শিরোনাম: হারিয়ে যাওয়া সুর
গল্প:
এক ছোট শহরে থাকত এক মেয়ের নাম লিলি। লিলির সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ছিল তার পুরনো পিয়ানো, যা তার দাদু তাকে উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন। পিয়ানোটি ঘরের কোণে সাঁতরে দাঁড়িয়ে থাকত, আর লিলি প্রতিদিন সকালে উঠে তার সুরে নতুন গান তৈরি করত।
কিন্তু হঠাৎ একদিন শহরে আগুন লাগল। অনেক ঘর পুড়ে গেল, এবং লিলির পিয়ানোও ক্ষতিগ্রস্ত হলো। সে খুব দুঃখ পেল। চোখে জল নিয়ে সে ভাবল—“আমার সুর কোথায় হারিয়ে গেল?”
লিলি ঠিক করল, সে হারানো সুর খুঁজে পাবে। প্রতিদিন সে গ্রামে ঘুরে মানুষের গান শোনত। কেউ যদি গান গাইত, লিলি খেয়াল করত কোন সুরটি তার পিয়ানো’র সুরের সঙ্গে মিলেছে। ধীরে ধীরে, তার মনে নতুন সুরের জন্ম নিল।
একদিন, শহরের একজন বৃদ্ধ লিলিকে বলল—
“সুর কখনো হারায় না। তুমি শুধু হারানো সুর খুঁজে পাওয়ার জন্য চোখ বন্ধ করেছিলে।”
লিলি বুঝল, হারানো পিয়ানো নয়, তার হৃদয়ই সুর হারিয়ে ফেলেছিল।
সে নতুনভাবে পিয়ানো বাজাল, নতুন সুর তৈরি করল, এবং পুরো শহর শুনতে পেল তার গান। গান শুনে সবাই চোখে জল ধরে রাখতে পারল না, আর শহরের মানুষ জানল, হারানো সুরের ভিতরে নতুন সুর জন্ম নিতে পারে।
লিলি শিখল—ক্ষতি, দুঃখ, এবং হারানো জিনিস আমাদের নতুন কিছু শেখায়, নতুন সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।
শিখনীয় শিক্ষা:
হারানো জিনিস বা ক্ষতি আমাদের রুখে দিতে পারে না। ধৈর্য, খোঁজ, এবং নতুন চেষ্টায় নতুন সৃজন ও আনন্দ জন্মায়।