সেদিনকে ছিল বৃহস্পতিবার। শুভ সকালবেলায় মাকে বললাম। আজকে আমি অফিস ছুটির পরেই বন্ধুর বিয়ের জন্য অফিস ছুটি নিয়ে লঞ্চে করে বরিশাল চলে যাব। মা জিজ্ঞেস করলেন কয়দিন থাকবি। আমি মাকে বললাম এক সপ্তাহ থাকবো। আমি বললাম আমার সমস্ত ব্যাক বহুত গুছিয়ে দিও। সকালের নাস্তাছেরে অফিসের দিকে রওনা হয়ে চলে গেলাম। পথে যেতে যেতে জামের কারণে অফিসে একটু দেরি হয়ে গেল। গিয়ে দেখি অফিসে বস হাজিরা দিয়ে বাহিরে চলে গেছে। সাধারণত ছুটির ব্যাপার গুলো সামনাসামনি না বললে ফোনে সব কাজ করা যায় না। যাইহোক অফিসের হাজিরা টা দিয়ে দিলাম। দিয়ে নিজের শিখে বসে গেলাম। চিনতে করলাম আজকে কোন ভারী ধরনের কাজ হাতে নানেওআটাই ভালো। এ ভিতরে রহিম মিয়াএসে বলল। স্যার চা দিব। রহিম মিয়াকে বললাম হ্যাঁ তা দিন। আমি তখন ছুটির জন্য দরখাস্ত লিখতে ছিলাম। তখন জিজ্ঞেস করলাম। রহিম মিয়া স্যার এত সকালে অফিস ছেড়ে কোথায় গেছে। রহিম মিয়া বললো স্যারের একটি মিটিং আছে। এর ভিতরেই স্যারের ফোন। স্যার আসসালামু আলাইকুম। স্যার বলল বলল তুমি কোথায়। আমি বললাম আমিতো অফিসে। স্যার বলল তুমি থাকো আমি আসতেছি। বললাম জি স্যার জি স্যার। রহিম মিয়া আমাকে চা দিয়ে চলে গেল। এর ভিতরে অফিসে আমাদের ক্লাইন্ট একজন চলে এলো। বিদেশী বায়ার পুরো টিমটি বায়ারে চলে আসলো আমার রুমে। আমার চা খাওয়া হলো না তাদের দেখে। আমি দাঁড়িয়ে সবাইকে অভ্যর্থনা জানালাম। ধীরে ধীরে ম্যানেজার সাহেব আমার সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিল। যে হেতু প্রজেক্ট আমি নিজেই দেখি তাই আমার কাছে সবাইকে নিয়ে আসলো। আমি সবার সাথে ধীরে ধীরে পরিচয় হয়ে গেলাম। তাদের সাথে মিটিং সেরে প্রজেক্টটা পাকা করে ফেললাম। এই কাজটা বেশ বড় ধরনের কাজ হবে। এরাআসছে আমাদের সাথে কন্টাক করে ঢাকা সিটির ভিতরে একটি বড় ধরনের মেগা হাউজিং প্রকল্প নির্মাণ করবে। বায়ার দের জন্য ভালোভাবে খাবারের আপ্যায়ন করলাম। মিটিং শেষ করে বায়ারা ঘন্টা দুইর ভিতরেই চলে গেল। এর ভিতরেই স্যার অফিসে এসে পড়ল। স্যার আসামাত্রই আমাকে কল করলো তার রুমে। আমি তার রুমের দিকে রওনা হয়ে চলে গেলাম। পথে দেখা হলো হিসাব রক্ষক এর সঙ্গে। তার সাথে জিজ্ঞেস করলাম কি অবস্থা। সে বলল স্যারের মাথা দেখলাম খুব গরম খুব চিন্তিত। তারপরও আমি তার রুমে ঢুকে পড়লাম। ভুগতে সে বলল ও তুমি এসেছ বস। আমি নিজেই বললাম স্যার মিটিং কি সাকসেসফুল। কিছুক্ষণ বিলম্বিত করে মাথা উঠিয়ে বলল। না মিটিং সাকসেসফুল হয়নি। বরঞ্চ চিন্তা পরেগেলাম স্যার আমাকে বলল। আমি দেখলাম স্যারের মুখটা খুব মলিন হয়ে গেছে। আমি আবারো তাকে জিজ্ঞেস করলাম স্যার। কোন সমস্যা। সে আমাকে বলল হা। সম্ভবত এ বিলটি পেতে একটু সময় লাগতে পারে। আমি বললাম কেন স্যার। প্রজেক্টটি অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছে। প্রজেক্ট ঘোড়ার ভিতরে বিলের কি সম্পর্ক আছে। স্যার বলল ওই রাস্তা ফোর লেন এ রূপান্তরিত হচ্ছে। আমি বললাম তাতে আমাদের সমস্যা কোথায়। স্যার বলল যদি এক্সটেনশন হয় তাহলে আমাদের কাজের ভিতরে চলে আসবে। আর যদি এক্সটেনশন না হয়। তাহলে পুনরায় কাজের ডিজাইন চেঞ্জ হয়ে । নতুন টেন্ডার হতে পারে। এ বিষয়ে তো শহজ আমি বললাম। আমি বললাম যে কারণ সাধারণত রিটেন্দার হয় যদি নতুন কোনো ডিজাইন হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে রিটেন্ডার করতে পারে। এত সুবিধা হল যে আমাদের বিলটি পুনরায় না দিয়ে রিটেন্দার করা সম্ভব না। আর যদি এক্সটেনশন হয়। তাহলে ত আমাদেকাজের সাথে যোগ হয়ে যাবে। স্যার বলল আমি আর ভাবতে পারতেছি না তুমি এগুলো নিয়ে দেখো। আমি বললাম সমস্যা নেই আমি নেক্সট মিটিং এ আমি নিজেই থাকবো। এদিকে সকলে যে বায়ারএসেছিল তা নিয়েও স্যারের সাথে আলাপ করলাম। আমি এখন রুমে চলে গেলাম। রুমে গিয়ে দেখি আমার ছুটির দরখাস্তটা সামনে পড়ে আছে। দরখাস্তটা নিয়ে আবার স্যারের রুমে চলে গেলা। স্যারকে দিয়ে বললাম। স্যার আমার ছুটি লাগবে। আমি এক সপ্তাহের জন্য দেশের বাড়িতে যাওয়ার চিন্তা করতেছি বন্ধুর বিয়ে। স্যার শুনে পুরা মাথা কেঁপে উঠলো। কি বলো তুমি এক সপ্তাহের ছুটি নেবে। আমি বললাম স্যার আমার বন্ধুর বিয়ে আমার ছোটবেলার বন্ধু দরখাস্ত টা নিয়ে বলল। আমি জানিনা যতদিন লাগে তুমি ছুটি নাও। কিন্তু আমার ফোন পাওয়া মাত্রই তুমি আবার চলেএসো। বললাম ঠিক আছে স্যার। স্যার আমাকে বলল তুমি অফিসে না থাকলে আমি সবকিছু হারিয়ে ফেলি। তবে তুমি প্রজেক্টের বিডির সাথে একবার ফোনে আলাপ করে দেখ। আমি স্যারকে আশ্বাস দিলাম এ সব দিলাম স্যার এগুলো নিয়ে আপনার কোন চিন্তার দরকার নেই আমি দেখতেছি কি করা যায়। যেটুকু এই দপ্তরের সকলের সাথে আমার খুব ভালো যোগাযোগ আছে। তাই আমি তার সাথে আর এই ব্যাপার নিয়ে বেশি চিন্তা করলাম না। স্যার নিজেও জানে যে আমি এ ব্যাপার গুছিয়ে ফেলতে আমার কাছে কোন সময় লাগবে না। তাই আমি ছুটিটা অল্পের ভিতরে পেয়ে গেলাম। ঘড়ির কাটায় বিকেল পাঁচটা বেজে গেল। তাড়াতাড়ি আমার ব্যাগটিগুছিয়ে নিলাম। সবাই ধীরে ধীরে অফিস ছেরে বের হয়ে যাচ্ছে। আমি অফিস থেকে নামতে নামতে একটি ওভার ঠিক করলাম। সদরঘাট যাওয়ার জন্য।( বন্ধুর বিয়ের প্রথম খন্ড এখানে শেষ করলাম)
Comments
-
Shafin pro 1 month ago
গল্পটি এক একটা স্থানে একেক রকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল তাই গল্পটি পরিপূর্ণভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য সাপোর্ট করুন