জামায়াতের পিআর নিয়া এনসিপি সমালোচনা করছে দেইখাই জামায়াত থেকে এনসিপিকে আলাদা কইরা দেখবার কিছু নাই। বরং পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলা দল ইতোমধ্যে পিআর ছাড়াই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে ফেলেছে। এবং এতদ্বারা পিআর কিচ্ছা খতম হোগায়া।
আমাদের মনে হয় নেক্সট নির্বাচন হবে মোটাদাগে বিএনপি খেদাও আন্দোলন। এই আন্দোলনে জুলাই গণ-আন্দোলনের মূল স্টেকহোল্ডার জামায়াত ও এনসিপিকে এককাতারে রাখবে। মুক্তিযুদ্ধ ও সেক্যুলারিজম প্রসঙ্গে জামায়াত ও এনসিপির মটো এক ও অভিন্ন। হ্যাঁ হতে পারত এনসিপি যদি ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপিত করতে পারত, তাহলে লাস্ট রেজিমে বঞ্চিতজনেরা, বিএনপি বা জামায়াতের দিকে ঝুলে পড়ার ঝোক যাদের নাই, সেই তারা প্রায় ঢালাওভাবে এনসিপিকে অগতির গতি মনে করত। সেটা যেহেতু হয় নাই, রাজনীতির কুরুক্ষেত্রে হেরে যাওয়া দলের লোক তাদের নিজেদেরটা বুঝে নিক গা।
সবদিক বিবেচনাতেই মনে হচ্ছে, চূড়ান্ত বিচারে এনসিপি, জামায়াত, এবিসিডি, বাম জোনায়েদ সাকি এবং নুরুল ইসলাম নুরু একদিকে থাকবে। তাদের এজেন্ডাই হবে আ.লীগ ভাগছে, এইবার বড় দল বিএনপি ঠেকাও। এতে যদি বিএনপি ঠেকে যায় দেশটার কী গতি হবে সেটা বলব না, তবে সতের বছর পীড়নের শিকার হওয়া বিএনপি আধমরা হয়ে যাবে। তখন ছোট ছোট দলগুলোর সুন্দরবনে গিয়ে বাঘ শিকারে মোটামুটি সুবিধাই হবে।
এমন এক পরিস্থিতিতে বিএনপির তাহলে কী করণীয়? ওদের প্রধান কাজ হবে সংঘবদ্ধ বাম-ডান হযবরল জোট থেকে এনসিপিকে বের করে এনে নিজেদের বলয়ে রাখা। এবং এটা যদি বিএনপি পারে তবে তাদের সম্ভাবনা দেখি। তবে বিএনপি যদি ভুলেও অতীত বিবেচনায় নিয়ে জামায়াতের সাথে জোট চিন্তা করে এতে এক পয়সার ফায়দাও বিএনপি পাবে না। ইনফ্যাক্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনই হবে না। ভঙ্গুর টাইপের জাতীয় সরকার-টরকার কিছু হতে পারে। ওটা বৈশ্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য শক্তিশালী কোনো রেজিম বলে কোথাও বিবেচিত হবে না।
আ.লীগের অবর্তমানে লীগ তাড়ানো এনসিপির কদর এখনো আছে এবং তাদের কদর বুঝতে হবে। একলা চলো নীতিতে অতি আত্মবিশ্বাসের ফল সবসময় মধুর নাও হতে পারে।
লেখক: সাংবাদিক
২০ অক্টোবর ২০২৫