এক দিনিই ভাইয়ের ইস্তেগফারের গল্প*
আমার ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) এর গল্প শুরু হয় প্রায় তিন বছর আগে।
সেই সময় আমি মানসিকভাবে এবং আবেগগতভাবে খুব কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম — আমার কোনো চাকরি ছিল না, বিয়ে হয়নি, গাড়ি ছিল না, এমনকি কোনো আয়ও ছিল না।
কিন্তু আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহে তিনি আমাকে কল্যাণের পথে পরিচালিত করলেন।
একদিন আমি একটি পুস্তিকা পড়লাম, যেখানে ইস্তেগফার এবং যারা নিয়মিত ক্ষমা প্রার্থনা করতেন তাদের জীবনের আশ্চর্য গল্পগুলো লেখা ছিল।
আমি আরও কিছু বক্তৃতা দেখলাম ইস্তেগফার সম্পর্কে এবং এর মহান ফজিলত নিয়ে।
তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমার জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করব।
আমি নিয়ত করলাম, প্রতিদিন অন্তত এক হাজারবার — বা তারও বেশি — আস্তাগফিরুল্লাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই) বলব।
এবং সত্যিই, আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে শুরু করলাম।
এখন, আল্লাহর অনুগ্রহে, আমি দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার বার ইস্তেগফার সম্পন্ন করেছি!
ভাবুন তো — মাত্র তিন বছরে আমার জীবন কতটা বদলে গেছে — আলহামদুলিল্লাহ!
আমি একটি দারুণ চাকরি পেয়েছি, ভালো বেতনে।
আমি বিয়ে করেছি, এখন আমার একটি পুত্রসন্তান আছে, আর আমার নিজের গাড়িও আছে।
আমি এখন শান্তি ও সুখের জীবন যাপন করছি — আর এগুলো শুধু বড় বড় নিয়ামতগুলোর কথা বললাম;
অনেক ছোট ছোট নিয়ামতও আছে, যা আমি গুনে শেষ করতে পারব না।
সব প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা একমাত্র আল্লাহর জন্য!
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, জানেন কেন আমি এই গল্পটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি?
ভালোবাসা থেকে — যেন আপনাদের মধ্যেও নতুন জীবন শুরু করার প্রেরণা জাগে।
কত সুন্দর হতো যদি আমরা প্রতিদিন এক হাজারবার — এমনকি তার চেয়েও বেশি — আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতাম!
কত সুন্দর হতো যদি আমাদের ঘরগুলো হয়ে উঠত ইস্তেগফারকারীদের ঘর, আর আমাদের শহরগুলো হয়ে উঠত ইস্তেগফারকারীদের শহর!
প্রিয়জনেরা, নিশ্চয়ই তোমরা জানো, আল্লাহ তাঁর মহিমান্বিত কিতাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে,
যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে — তিনি তাদের ক্ষমা করবেন, তাদের উপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন,
তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান বৃদ্ধি করবেন, এবং তাদের জন্য উদ্যান ও নদী সৃষ্টি করবেন।
সুবহানাহু — তিনি কত দয়ালু!
তাঁর ছাড়া কোনো উপাস্য নেই — তিনিই পরম করুণাময়, পরম দয়ালু।
তাঁর অনুগ্রহ কত মহান, আর তাঁর রিজিক কত বিস্তৃত!
©