নামাজের নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত বাকি যেকোনো সময়ে ২রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে নিই, ইন-শা-আল্লাহ।
মুনাজাতে নিজেদের মনের সমস্ত চাহিদা মন উজার করে রবকে বলতে থাকি....
📄হে অসম্ভবের রব, তুমি তো মারয়াম (আ) কে বন্ধ ঘরে রিজিক দিয়েছো, বৃদ্ধ জাকারিয়া (আ) এর বন্ধ্যা স্ত্রী-র কোলে ইয়াইয়া (আ) কে উপহার দিয়েছো, ঈসা ইবনে মারয়াম (আ)-কে পিতা ছাড়াই পৃথিবীতে পাঠিয়েছো, ইউনুস (আ) কে মাছের পেটে বাচিয়ে রেখেছিলে, আইয়ুব (আ) কে দীর্ঘ ১৮ বছর পর এমন সুস্থতা আর রাজত্ব দিয়েছো যে, ওনাকে দেখে কখনো মনেই হয়নি যে তিনি কী ভয়ংকর শারীরিক অসুস্থতার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন।ইয়া আল্লাহ! হে রহমান! হে গনিয়্যুন হালীম! তুমি তো সেই রব, যিনি কিনা আসমানকে খুঁটি বিহীন দাঁড় করিয়ে রেখেছো। আমার শরীরে দিয়েছো হাজারও কুদরত। আমার হাতে দিয়েছো ধরার শক্তি, আমার পায়ে দিয়েছো চলার শক্তি, আমার জিহ্বায় দিয়েছো স্বাদের অনুভব, হৃদয়ে দিয়েছো প্রচন্ড আবেগ, অনুভুতি আর ভালোবাসা। অথচ আমি কখনোই সেইরুপ কৃতজ্ঞতা কখনোই আদায় করতে পারিনি যে রুপ নিয়ামত ভোগ করে চলেছি। হে মালিক! তুমি তো মহান। এতোটায় মহান যে তুমি আমাকে আমার গুনাহের দরুন কখনোই তৎক্ষনাৎ শাস্তি দাওনি। আমার একান্ত গোপন গুনাহ, সব তুমি জানো। অথচ, তুমি শুধু বাহানা খুঁজো কীভাবে আমায় ক্ষমা করা যায়। তুমি চেয়ে থাকো কখন আমি তাওবা করবো আর তুমি তোমার রহমতের চাদরে আমায় ঢেকে নিবে! সুবাহানাল্লাহ। তুমি সত্যিই দয়ালু ও মহান।
ইয়া রব! আজ আমি এসেছি, আমার গুনাহভরা জীবন নিয়ে। আমি তাওবা করছি ইয়া রব।আমায় ক্ষমা করো। তোমার রহমতের চাদরে আমাকে ঢেকে দাও। আমি ভীষণ ক্লান্ত। আমি ভীষণ তৃষ্ণার্ত। তোমার ভালোবাসার পানি পান করাও। আমার জন্য কল্যাণকর সমস্ত কিছু দান করো। আমাকে অকল্যাণকর সমস্ত কিছু থেকে হিফাজত করো। আমার হৃদয়ের তৃষ্ণা মিটিয়ে দাও তোমার রহমতের অমেয় সুধা দ্বারা।
ইয়া রব! ক্ষমা করো! ক্ষমা করো আমাকে আর আমার সমস্ত মুসলিম ভাইবোনকে।
........