কলা খেতে কার না ভালো লাগে: কলা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমন সবরি কলা বিচি কলা কুবরি কলা চম্পা কলা 🍌 সাগর কলা নেপালি কলা কাঁচকলা ইত্যাদি কলার বিভিন্ন রকমে কলার ফলন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। কলা খেলে কারো কি কোন কখনো গলা ব্যথা হয়। কলা আমাদের শরিলে বিভিন্ন পুষ্টি কাজে ব্যবহার হয়। আবার রান্না করেও আমরা কাঁচকলা খাই। কলা দিয়ে আমরা বিভিন্ন পিঠা তৈরি। কলার বিভিন্ন উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কলা আমাদের ক্ষুধা নিবারণ করে। কলা আমাদের শরীরের শক্তি সঞ্চয় করে। ইহার সেলাগুলো আবার বিভিন্ন পশুদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। কলা আমাদের দৈনন্দিন খাবারের সাথে প্রয়োজন। সকালে একটি কলা খেলে শরীরের জন্য খুবই উপকার যদি সেটা হয় সবরি কলা। একটি সব্রী কলা সকালে খেলে গ্যাস্ট্রিকের অনেক উপকার হয় কলা আমাদের মেরুদন্ডের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কলা খেলে শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে। গলা পরিষ্কার থাকলে। কলো আমাদের পেটের বদ হজমকে দূর করে। আবার কলা খেয়ে যদি আপনি ছোলাটা রাস্তার উপরে ফেলে দেন। তাহলে যেকোনো লোক পাছার খেতে ভুল করবেনা। একটি কলায় আপনার মেরুদন্ড উপকার করতে পারে। আবার একটি কলার ছোলা পাছার খেলে আপনার মেরুদন্ড ভেঙ্গে যেতে পারে। কলা খেলে যেরকম উপকারও আছে। সেরকম কলা খেলে সন্ধ্যার পরে ক্ষতিও হতে পারে ।
এবার আসি কলাগাছ নিয়ে: সাধারণত আমরা কলার গাছ লাগাই কলার বিচি থেকে নয়। কলা গাছ হয় কলার ড্যাম থেকে ডাম বলতে বড় একটি কলাগাছের পাশ দিয়ে যে অঙ্কুরিত হয় তাকেই আমরা কলার ডেম বলি। সাধারণত একটা কলার গাছ থেকে এর মাটি ভেদ করে অনেকগুলো কলার ট্যাম হয়ে থাকে। আপনি চাইলে একটি কলার গাছ দিয়েই বাগানের সমস্ত কলার গাছ তৈরি করতে পারেন শুধু ডিম দিয়েই পাশ দিয়ে ডায়াম উঠবে আর একটি করে কলা গাছ তৈরি করবেন। কলার দাম সাধারণত লাগাতে হয়। বড় কলা গাছ থেকে কলার চারা সরিয়ে নিতে হবে মাটি কেটে। এরপর সারিবদ্ধ করে দুই পাশে খালি জায়গা রেখে লাইন দিয়ে কলার চারা গাছগুলো সারিবদ্ধভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এবং দুই পাশে জাগা নিচু করে দিতে হবে। পারলে সেখানে যেন পানি থাকে। এই পানি গুলোই কলার ড্যামে ধীরে ধীরে প্রতিদিন কিছু কিছু করে দিতে হবে। কিছুদিন গেলেই দেখবেন করার চারাগুলো থেকে পাতা বের হয়েছে চতুর দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। কয়েক মাসের ভিতরেই দেখবেন কলা গাছের হাইডগুলো সুন্দর হয়েছে। এর কিছুদিন পরেই দেখবেন কলা গাছের মাথা থেকে কচি কচি পাতায় ফুটে ওঠে। এই কলা পাতা দিয়ে মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকে এই কলা পাতা। আম পান বকা থেকে শুরু করে বড় বড় বিয়ে বাড়িতে বড় বড় খাবারের কাজে আগে প্লেটের পরিবর্তে এই কলা পাতা দিয়ে খাবার তৈরি করে দিতে হতো। কলা গাছের উপরে উপরের থেকে দেখবেন একটি মুথার মত লাল সে রঙের মসরা বের হয়ে এসেছে। এই মসরা দেখবেন দিন দিন সামনের দিকে ঝুলে ঝুলে পরেছে। আর লাল বর্ণের খোসা গুলো ভিতর থেকে ছোট ছোট কলা হয়ে বের হয়ে আসছে। আর উপরে খোসাটা ধীরে ধীরে শুকিয়ে পড়ে যাচ্ছে। এভাবে সামনের দিকে মসলাটা এগুতে থাকে। এক ছড়া দুই ছড়া করে অনেক ছড়ায় কলায় রূপান্তরিত হয়। কলাগুলো দেখবেন উপর থেকে বড় হতে হতে নিচের কলা গুলো দেখবেন ছোট হয়ে গেছে। খানিক কয়দিন পর দেখবেন নিচের মসরাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। ওই মুশরা কেটে নিয়ে বাড়িতে বিভিন্ন রকম ভর্তা তৈরি করা হয় মসরা খুলে । আপনি যদি খেয়ে না থাকেন তাহলে বাজার থেকে একটি মশরাকিনে আজি বাড়িতে নিয়ে যাবেন ভোট তো খাওয়ার জন্য । বাড়ির লোক সবাই বানাতে জানে এটা কিভাবে বানাতে হয় । এটা খুবই স্বাদের ভর্তা হয় । গাছের কলা যদি পাকার আগে আপনি কিছু কেটে খেতে চান কাঁচা কলা তাহলে রান্না করে খেতে পারো কাঁচা কলা। কাঁচা কলা বিশেষত যে মাছি দেন না কেন রান্নার জন্য ওই তরকারি খুব স্বাদের হয়। চাইলে আপনারা কাঁচা কলা পুড়ে সিদ্ধ করে ভর্তা খেতে পারেন।
কদিন বাদেই দেখবেন কলা থেকে গেছে: কলা যখন 🕯️ বাতি হবে চাইলে আপনারা পেটে ঘরে নিয়ে গরম একটি আবহাওয়ায় রেখে দিতে পারে। আর যদি দ্রুত পাকাতে চান। তাহলে খাতা কম্বল বা চুলের ভিতর রেখে দিতে পারেন । তাহলেই ২-১ দিনের ভিতরে কলাগুলো সব পেকে যাবে। তবে সেই কলা গুলো স্বাদ একটু কম হয়। চোর বা চুরি যাওয়ার যদি ভয় না থাকে। বা ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার ভয় না থাকে কলার ভারে তাহলে কলা 🍌 গাছে পাকলেই খুব স্বাদ বেশিহয়। এবং সুঘ্রাণও বেশি হয়। তখন খেতে খুব মজা লাগে।
এবার যদি কলা গাছটি কলা কেটে নিয়ে যান। তাহলে পুরা কলা গাছটি দাঁড়িয়ে থাকবে না। কারণ একটি কলা গাছ এ একবারই ফল হয়। কলার ছড়াটি কেটে নিয়ে যাওয়ার পর । দেখবেন আপনি যদি কলাগাছটি কেটে না ফেলেন । এমনি দেখবেন গাছটি শুকিয়ে মরে গেছে। তাই কলা গাছটি গোরা থেকে কেটে ফেলুন। এবার চাইলে কলা গাছটি দিয়ে আয় করুন। চাইলে আপনি কলাগাছ দিয়ে একটি ভেলা তৈরি করতে পারেন। যা নদী খাল বিলে চলাচলের জন্য। পানির ভিতর একটি ভ্যালা তৈরি করতে পারেন । যা আপনার পারাপার হওয়ার জন্য। খুবই উপকারে লাগে। বা পুকুরের ভিতরে ভ্যালা বানিয়ে জাল বা বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করতে পারবেন। তা যদি না করেন তাহলে কালা গাছের খোল গুলো ধীরে ধীরে খুলে ফেলুন। এক পর্যায়ে গিয়ে দেখবেন ভিতরে একটি লম্বা লাঠির মত কচি কঞ্চি বের হবে। তাকে বলে কলা গাছের থোর। এই তোর বাড়িতে নিয়ে কচি কচি করে কেটে চিংড়ি মাছ দিয়ে গুড়ো মাছ দিয়ে রান্না করে খেতে পারবেন। এটি না খেলে একবার খেয়ে দেখুন কি সাদ এর মজা । তবে বর্তমানে কলা ছড়া কাটার পরে। কলা গাছ দিয়ে এক প্রকারের সুতো বের করা হয়। সেই সুতো দিয়ে দড়ি কাসি কাপুর তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।
কলা গাছের গোড়া থেকে: কলা গাছের গুড়া কখনোই উঠে ফেলবেন না। কারণ ওই মাটি থেকেই ওই গোড়া থেকেই দেখবেন ধীরে ধীরে সব কলার চারা উঠতেছে। ওগুলা দিয়ে আবার কলা জন্মাবে। তাই সর্বশেষে বলবো একটি কলা গাছের কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা যে মানুষের কাজে ব্যবহার হয়। আপনি আঙ্গুল দেখিয়ে বলতে পারবেন না যে। এই বৃদ্ধটি কোন কাজেরই না। আসুন আমরা সবাই কলার বাগান করি দেশের সমস্ত স্থানে কলার ঘাটতি পূরণ করি। ও বিদেশ রপ্তানি করে বৈদিক মুদ্রা আয় করি। কলা গাছের রচনাটি এখানেই শেষ করছি।