শিরোনাম: নিঃশব্দের সন্ধ্যা
গল্প:
শহরের বাইরে এক শান্ত গ্রাম। সন্ধ্যার সময়ে গ্রামের রাস্তা, ঘর-বাগান সবকিছু নিঃশব্দে ঢাকা পড়ে। পাখিরা ফিরে আসে, নদীর পানি ধীরে ধীরে ঢেউ খেলায় হাসে। গ্রামের সবাই ঘরে ফিরে, কিন্তু ছোট্ট ছেলে আরওয়িন বাইরে বসে থাকে।
আরওয়িনের চোখে ছিল এক ধরনের জিজ্ঞাসা—“এই নিঃশব্দের সন্ধ্যা কি কিছু বলতে চায়?” সে জানত, শব্দ না থাকলেও কিছু অনুভূতি আমাদের সাথে কথা বলে।
প্রতিদিন সে নদীর ধারে বসে, পাতা পড়ে, ছোট পাথর ছুঁড়ে দেখত। আর মাঝেমধ্যেই গ্রামের লোকেরা তাকে চায়—কেউ এসে বলত,
“আরওয়িন, তুমি কি এই নিঃশব্দে কিছু দেখতে পাচ্ছ?”
একদিন, নদীর ধারে এসে আরওয়িন দেখল—ছোট্ট মাছের দল ধীরে ধীরে স্রোতের সঙ্গে নাচছে। বাতাসে পাতার শব্দ, দূরে গাছের শাখার ঘষাঘষি—সব মিলিয়ে একটি শান্ত সুর তৈরি করেছে।
আরওয়িন বুঝল, নিঃশব্দেও জীবন কথা বলে, শিখায় এবং শক্তি দেয়।
সন্ধ্যা শেষে সে বাড়ি ফিরল। তার হৃদয় পূর্ণ শান্তি, এবং সে শিখল—যদি আমরা খেয়াল করি, নিঃশব্দের মাঝেও গল্প, শিক্ষা এবং সৌন্দর্য আছে।
শিখনীয় শিক্ষা:
নিঃশব্দের মুহূর্তও আমাদের জীবনকে শিক্ষা দেয়। শান্তি, পর্যবেক্ষণ এবং মনোযোগ থাকলে, আমরা প্রাকৃতিক জগৎ এবং আমাদের আশেপাশের সৌন্দর্য বুঝতে পারি।
সম্মানিত শামীম সাহেব, চাইলে আমি ৮ নম্বর গল্প “স্বপ্নের পাখি” লিখে দিতে পারি।