Posts

ভ্রমণ

বরিশাল দুর্গাসাগরে ভ্রমনে যাচ্ছি।

November 5, 2025

Shafin pro

66
View

(বরিশাল দুর্গ সাগর ভ্রমণ প্রথম খন্ড)আমরা এখন বাসা থেকে রেডি হয়ে বের হচ্ছি। গাড়ির ভিতরে বাসার সামনে চলে এসেছি। বাসা থেকে চলে আসলাম গাড়িতে সায়েদাবাদ। সায়দাবাদ থেকে টিকিট নিলাম সাকুরা  পরিবহনে বরিশালের গাড়িতে উঠলাম। গাড়ি এখন পর্যন্ত ছাড়ার সময় হয়নি এখন বাজে সকাল আটটা 15। আর হয়তো পাঁচ সাত মিনিট পর গাড়ি ছেড়ে দেবে সাকুরা পরিবহন। আমরা সিট নিয়েছি প্রথম ড্রাইভার এর পরের সিটের দুই সিট তারমানে মোট চারসিট  নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করলাম। জানো যেতে যেতে আমরা পথে সব কিছু দেখতে পারি এই নিয়ে সামনের সিটগুলো বুকিং নি ব্যাপারটা আসলে মিস হয়েছেলাম। ধীরে ধীরে গাড়িগুলো সব সিট ভরে যাচ্ছে। আমরা দুজন চেয়েছিলাম যে সামনের সিটে বসব। কিন্তু দুই ছেলের আকুতি মিনীতির কারণে তাদেরকে সামনের সিট দুটো ছেড়ে দিতে হল। কারণ তারা বয়সে অনেক ছোট এই কারণে তারা দেখতে দেখতে বরিশাল যাবে। কারণ তাদেরকে নিয়ে ৫  বছর পর আবার রওনা দিলাম এই শহরের উদ্দেশ্য। এর ভিতরেই দেখা গেল যেসবব সিট ভরে গেছে কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল পাশের সিটের দুই সিট নিয়ে তর্ক শুরু হয়ে গেল। এক ই সিট নাম্বারে দুইটি টিকিট বের হলো। এ নিয়ে সুপারভাইজার আসলো। একটি টিকিট অনলাইনে কাটা আরেকটি টিকিট সরাসরি কাউন্টার থেকে কাটা। অনলাইনে টিকিট কাটার লোক দুজন আগেই এসে বসে পড়েছে। সাধারণত অনলাইনে টিকিট কাটলে কাউন্টারে এসে তার উপস্থিত জানানো উচিত ছিল। কিন্তু সে না জানানোর কারণে ওই সিটগুলোতে আর একটা টিকিট দেওয়া হয়ে গেছে। এ নিয়েই তর্ক হয়েছিল তবে সুপারভাইজার খুব দক্ষতার শহীত ব্যাপারটা অল্পতেই সামাল দিয়ে তাকে অন্য অন্য সিটে বসিয়ে দিল । গাড়ি এখন হরেন দিচ্ছে সুপারভাইজার কাউন্টার থেকে সব কিছু ওকে করে নিয়ে আসতেছে। এর ভিতরে আমরা পানি চীপস গাড়িতে খাওয়ার জন্য   অন্যান্য শুকনো খাবার নিয়ে নিলাম। এ নিয়ে দুই ভাই খুব একজন জানার চাইতে বসতে চাই দুজনই জানলার সাইডে বসার জন্য ঠেলাঠেলি করতেছে। সুপারভাইজার এর ভিতর ওকে পাস নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ল। উঠে আবার সবাইকে জিজ্ঞেস করলো আপনারা সবাই কি উঠে উঠেছেন না কেউ বাহিরে আছে। এর ভিতর একজন হাত জাগালো যে ভাই। আমার একজন লোক নিচে নেমেছে কিছু কেনার জন্য তাড়াতাড়ি চলে আসতেছে। এর ভিতর সুপারভাইজার দরজায় নেমে দেখল আসতেছে কিনা। হাত দিয়ে তাড়াতাড়ি ডাকত। দূরত্ব সে উঠে পড়ল। সুপারভাইজার গাড়ি ছাড়ার মিউজিক দিয়ে দিল। গাড়ি ধীরে ধীরে ড্রাইভার টানতে শুরু করলো। আস্তে আস্তে ডাইনে টানতে টানতে কিছুক্ষনের ভিতরেই হানিফ ফ্লাইওভার ওভারব্রিজে উঠে গেল। ব্রিজে উঠতেই ছেলে দুটো হা করে লাফ দিয়ে উঠলো। তারমানে তারা খুব খুশি হয়েছে। আমি বললাম তোমরা দুজন শক্ত করে বসো  সিট বেল্টবেধে না ও। গাড়ি কিছু গুণের ভিতরে ধোলাইপার  টোল প্লাজায় চলে আসলো। একটু সিরিয়াল আছে তবে বেশিখন সময় লাগবে না টোল দিয়ে বের হয়ে যেতে। টোল দেওয়া শেষ হয়ে গেল গাড়ি আবার অমনি টান দিয়ে জুরাইন ওভার বিরিজ থেকে পোস্তগোলা চলে এলো। পোস্তগোলা একটি ছোট কাউন্টার ছিল সেখান থেকে কিছু লোক উঠলো। টিকিটগুলা তাদের আগেই কাটা ছিল। যার কারনে পোস্তগোলা আর সময় লাগেনি। এখন আমরা বুড়িগঙ্গা ব্রিজের মাঝখানে। দুই পাশে আমরা নদীর রঙগুলো দেখতেছিলাম। চোখের পলকে পোস্তগোলা ব্রিজ বের হয়ে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে গেল। গাড়ি স্পিড নরমালি তখন একশ একশ বিশ এর উপরে হবে। একের পর এক গাড়ি ওভারটেক করে চলছে সাকুরা পরিবহন। কিছুক্ষণ পরপর হরেন বাজতেছে। ড্রাইভার খুব সতর্কতার সহিত  ডানে বাম হেলে দুলে টানতেছে। ১৫-২০ মিনিটের ভিতরেই আমরা ধলেশ্বর ব্রিজ চলে আসলাম। ব্রিজ দুটো এত উঁচু দেখে আমার ছেলে দুটো লাফ দিয়ে আমাদের দিকে দেখা ছিল। নাক মুখে তাদের এত আনন্দ দেখতে আমাদের খুব ভালো লাগলো মন ভরে গেল। দোলেশ্বর টোল প্লাজা শেষ করে আমরা আবার সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ২০-২৫ মিনিটের ভিতরে আবার আমরা চলে আসলম পদ্মা ব্রিজের কাছাকাছি।পদ্মা ব্রিজ উঠতে উঠতেই সবাই হয় করে দাঁড়িয়ে গেল। কেউ ডান দিক থেকে জানলা খুলে দেখতেছে কেউ বাম দিক থেকে জানলা খুলে দেখতেছে। কেউ আবার দাঁড়িয়ে সামনের দিকের ব্রিজের সম্মুখভাগ দেখতেছে। আমরাও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করলাম। ওদিকে ১৫ মিনিটের ভিতরে পদ্মা বৃষ্টি পার  হয়ে গেলাম। পদ্মা ব্রিজ শেষ করতে না করতেই অল্প সময়ের ভিতরেই আমরা চলে আসলাম আড়িয়াল খান নদীর উপর দিয়ে বৃষ্টি পার হয়ে যাচ্ছে। একটা জিনিস সুন্দর লাগলো সেটা হল আড়িয়াল নদীর পাশে সুন্দর কাজ বন্ধ ভেসে উঠেছে। সাকুরা পরিবহন আগাচ্ছে।  আড়িয়ালখার নদী পার হয়েই আমরা 15-20 মিনিট আনুমানিকের ভিতরেই আমরা চলে আসলাম ভাঙ্গার মোড়ে। ভাঙ্গার মোড়ে গাড়ি আসতে সেখানে কাউন্টার রয়েছে কাউন্টারে কিছুক্ষণ বিরোধী নিল। আমরাও বিরতি নিচ্ছি পরবর্তী বাকী অংশটুকু আপনাদের কেমন লাগলো প্রথম অংশটুকু জানালে আমরা বাকি অংশটুকু লিখতে সাহস পাব।( বরিশালদুর্গাসাগরের ভ্রমণের প্রথম অংশ শেষ করছি)

Comments

    Please login to post comment. Login