
: মেয়েটি একা দাঁড়িয়ে আছে, পেছনে ফিকে এক পুরুষের ছায়া
🌧️ সে আবার লিখছে… আমার নামে চিঠি
পর্ব–৪ (শেষ অধ্যায়): শেষ চিঠিটা সে নিজেই লিখেছিল
রিমা আজও বিশ্বাস করতে পারছে না—
রাহাত সত্যিই জীবিত, নাকি শুধু সেই চিঠিগুলোর মধ্যেই বেঁচে আছে।
শেষবারের মতো সে গেল নদীর ধারে।
সেই জায়গায়, যেখান থেকে রাহাত হারিয়ে গিয়েছিল।
হাতে ছিল একটা নতুন চিঠি—
খামটা খোলা, লেখা শুধু একটা লাইন:
> “এইবার আমি লিখব, তুমি পড়বে না—
কারণ এবার আমি চলে যাচ্ছি সত্যি সত্যি।”
রিমা চিঠিটা বুকের কাছে চেপে বসে রইল।
হঠাৎ বাতাসে কাগজটা উড়ে নদীতে পড়ে গেল।
জল যেন মুহূর্তেই সেটাকে গিলে ফেলল।
ঠিক তখনই পিছন থেকে এক পরিচিত গলা—
> “তুমি এখনো একই জায়গায় বসে আছো?”
রিমা ফিরে তাকাল।
বৃষ্টির ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছে এক মানুষের মুখে…
রাহাত।
ভেজা শার্ট, কাঁপা হাত, আর চোখে অজস্র অনুতাপ।
রিমা এগিয়ে গিয়ে বলল,
— “তুমি তো মরে গিয়েছিলে… তাই না?”
রাহাত মাথা নিচু করে বলল,
— “না, রিমা… আমি শুধু হারিয়ে গিয়েছিলাম।
তোমাকে ভুলে থাকতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু প্রতিদিন তোমার চিঠির গন্ধ আমাকে ফিরিয়ে এনেছে।”
রিমা কাঁদতে কাঁদতে বলল,
— “তাহলে এখন কেন?”
রাহাত তাকিয়ে বলল,
— “কারণ এবার শেষবার লিখব…
তারপর চিঠিগুলো থেমে যাবে।”
বজ্রপাত হলো।
রিমা চোখ বন্ধ করল।
চোখ খুলে দেখে— নদীর ধারে কেউ নেই।
শুধু সেই চিঠিটা ভাসছে জলে,
আর তাতে লেখা—
> “তুমি যদি আমাকে মনে রাখো, আমি কখনো হারাব না…”
🕯️ গল্পের বার্তা:
ভালোবাসা কখনো মরে না,
সে শুধু রূপ পাল্টে বেঁচে থাকে—
চিঠির কালি, বৃষ্টির ফোঁটা, আর ভেজা চোখে…
সমাপ্ত