সাহিত্যে নোবেলজয়ী নাইজেরিয়ার লেখক ওলে সোয়িংকা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য তার অনাবাসিক ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তার বিশ্বাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করার কারণে এটি ঘটেছে।
নাইজেরিয়ার লাগোসে অবস্থিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কঙ্গিস হার্ভেস্ট গ্যালারিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির একটি ফল। আমি যদি আবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাই, তবে আমাকে আবার আবেদন করতে বলা হয়ে্ছে। আমি আসলে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে আগ্রহী নই। তবে মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন, তার সঙ্গে শালীন আচরণ করা উচিত।
সোয়িংকা দীর্ঘকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা করেছেন এবং পূর্বে তার গ্রিন কার্ডও ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আট বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রতিবাদ হিসেবে গ্রিন কার্ডের মর্যাদা স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেছেন তিনি।
নোবেলজয়ী এই লেখক আরও জানিয়েছেন, ২৩ অক্টোবর মার্কিন কনসুলেট থেকে তার কাছে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, তার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হবে। এর জন্য তাকে তার পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় মার্কিন কনসুলেটে উপস্থিত হতে হবে। এর আগে সাক্ষাতের সময় নির্ধারণের জন্য কনসুলেট কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল পাঠাতেও বলা হয়েছে।
৯১ বছর বয়সী এই লেখক বলেছেন, সম্প্রতি আমি ট্রাম্পকে উগান্ডার স্বৈরশাসক 'ইদি আমিনের শ্বেতাঙ্গ সংস্করণ' হিসাবে উল্লেখ করেছিলাম। আমার বিশ্বাস, এ কারণে আমার ভিসা বাতিল করার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আমার কোনো ভিসা নেই। অবশ্যই, আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি আপনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চান, তাহলে আপনি জানেন আমাকে কোথায় পাবেন।
উল্লেখ্য, ওলে সোয়িংকা ১৯৮৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। প্রথম আফ্রিকান হিসেবে মর্যাদাবান এই পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন