Posts

বিশ্ব সাহিত্য

চাঁদের পেছনের শহর

November 6, 2025

Md Josam

Original Author MD samim sikdar

Translated by MD Shamim sikdar

20
View

শিরোনাম: “চাঁদের পিছনে শহর”

রাতের আকাশ নিস্তব্ধ, তারার আলো চাঁদের উজ্জ্বলতার সঙ্গে খেলে যাচ্ছিল। শহরের মানুষ গভীর ঘুমে ডুবে, কিন্তু আরিয়ান তার ছাদের ধারে বসে ছিল, চোখ আঁটকে চাঁদকে চেয়ে। চাঁদ যেন তাকে ডাকছে, দূরের একটি শহরের দিকে—যা কেউ আগে দেখেনি।

আরিয়ানের মনে শিহরণ জাগছিল। ছোটবেলা থেকেই সে বিশ্বাস করত, চাঁদের পেছনে এমন একটি শহর আছে, যেখানে মানুষদের জীবনে দুঃখ নেই, সব মানুষ শান্তিতে থাকে। আজ আরিয়ান ঠিক করল, সে সেই শহরের রহস্য উদঘাটন করবে।

পরবর্তী রাতেই আরিয়ান নদীর ধারে গেল। নদীর পানি চাঁদের আলোয় সোনালি ঝলমল করছিল। হঠাৎ, সে লক্ষ্য করল নদীর মধ্য দিয়ে একটি উজ্জ্বল পথ খুলছে—মাটি নয়, রোদ ও আলো মিশিয়ে তৈরি একটি সেতু। ভয়, উত্তেজনা ও কৌতূহলের মধ্যে আরিয়ান সেই পথ ধরে হাঁটতে লাগল।

পথের শেষে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সে দেখল, চাঁদের পেছনের শহর। শহরটি বাস্তবের চেয়ে সুন্দর এবং রহস্যময়। রাস্তাঘাট, বাড়ি, উদ্যান—সবকিছু আলোকিত, যেন আলো জীবন্ত। মানুষেরা হেঁটে হেঁটে একে অপরকে সাহায্য করছে, কেউ দুঃখী নয়, সবাই হাস্যোজ্জ্বল।

আরিয়ান প্রথমে ভীত লাগলেও ধীরে ধীরে বুঝল, শহরের শক্তি ভালোবাসা, সংযম, ধৈর্য ও বিশ্বাস থেকে আসে। প্রতিটি মানুষের হৃদয় চাঁদের আলোতে পরিশুদ্ধ হচ্ছে।

সে শহরের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র লিয়াস এর সঙ্গে দেখা করল, যিনি শহরের রক্ষক। লিয়াস বলল, “শহরটি শুধুমাত্র কল্পনার মাধ্যমে জীবিত। এখানে কেউ ক্ষুধিত বা দুঃখী নয়। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন, ভালোবাসা এবং সাহস এখানে শক্তি দেয়। যারা সত্যিকারের হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করে, তাদের জন্যই শহরের রহস্য উন্মুক্ত হয়।”

আরিয়ান শহরের প্রতিটি প্রান্তে ঘুরল, খোলা মাঠে দৌড়ালো, নদীর ধারে বসে চাঁদের আলো অনুভব করল, ফুলের গন্ধে মুগ্ধ হল। প্রতিটি দৃশ্য তার কল্পনায় নতুন গল্পের জন্ম দিল।

শহরের মধ্যে সে একটি রহস্যময় ঘর দেখল। ঘরটির ভেতরে একটি উজ্জ্বল বই ছিল, যা নিজে নিজে উন্মুক্ত। বইয়ের পাতায় লেখা ছিল—“যারা স্বপ্ন দেখে, যারা ভালোবাসে, তাদের হাতেই এই শহরের শক্তি।” আরিয়ান খাতায় লিখতে শুরু করল—প্রতিটি ঘটনা, চরিত্র এবং অনুভূতি।

আরিয়ান দেখল, ছোট ছোট কাজের মধ্যেও শহরের শক্তি বিরাজমান—একজন মানুষ অন্যকে হাসি দিলে, কেউ দুঃখী মানুষকে সাহায্য করলে, কেউ সত্য কথা বললে, তখন শহরের আলো আরও উজ্জ্বল হয়।

শেষে, আরিয়ান ফিরে এল বাস্তব জীবনে। কিন্তু তার মনে, হৃদয়ে এবং খাতায় সেই চাঁদের পেছনের শহরের আলো, শান্তি এবং শক্তি চিরকাল রয়ে গেল। সে বুঝল—কল্পনা, ধৈর্য, সাহস এবং ভালোবাসা থাকলে, যে কোনো শহর বা জগৎ মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে।

শিখনীয় শিক্ষা:
স্বপ্ন, কল্পনা, ভালোবাসা ও ধৈর্য থাকলে মানুষের জীবন আলোকিত হয়। ছোট ছোট ভালো কাজ, সহানুভূতি ও সাহস সমাজকে শক্তিশালী করে এবং গল্প কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষের হৃদয়ও স্পর্শ করতে পারে।

সম্মানিত শামীম সাহেব, এখন আমি চাইলে ২ নম্বর শিরোনাম “নিঃশব্দের নদী” দিয়ে পরবর্তী গল্প শুরু করতে পারি।
আপনি কি চাইবেন আমি সেটা করি?

Comments

    Please login to post comment. Login