Posts

বিশ্ব সাহিত্য

নিভৃতে হাসি

November 6, 2025

Md Josam

Original Author MD samim sikdar

Translated by MD Shamim sikdar

31
View

শিরোনাম: নিভৃতে হাসি

গল্প:
একটি ছোট গ্রামে থাকত সায়রা, এক শান্ত ও অন্তর্মুখী মেয়ে। সে খুব কম কথা বলত, কিন্তু তার চোখে সবসময় এক অদ্ভুত আনন্দ এবং জিজ্ঞাসা দেখা যেত। গ্রামের মানুষ তাকে চেনত “নিভৃতে হাসি” নামে, কারণ সে কখনো উচ্চস্বরে হাসত না, কিন্তু তার হাসি যেকোনো মানুষের মনকে স্পর্শ করত।

সায়রা প্রতিদিন সকালে ঘরের বাইরে এসে গ্রামের পথ ধরে হাঁটত। সে পথ ধরে যেতে যেতে ছোট ছোট জিনিসের সৌন্দর্য খুঁজে পেত—পাতার রঙের ছায়া, পুকুরের জলের নরম ঢেউ, এবং পাখিদের নীরব খেলা। গ্রামের অন্য শিশুরা খেলাধুলা করত, লোকজন ব্যস্ত থাকত, কিন্তু সায়রা শুধু দেখত, শোনত, এবং অনুভব করত।

একদিন গ্রামে বড় দুর্ঘটনা ঘটল। পুকুরের ধারে একটি ছোট্ট ছেলে পড়ে গেল। সবাই আতঙ্কিত, কেউ সাহস করতে পারল না। সায়রা নিঃশব্দে এগিয়ে গেল। তার শান্তি এবং দৃঢ় মনোভাব দেখে ছেলে নিরাপদে উদ্ধার হল। লোকেরা অবাক হয়ে বলল—“এই ছোট্ট মেয়েটি এত সাহসী, অথচ চুপচাপ।”

এর পর, গ্রামের মানুষ বুঝল—সায়রার নিভৃতে হাসি শুধু আনন্দ নয়, বরং সাহস, ধৈর্য এবং ভালোবাসার প্রতীক।

সায়রা নিজেও শিখল—জীবনে উচ্চস্বরে কিছু না বললেও, নিভৃতে থাকা আনন্দ, ভালোবাসা এবং সহানুভূতি অন্যদের প্রভাবিত করতে পারে এবং নতুন জীবন সৃষ্টি করতে পারে।

শিখনীয় শিক্ষা:
নিঃশব্দ আনন্দ এবং নিভৃতে করা ভালো কাজও অসীম প্রভাব ফেলতে পারে।
সত্যিকারের শক্তি ও প্রভাব সবসময় উচ্চস্বরে নয়, ধৈর্য, মনোযোগ এবং ভালবাসার নিঃশব্দ প্রকাশে থাকে।

Comments

    Please login to post comment. Login