মনেই হবেনা ৩ হাজার বছর আগের লাশ এটা।দেখলাম কফিনের নিচের দিকে মিশরীয় ভাষায় কিছু একটা লেখা তবে তা  বোধগম্য হলোনা।তাতে আমার কি! যাই লেখা থাকুক এসব বিষয়ে কস্মিনকালেও আমার কনো আগ্রহ ছিলোনা দেখতে পেলাম পাশে একটি ছোট কাচের বক্স রাখা তাতে একটি সোনার ব্রেসলেট রাখা একবার তাকিয়ে আর তাকালাম না হঠাৎ একজন প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক সবাইকে একজায়গায় জড় করে মমিটার সম্পর্কে সব কিছু বলছিলেন। হঠাৎ কারো ধাক্কায় গিয়ে ব্রেসলেটের বাক্সের উপর পরে গেলাম কাচের বাক্সটা ভেঙে গিয়ে মূহুর্তেই হাতের ভেতর কিছু কাচ ঢুকে গেল ব্যাথায় জ্ঞান হারালাম জ্ঞান ফিরে দেখলাম আমাকে হলের একপাশে শুইয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু কি অদ্ভুত সবাই আমার দিকে এমন ভুত দেখার মত দেখছে কেনো! হঠাৎ হাতটা কেমন ভারী ভারী লাগায় চেয়ে দেখি একি মমি টার সাথে থাকা ব্রেসলেটটি আমার হাতে কি করে এলো সাথে সাথেই খোলার চেষ্টা করলাম কিন্তু ব্রেসলেট টা যেন আমার হাতের চামড়ার সাথে আসটে পিস্টে এটে আছে হঠাৎ গবেষক বলে উঠলো কনো লাভ নেই বাবা অযথা চেষ্টা করোনা মানে! উনি আবার বললেন এটা একটা অভিষপ্ত ব্রেসলেট এটাতে পুরুষের ছোয়া লাগা নিষিদ্ধ ছিলো যদি কনো পুরুষের ছোয়া লাগে তাহলে সেদিন মমিটি জীবন্ত হয়ে উঠবে এবং  এটা তার হাতের সাথে এডযাস্ট হয়ে যাবে আর সে সহ তার আশেপাশে থাকা সবার জীবন সংকটাপন্ন হবে  পানি রক্তে পরিনত হবে এবং লাশের বহর লেগে যাবে। আমি হা করে কথাগুলো শুনছিলাম কিন্তু এ কথাগুলো আপনি কিভাবে জানলেন মমিটির সাথের এই পুরাতন পুথিতে এমনটাই লেখা। আরে তাহলে এটার কথা আগে কেনো বলেন নি আর এখন এই ব্রেসলেট খোলার উপায় কি ডক্টর? উনি একটি  দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন কনো উপায় নেই যদি এরিনিওস না চায় আমি ভ্রূ কুচকে প্রশ্ন করলাম এরিনিওস!! সে কে? কাচের বাক্সে যে মেয়ের মমিটি শুয়ে আছে তার নাম। সব শুনে ভয়ে উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলাম আমি এই ব্রেসলেটের সাথে এক মূহুর্তও থাকতে পারবোনা বলে দৌড়ে বের হতে যাবো তখন ডক্টর বললেন লাভ নেই না এই ব্রেসলেট তোমার পিছু ছাড়বে আর না ওই মমী আমার কিছু করার নেই ভুল যা হবার হয়ে গেছে এখন শুধু মৃত্যুর অপেক্ষা করতে পারি। কথাগুলো শুনে যাদুঘর থেকে তারাতাড়ি বেড়িয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলাম নিলয় দাড়া দোস্ত আমাকে নিয়ে যা তুই তো আমার থেকে দূরেই থাক! আজ এত বড় বিপদে তোর জন্য ফেসেছি বলেছিলাম আসতে হবেনা এখনে কিন্তু না!! এখন মরতে তো আমাকে হবে তোর আরকি কথাগুলো বলেই গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে গেলাম উফফ কনো ভাবেই ব্রেসলেট টা হাত থেকে বেরোচ্ছে না পেয়েছি!! অবশ্য  একটা উপায় হতে পারে!! যদি ধারালো কাটার মেশিন দিয়ে একটা চেষ্টা করে দেখা যায়?মনে মনে ভাবলাম যেই ভাবা সেই কাজ একটা গ্যারাজে দাড়ালাম...এইযে ভাই!! কি হয়েছে চেচাচ্ছেন কেনো ভাই বড় বিপদে পড়েছে এই ব্রেসলেট টা খুলতে পারছিনা গ্রান্ডিং মেশিন দিয়ে কেটে দিবেন প্লিজ! লোকটি অবাক হয়ে বললো ওই মিয়া ব্রেসলেট টা দেখে তো মনে হচ্ছে সোনার আর আপনার হাতে ভালই তো মানাচ্ছে খুলতে চাইছেন কেনো ভাই? ভাই এত প্রশ্ন কইরেন না যা করার তাড়াতাড়ি করেন হাতে বেশি সময় নাই দরকার হলে এটা খুলতে পারলে আপনি নিয়ে নিয়েন ভাই তবুও খুলে দেন লোকটি অবাক হয়ে আরকিছু জিজ্ঞেস করলো না একটি গ্রান্ডিং মেশিন দিয়ে কাটার চেষ্টা করলো কিন্তু পরেক্ষনেই হঠাৎ গ্রান্ডিং ব্লেড ছুটে গিয়ে লোকটির চোখসহ কপাল বরাবর অর্ধেক গেড়ে গেলো লোকটি সেখানেই মারা গেল এসব দেখে ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল।এই ব্রেসলেট টা আসলেই অভিষপ্ত সেখান থেকে ছুটে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে এলাম পথে সর্বোচ্চ গতিতে গাড়ি ছোটাচ্ছি হঠাৎ কোথা থেকে সামনে  একটা কন্টেইনার ট্রাক চলে  এলো সামনে একটা বিশাল বড় বিটের ধাক্কায় কন্টেইনারের মুখটা খুলে গিয়ে একটা বাক্স এসে আমার গাড়ির উইনসিল্টের উপরে পড়লো মূহুর্তেই কাচ ভেঙে যাবার ফলে আর কিছু দেখতে পেলাম না নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটা উলটে খাদে পরে গেল।অনেক কষ্ট করে গাড়ি থেকে বের হলাম দেখতে পেলাম ইঞ্জিন থেকে তখনো ধোয়া উঠছিলো উলটানো গাড়িটার সাথে শরীর টা এলিয়ে দিয়ে মাটিতে বসে পড়লাম শরীর টা বড্ড ক্লান্ত গাড়ির ভাঙা জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে পানির বোতল খুলে মুখ ধুতেই যাবো আরে একি পানি রক্তে পরিনত হয়ে গেছে তার মানে মমিটা জেগে উঠেছে। কনো রকমে নিজের শরীর টা কে টেনে নিয়ে বাসায় পৌছালাম আব্বা দরজা খুলেন আমি আপনার ছেলে নিলয় কিরে খোকা তোর এ কি অবস্থা কি হয়েছে তোর আর গাড়ি কোথায় আব্বা সে অনেক কাহিনী আপাতত গাড়ি উলটে খাদে পরে আছে সেকি কি করে?! তারপর আব্বাকে সব খুলে বললাম সব শুনে আব্বা বললেন তাহলে তো তোর সামনে অনেক বড় বিপদ রে খোকা ওই মমী তো তোর পিছু সহজে ছাড়বেনা এখন কি করবি তাহলে বেরোবে একটা উপায় আপাতত আপনাকে আমি গ্রামের বাড়িতে পাঠাচ্ছি আমি চাই না আমার জন্য আপনার জীবন সংসয় হোক আর তুই?আপনি আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না এইবলে বাবাকে গ্রামের ট্রেনে তুলে দিয়ে এলাম আসার সময় স্টেশানের একটা দোকানে দাড়ালাম সিগেরেট কেনার জন্য হঠাৎ দোকানের টেলিভিশনে একটা খবর প্রচার হচ্ছিলো মিউজিয়াম এক্সিভিশানের সেই মমী রহস্যময় ভাবে নিখোঁজ পুলিশের তদন্ত এখনো চলমান খবরটা দেখে যেন আত্নায় পানি নেই এইবুঝি মৃত্যু ঘন্টা বেজেই গেছে আরেকটা চমকে দেয়া খবর দেখতে পেলাম ফ্লাইট A037 আরব সাগরের উপর দিয়ে যাবার সময় রহস্যময় ভাবে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এয়ারবেজ ইনিস্পেক্টশান টিম জানিয়েছে এখন পযন্ত আরব সাগরে কনো প্রকার বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়নি তারা তল্লাশি অভিজান এখনো চলছে।আরে অদ্ভুত আমার যতদূর মনে আছে এই বিমানে তো সেসব পর্যটকদের থাকার কথা যারা সেদিন ওই এক্সিভিশানে উপস্থিত ছিলো তাই না?নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম কিন্তু.... ও  না!! অনেক বড় একটা গন্ডগোল হয়ে গেছে ওই পুথিতে যা লেখা ছিলো তারমধ্যে থেকে অলরেডি ২ টো ঘটনা ঘটে গেছে আরোকিছু ঘটে যাবার আগে আমাকে এসব থামাতে হবে ডক্টর!! হ্যা উনিই পারেন এই মূহুর্তে আমাকে একটা পথ দেখাতে এসব ভেবে তাড়াহুড়ো করে যাচ্ছিলাম হঠাৎ একজন মেয়ের সাথে ধাক্কা লেগে আমার ফোনটা মাটিতে পরে গেল মেয়েটি আমার ফোনটা উঠিয়ে আমার হাতে দিলো তখন খেয়াল করলাম মেয়েটির হাতে ট্যাটুর মত কনো ভাষায় কিছু একটা লেখা লেখাটা বড্ড চেনা চেনা লাগছে কোথায় যেন দেখেছি। তারপর ডক্টরের বাসায় এলাম এসে দেখলাম ওনার বাসার দরজা আর্ধেক খোলা অবস্থায় রয়েছে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখি বাড়ির সব আসবাবপত্র এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে বুঝতে বাকি রইলো না এখানে কিছু একটা হয়েছে হঠাৎ মেঝের দিকে চোখ যেতেই দেখলাম ডক্টর ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন দেখতে পেলাম ওনার বুকের একপাশে বড় এক কাচের টুকরো ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে বুঝলাম ওনার অবস্থা ভাল নয় যা জানার এক্ষুনি জানতে হবে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই উনি বললে আমি জানি তুমি এখানে কেন এসেছো আমি চেয়েছিলাম মমীটির এক্সিভিশান থেকে অনেক টাকা কামাতে আর তোমার বন্ধু রিশানকে আমিই ইশারা করেছিলাম তোমাকে ধাক্কা দিতে যাতে মমীটা জীবন্ত হয়ে যায় আর সেটা সবাইকে দেখিয়ে অনেক টাকা কামাতে পারি কিন্তু সব নষ্ট হয়ে গেল যখন এরিনিওস তোমার পিছে পরে গেল। ডক্টর এখন এর থেকে বাচার উপায় কি জলদি বলুন আমাকে। এরিনিওস জেগে গেছে আর ও এখানে এসেছিলো ও তোমাকে সাথে নিয়ে যেতে চায় যেকনো মূল্যে তোমার বাচার একটাই পথ তোমার বন্ধু রিশানকে এরিনিওস এর জন্য বলি দিতে হবে।এতটুকু বলেই উনি থেমে গেলেন বুঝলাম উনি বিদায় নিয়েছেন। তারপর ওনার শরীর মিশরের বালিতে পরিনত হয়ে গেলো উনি তো আমাকে বলে গেলেন না বলির নিয়ম সম্পর্কে আরকিছু না ভেবে আমি একটি বড় লাইব্রেরিতে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে মিশরের সম্পর্কে একটা বই চাইলাম লাইব্রেরিয়ান ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করলেন মিশর সম্পর্কের বই আমার কেন চাই সব খুলে বলার পর উনি একটি বহু পুরাতন বই আমার সামনে এনে রাখেন এটা তিন হাজার বছর আগে এরিনিওসের সময়ের হাতে লেখা বই বইটি নাকি এরিনিওসের প্রেমিক ইমোটেপ নিজে হাতে লিখেছিলো এটা একটা কালো যাদুর বই এই বইতেই লুকিয়ে আছে সব রহস্য কিন্তু এই বইটি তখন থেকে আজ পযন্ত কেউ খুলতে পারেনি কিন্তু আজব ব্যাপার আমি হাতে নিতেই বইটা যেন খুলে গেলো কিছু বুঝলাম না লাইব্রেরীর লোকটি হঠাৎ বললো আরে এটা তো এরিনিওসের প্রেমিক ইমোটেপের ব্রেসলেট  আপনি চেনেন এটা হ্যাঁ চিনবো না কেন এটা ডক্টর বিশ্বাস আমার এখানে এনেছিলেন একটা কাচের বাক্সে করে এরজন্যই হয়তো বইটা আপনি খুলতে পেরেছেন।হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার ঘাড়ের দিক টা জ্বলছে সেখানে হাত দিতেই কিছু একটা অনুভব করলাম লোকটি বললো আমার ঘাড়ে কিছু লেখা ফুটে উঠেছে মিশরীয় ভাষায় যার মানে হলো আমিই এখন এরিনিওসের প্রেমিক ইমোটেপ বইটির পাতা উল্টাতেই দেখলাম মিশরীয় ভাষায় কিছু লেখা তার মধ্যে কিছু লেখা বর্ণ আমার চেনা আমি আগেও লেখাগুলি দেখেছি। ও হ্যাঁ সেদিন এক্সিভিশান হলে কফিন টার লেখা আর স্টেশানে ধাক্কা লাগা মেয়েটির হাতের সেই লেখা গুলো একই কি বলছেন তারমানে আপনি স্টেশনে যার সাথে ধাক্কা খেয়েছেন সেই আসলে এরিনিওস What!!! কি বলছেন আপনি? ঠিকিই বলছি এরিনিওস যেকনো সময় এখানে চলে আসতে পারে আপনি এক্ষুনি এখান থেকে চলে যান বলতে বলতেই হঠাৎ এরিনিওস এসে হাজির সে এসেই আদি মিশরীয় ভাষায় আমাকে বইটি ফিরিয়ে দিতে বললো আমি দিতে রাজি না হওয়ায় তার কালো শক্তি দ্বারা শূন্যে আছড়ে ফেললো লাইব্রেরির লোকটাকে বালির মূর্তিতে পরিনত করে দিলো আমি ততক্ষণে বইটি নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলাম তবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে ছোড়ে গেছে ক্লান্ত হয়ে রাস্তার ধারের একটা দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসে পড়লাম হঠাৎ পকেটের ভেতর ফোনটা বেজে উঠল আরে আব্বা কল দিয়েছে...হ্যাঁ আব্বা বলেন আপনি ঠিকমত পৌছে গেছেন তো? হ্যারে খোকা কিন্তু তোর গলাটা এমন লাগছে কেন না আব্বা কনো সমস্যা নেই আমি ঠিক আছি ফোনটা কেটে গেল...এখন আমাকে রিশানের বাড়িতে পৌছাতে হবে ঠিক রাত ১২টায় চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে আর তখনই ওর রক্ত এই ব্রেসলেটের উপর ফেললে ব্যাস বলি সম্পূর্ণ রাত ১২ টা বাজতে আর মাত্র ১ ঘন্টা বাকি তাড়াহুড়ো করে মাঝ রাস্তায় গিয়ে দাড়ালাম দেখলাম একটা বাইক নিয়ে কেউ একজন এদিকে আসছে দেখতে পেলাম রোডের পাশেই কাঠের একটা চলা পরে আছে কিছু না ভেবেই চলাটি উঠিয়ে লোকটির ঘাড়ে সপাটে এক ঘা বসিয়ে দিলাম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লোকটি রোডের পাশে পরে কাতরাচ্ছিল কিন্তু আমার এখন সেসব ভাবলে চলবেনা আমাকে যে বাচতে হবে বাইক নিয়ে চলে গেলাম রিশানের বাড়িতে গিয়ে ডাকতেই রিশান বেড়িয়ে এলো রিশান তুই আমার সাথে চল কিন্তু কোথায় কনো প্রশ্ন করিস না বাইকে ওঠ!!ওকে নিয়ে একটা বন্ধ ফ্যাক্টারির সামনে গিয়ে থামলাম দোস্ত এখানে কেনো এনেছিস কনো কথা বললাম না ঘড়িটার দিকে তাকিয়েই কিছু না ভেবেই রিশানের বুকের মাঝ বরাবর ছুড়িটা গেথে দিলাম রিশান অবাক হয়ে জিজ্ঞাসু চোখে চেয়ে আছে আমি জানি ওর মনে অনেক প্রশ্ন আছে কিন্তু আমার কাছে এর কনো উত্তর নেই তখন সেখানে হঠাৎ এরিনিওসের উপস্তিতি ঘটলো সেটা দেখে রিশান আরো অবাক হলো বিদায় নিলো আমার বন্ধু রিশান আজ কয়েক বছর পর....আরে এরিনা কোথায় গেলে তাড়াতাড়ি আমার টিফিন টা দাও আমার অফিসে লেট হয়ে যাচ্ছে তো...আরে আসতেছি তো.... বউমা আমার চশমা টা কোথায়? যাই বাবা এই হলো আমার সুখের সংসার আমি আমার স্ত্রী আর আমার বাবা। চলুন ঘুরে আসি ফ্লাশব্যাক থেকে...সেদিন এরিনিওস আমাকে ডক্টর বিশ্বাসের বাড়িতে মারার ইনটেনশানে এলেও আমাকে মারেনি তার বদলে আমাকে একটা অফার দেয় এরিনিওসকে যদি আমি অমর হতে সাহায্য করি উপহার হিসেবে এরিনিওসের সমস্ত সোনা-দানা সম্পদ সব আমার ....হ্যাঁ ঠিকিই শুনেছেন এ যাবতকালে যতগুলো খুন হয়েছে সব আসলে আমিই করেছি এরিনিওসের জন্য ডক্টর বিশ্বাস, লাইব্রেরিয়ান,এমনকি আমার বন্ধু রিশানকেও হা!! হা!! হা!!হা!! আর আপনাদের কি ধারণা সেদিন এক্সিভিশান হলে আমাকে রিশান ধাক্কা দিয়েছিলো? হা!হা! হা!  সত্যিটা এই যে আমি ইচ্ছে করে কাচের বাক্সের ওপর গিয়ে পড়েছিলাম... আপনাদের কি ধারণা আমার পুরোনো ইতিহাসের উপর কনো আগ্রহ নেই তাই না?সেটাও ভুল রিশানকে আমিই জোর করে সেখানে নিয়ে গেছিলাম যাতে এরিনিওসের বলির পাঠা হিসেবে ওকে ব্যবহার করা যায় ভাবছেন আমি তো মিশরীয় ভাষা জানিনা... ভুল জানেন আসলে আমিও একজন পত্নত্বাত্তিক গবেষক। এতক্ষণে নিশ্চয়ই এরিনিওসকে মিস করছেন।এরিনিওস এখন আমার স্ত্রী এরিনা আর আমি এখন তার দ্বিতীয় ইমোটেপ.....হা!! হা!! হা!! হা!!....


 

Comments

    Please login to post comment. Login