Posts

গল্প

বড় মামার বিয়ে। চতুর্থ খন্ড।

November 1, 2025

Shafin pro

56
View

রাতে সবাই আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম কাছারি ঘর। সবাই আমরা  ঘুমিয়ে আছি কাছারি ঘরে সব ভাই বোনেরা খালাতো ভাই দের নিয়ে। শহরে রাত্র আর গ্রামের রাতের ভিতরেএকটি ডিফারেন্স থাকে। শহরের রাতের ভিতর পার্থক্য হল। সেখানে কিছুক্ষণ পরপর বাঁশি বাজে সিকিউরিটি এবং নাইট গার্ড এ বাশির শব্দ শুনে। আর গ্রামের রাত্রে ঝিঝি  শব্দ বিভিন্ন রকম শব্দেকান কুন ধরে যায়। আবার দুই এক বাড়ির কুকুরের শব্দ আসে। কিছুক্ষণ পরই আবার গরুতে হাম্বা হাম্বা করে ডাকতেছিল। টিন এর চালের উপরে উপোস করে পড়তে পেচা লাফ দিয়ে পড়ত মাটিতে। শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় ঘুম যখনই ভাঙ্গে তখনই একটা শব্দ। বাতাসের একটি শো শো শব্দ আসে জানলা থেকে। ভয়ে  শরিলে পশম গুলো দার হয়ে যায়। কেন জানি এখন ঘুম আসতেছিল না। সবাই ঘুরে ঘুরে ঘুমায় আবার উঠে কেউ দাঁড়িয়ে বসে যায়। আবার চোখ বুজে কেউ দাঁড়িয়ে থাকে বিছানার উপরে। কেউ মাঝরতে উঠে বলে প্রসাব করব। কেউ উঠে বলে পানি খাব। লাফ দিয়ে উঠে বলে আমার বালিশ তুই নিয়ে গেছিস কেন। এ নিয়ে একজনের মাথার বালিশ আরেকজন কেড়ে নিয়ে যায়‌। এগুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। যেহেতু এতক্ষণ আমার ঘুমেতে ভয় লাগছিল। যেহেতু বড় ঘর থেকে কাচারি ঘর একটু দূরত্ব থাকায়। আমাদের পেঁচামেচি বড় ঘর পর্যন্ত পৌঁছায় না। যেহেতু এই বাড়িতে বড় মামার বিয়ে। তাই আমরা বিভিন্ন দিক থেকে খালাতো ভাই মামাতো ভাইরা চলে এসেছি। এর ভিতর পানি খেতে গিয়ে আমার এক খালাতো ভাই ধুপুশ করে কাচের গ্লাসটি ফেলে দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে। আমরা সবাই লাভ দিয়ে উঠে পড়লাম। দ্রুত হারিকেন জ্বালিয়ে। দেখি খালাতো ভাই পানির জট  অন্ধকারে দাঁড়িয়েছিল। আমরা সবাই তার কাছে দূরে গেলাম। জিজ্ঞাস করলাম ভাই তোমার কি হয়েছে। সে বলল তোরা সামনে আছিস নে। হারিকেনের আলো থেকে দেখি নিচে গ্লাস ভেঙ্গে রয়েছে। বড় ঘর থেকে আমাদের শব্দ শু্দি্ল খালা। ওখানে কি হয়েছে তোরা এত শব্দ করতেছিস কেন। ছোট খালার  শব্দ পেয়ে আমরা সবাই চুপ হয়ে গেলাম। এখন আস্তে আস্তে আমরা গ্লাসে কাজ ভাঙ্গা গুলো আলো দিয়ে উঠতে শুরু করলাম। এখন আর আমরা কেউ বিছানায় ঘুমিয়ে নেই। দ্রুত সবাই কাজ বাংলা গুলো তুলে নিলাম যার যার হাতে। একটা কাগজের ভিতরে রেখে দিলাম এক কোণ। যাতে কেউ আঘাত না পায়। আমরা সবাই বিছানায় গোল হয়ে বসে পড়লাম। ধীরে ধীরে সবাই সবার কথা বলতেছিল। কি আনন্দ না  লাগছে ছিল‌। এর ভিতরেই কি যেন চালের উপরে বন বিড়াল জপুস করে পরল । আমাদের ভিতরে হঠাৎ করে বলে উঠলো ভূত বন বিড়ালটা আস্তে আস্তে চালের উপর হাঁটতেছিল। আমাদের ভিতরে কেউ বড় ছিল না আমরা সবাই একই বয়সের থাকার কারণে আমরা সবাই ভয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম তাড়াতাড়ি। মুহূর্তের মধ্যে সবাই নিচু হয়ে গেলাম। দেখি বন বিড়ালটা যতই হাটে অতই আমরা চুপ হয়ে শক্ত হয়ে যাচ্ছি। এখন মনে হচ্ছে জোরে চিৎকার করে ডাকি মা। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম চাল থেকে বনব্রাল টি লাফ দিয়ে মুরগির খোপের উপরে নামলো। তখন আমরা আবার সবাই লাফ দিয়ে বসে পড়লাম। দেখছোস আমি কোন ভয় পাইনি। ওটা হল বন বিড়াল। সবাই আমরা আবার হইচই শুরু করে দিলাম। আমরা এখন আস্তে আস্তে জানালার পাশে গেলাম। গিয়ে দেখি বন বিড়ালটি। মুরগির খোপের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। মুরগির মারার জন্য। আমরা সবাই বন 🐈 র  জোছনার আলোতে  কাহিনী দেখতে ছিলাম। দেখি ধীরে ধীরে সে মুরগির খোপের দরজা খুলতে চেষ্টা করতেছি। পায়ের নকের খুব ধার আছে ওদের। এখন দেখতেছি জোরে  সরেই দরজা নাড়াচাড়া করতেছে খোলার জন্য। আমরা সবাই চুপ করে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছি। মুরগির খোপের দিকে। এখন আমরা প্লান করতেছি যে। যদিও মুরগির খোপির ভিতরে ঢুকে । তাহলে ওকে দরজা দিয়ে আটকিয়ে ফেলবো মুরগির খোপের ভিতরে । খট খট করছে দরজা খোলার জন্য। আমরা সবাই ধীরে ধীরে সবাই লাইন দিয়ে জানালা দিয়ে বের হয়ে গেলাম মুরগির খোপের কাছে। ও এখানে তো বলাই হয়নি। গ্রামের বাড়িতে মেক্সিমাম জানালা শীক থাকে না।আমরা কেউ লাঠি নিলাম কেউ ইট  নিলাম যে যার কাছে যা কিছু পেলাম তা নিয়ে সামনের দিকে চুপি চুপি এগিয়ে গেলাম। বন বিড়ালটি মারার জন্য। আমাদের চুপিচুপি শব্দ পেয়ে বাড়ির কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করে উঠলো। শব্দ পেয়ে বন বিড়ালটির কান খাড়া হয়ে গেল। আসলে তো বন বিড়াল গুলো দেখতে বাঘের বাচ্চার মত হয়। কিন্তু আমরা ভাই বোন তো অনেকগুলো ছিলাম সেদিনকে। তাই আমাদের একজনের ভয় লাগেনি‌। কুকুরটি দৌড়ে চলে আসে বন বিড়ালটিকে ধাওয়া করে গাছের উপরে উঠিয়ে ফেলল। আমরা যে যেখান থেকে পারলাম ওর গায়ে ইট লাঠি সুরে মারলাম তারপরও গায়ে লাগাতে পারলাম না। বনবিড়ালটি দৌড়ে গাছের উপরে উঠে গেল। কুকুরের ভয়ে‌। আমরা সবাই বলে উঠলাম এই যা। তাড়াতাড়ি বড় ঘরের কেউ টের পাওয়ার আগেই আমরা আবার ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়লাম । আমরা খাটের  উপরে বসেইট কুরি  মিট করি খেলা খেলতেছিলাম। খেলতে খেলতে কিছুক্ষণ পরেই দেখি মসজিদ দিয়ে আযানের ধ্বনি আসতেছে। কারণ মসজিদে  কারো মাইক ব্যবহার হতো না। তাই সবাই মাইক ছাড়াই আজান দিত। আযানের শব্দ পেয়ে আমরা আবার সবাই বাতি নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম তাড়াতাড়ি। কারণ এখন সবাই সজাগ হয়ে যাবে মসজিদে পুরুষেরা নামাজ পড়তে যাবে মেয়েরা বাড়িতে বসে নামাজ পড়বে। এখন যদি আমরা ঘুমিয়ে না পড়ি তাহলে আমাদের এসে বড়রা পিটা দেবে। তাই আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়লাম।( গল্পটি চতুর্থ পর্ব এখানেই শেষ করে ঘুমিয়ে পড়তেছি।)

Comments

    Please login to post comment. Login

  • Shafin pro 1 month ago

    গল্পটি বেশি বেশি পড়ার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করুন আপনাদের সাপোর্ট পেলে পরবর্তী খন্ডগুলো লিখতে সহজ হবে