তাড়াহুড়া করে গোসল করে নিলাম। বন্ধুর সাথে বরিশাল থেকে মির্জাগঞ্জ মাজার গিয়ে মসজিদে জুমার নামাজ পড়বো সেখানে। আমার বাইক নিব না বন্ধুর ভাইকেই মির্জাগঞ্জ মাজার জিয়ারতে যাব। গোসল ভালো করে শেষ করলাম। পাঞ্জাবি পায়জামা নামালাম আলমারি থেকে। একটু আদরের তো খুবই দরকার ছিল কিন্তু আতর তো খুঁজে পাচ্ছি না কোথাও। তাই বাসার সব খুঁজে না পেয়ে একটু হালকা সেন্ট মেরে নিলাম। সেন্ড এর ঝাঁজ অবশ্যই একটু বেশি হয়ে গেছে। যাক তাতে কোন সমস্যা নেই। টুপিটা একটা ভালো টুপি খুজতেছিলাম কিন্তু হার্ট টুপি পাচ্ছিলাম না। পরে একটি কালো হাট টুপি পেলাম। বেশ মাথায় খুব কারুর কাজ করা। তবে বেশি কাজ কড়া টুপি কাছে জন্য আবার ভালো লাগতেছিল না। এর ভিতরেই বন্ধু এসে হর্ন বাজাচ্ছে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আয়। দেরি হয়ে গেলে আবার নামাজ ধরতে পারবো না। সেন্টালটা বের করতেই দেখি স্যান্ডেলের ধুলা পড়ে আছে। দূরত্ব সেন্ট্রাল টা পরিষ্কার করে নিলাম বাড়ি দিয়ে। মাকে ডাক দিয়ে বললাম মা দরজা বন্ধ করে দাও আমি মির্জগঞ্জে যাচ্ছি নামাজ পড়তে । দরজা টান দিয়ে আমি বাহিরে বের হয়ে গেলাম। বন্ধু চিকিয়া চিকিতে বলল আরে ব্যাটা এত সাজগোজ করা লাগে নাকি। আমি বললাম দ্রুত চল। বন্ধু বাইকটি স্টার্ট দেয়। আমি উঠে পরলাম বাইকের উপরে। কিছুদূর যেতেই মনে পড়লো যে হেলমেট তো আমার মাথায় নেই। ওর মাথায় ও ছিল না। দুজন জিজ্ঞেস করলাম যে পথে হেলমেট ছাড়া যাওয়া ঠিক হবে কিনা। যেহেতু মেনরোড দিয়ে যেতে হবে সেখানে হয়তো ট্রাফিক পুলিশ ঝামেলা করতে পারে। এখন আবার হেলমেট যদি আনতে যেতে হয় তাইলে ওর বাসা তো আরো দূরে। তাই আবার আমাদের বাসায় চলে গেলাম হেলমেট আনতে। বাসার সামনে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ করা। বেল দিচ্ছি কিন্তু দরজা তো খুলতেছে না। তাই আমি বড় দরজার বেল ধরেই রাখলাম । মা হঠাৎ চিৎকার দিয়ে বলল কিরে দরজা এত তাকাচ্ছিস কেন । আরে হেলমেট নেইনাই হেলমেট দুটো দিয়ে দাও তাড়াতাড়ি। তাড়াতাড়ি গাড়ি উপর থেকে হেলমেটটা নিয়ে হেলমেট দুটো নিয়ে নিলাম। দ্রুত দৌড়িয়ে যায় আবার গাড়ি স্টার্ট দিতে বললাম। হাতে সময় খুব কম। টুপিগুলো পকেটের ভিতরে রেখে। দুইজন দুইটি মাথায় নিয়ে নিলাম হেলমেট। গাড়ি এখন দ্রুত চালাচ্ছে আমার বন্ধু। আমি বললাম বেশি তাড়াহুড়া করিস না। বলল সময় তো হাতে কম গিয়ে নামাজ ধরতে পারবো কিনা জানিনা। কিছুক্ষণের ভিতরে রুপাতলী চলে আসলাম পাম্পে তেল নিতে। তেল নিতে গিয়ে পাম্পে ঢুকে দেখি নামাজের জন্য বিরতি। আর এক পাম্পে গিয়ে তাড়াহুড়া করে তেল নিয়ে আবার বের হয়ে গেলাম। এখন আমরা কীর্তনখোলা নদীর ব্রিজ পার হচ্ছি। কিছুক্ষণের ভিতরই আমরা বাকেরগঞ্জ চলে আসলাম। বাকেরগঞ্জ একটু চা পানি খেয়ে। আবার রওনা হয়ে গেলাম মির্জগঞ্জের উদ্দেশ্যে। রাস্তা ততটা ভালো ছিল না বিধায় আস্তে আস্তে চালাতে হল। এমনিতো শীতের দিন তাছাড়া আবার ধুলো বালি রাস্তায় উঠতেছে। ও যে কথা বলা হয়নি । সাগর দিয়ে আসতেই দেখি যে মোবাইল কোট দাড়িয়ে গেছে। সব গাড়িগুলোর তল্লাশি করতেছে। ভাগ্যিস আমরা হেলমেট এনেছিলাম। আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে পথ চলতেছি। সিএনজি অটোরিকশা কারণে গাড়ির দ্রুত চালাতে পারতেছি না। বন্ধু আমাকে বলল তুই নিজে চলা। ও নেমে গেল আমি নেমে গেলাম তারপর আমি উঠে আবার চালানো শুরু করলাম। বাবা যেতে যেতে মাজার ব্যথা হয়ে গেছে। কোনরকম মির্জাগঞ্জ এসে দাঁড়ালাম। এদিকে জুম্মার নামাজ শুরু হয়ে গেছে সময় হাতে নেই তাই বাকি অংশটুকু নামাজের পর শুরু করব।( খন্ড এক এখানেই শেষ করছি)
Comments
-
Shafin pro 4 weeks ago
নামাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে কমেন্টস বল কমেন্ট বক্সে বেশি লিখতে পারলাম না