যে নীরবতা নিজেকে বাঁচায়
আমি অপমান আর অপবাদ সহ্য করতে পারি না—তার মানে অনুকম্পা নেই না, বরং নিজের আত্মার মর্যাদাকে রক্ষা করার তীব্র ইচ্ছা আছে। কেউ যদি আমাকে ভুল বোঝে, আমি সেই ভুল ভাঙাতে রাত-দিন চেষ্টা করি; প্রতিটি কথার ভাঁজ খুলে সত্যের আলো ফুটাতে যত্ন নিই। কিন্তু যখন মানুষ নিজের ধারণার কারাগারে গেঁথে পড়ে, বারবার একই ভুল করছে, অপবাদ ছুঁড়ে resilient না থেকে বিষও ছড়িয়ে দেয়—তখন আর আমার সহ্য হয় না।
সেই মুহূর্তেই আমি বুঝি: যেখানে সম্মান নেই, সেখানে থাকা মানে নিজের আত্মার ক্ষতি করা। ভালোবাসা যদি জমানো হয় মিথ্যার স্তূপে, সে ভালোবাসা আমার জন্য অমূল্য নয়—আমি তা ধরে রাখতে রাজি নই। তাই আমি সাবধানে সরে যাই; নীরবতা আমার বেলা বেছে নেয়, দূরত্বকে পছন্দ করি। এপরে মনে হয়—একটি শান্ত জায়গা যেখানে আঘাত না লাগে, যেখানে আমার অস্তিত্বের সৌন্দর্য সম্মান পায়।
আত্মসম্মান আমার সবথেকে বড় বন্ধু; সেটাকে হারালে জীবনের রঙ ম্লান হয়ে আসে। তাই আমি বেছে নিই ভাষা, আমি বেছে নিই নীরব সীমান্ত; কারণ জীবনের শেষ পর্যন্ত নিজের মর্যাদা আর শান্তি বজায় রাখা—ইচ্ছে থাকলে তাতেই জীবন সুন্দর।