আয়শা সবসময় ভাবতো সফলতা নির্দিষ্ট কোনো লক্ষক যেখানে পৌঁছে মানুষ শান্তি পায়। কিন্ত সময় তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছে সফলতা কোনো লক্ষ্য নয়, এটি একটি যাত্রা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে তার দিন গুলো যেনো দিক হারিয়ে ফেললো। রাত জেগে অকারণে সময় নষ্ট, আড্ডা দেওয়া, ক্লাস ফাঁকি দেওয়া হয়ে গেলো তার নিত্যদিনের অংশ।
চারপাশের সবাই এগিয়ে যাচ্ছিলো শুধু সে একটু একটু করে পিছিয়ে যাচ্ছিলো নিজের অজান্তে।
একদিন ক্লাসে এক আধ্যাপক বললেন :-
“ সময় হচ্ছে সব থেকে বড়ো শিক্ষক। সময় সর্বদা নীরব থেকেও আমাদের জীবনের সব থেকে বড়ো পাঠাও শেখায়। সময় কখনো আমাদের ঠকায় না, যদি আমরা তাঁকে সম্মান করি। ”
ওই কথা টি আয়শার মনে আলো েজ্বলে দিলো।সে বুজলো - সময় আসলে সবার কাছে সমান শুধু পার্থক্য হলো কে টা কিভাবে কাজে লাগায়।
আয়শা ছোট ছোট পরিবর্তন করতে শুরু করলো।
প্রতিদিন একটু আগে ঘুম থেকে ওঠা, নিজের কাজ সময়ে শেষ করা, প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা।
এই ছোট অভ্যাসগুলোই একদিন তার জীবনের মোড় এনে দিলো।
কয়েক বছর পরে সে যখন নিজের জীবনের দিকে ফিরে তাকালো, দেখলো -
সফলতা আসলে কোনো শীর্ষ নয় যেইখানে দাঁড়িয়ে মানুষ বিশ্রাম নেয়,,
সফলতা সেই চলমান পথ যেইখানে প্রতিদিন আগের দিন এর থেকে একটু ভালো হবার চেষ্টা।
সময় কে সঙ্গী করে যে এগোয়, তার যাত্রাই হয় সফল।
আয়শা মুচকি হাসলো এবং বললো -
“সফলতা শব্দের পরে কখনো দাড়ি হয় না, এর পরে শুধু হয় কমা। সফলতা একটি অনন্ত পথ।”