ব*ক্ষ ভাঁজের উপর কারোর হাতের স্পর্শ পেতেই পুরো শরীর শিউরে ওঠলো রোজের।পেছনে ফিরেই দেখতে পায় একটা ছয় ফুট উচ্চতার সুঠামদেহী পুরুষ দাঁড়িয়ে।
"কে তুই।তোর সাহস তো কম না। আমার বেডরুমে এসে আমাকে স্পর্শ করিস।তুই জানিস আমি কে? তোর হাত দুটো কেটে রাস্তার কুকুর কে খাওয়াবো "বাক্যে শেষ করেই রাগেরবশে লোকটার গালে চড় মারতে যাবে তার আগেই লোকটা রোজের কোমড় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিজের দিকে টেনে আনে।লোকটার কাছ থেকে ছাড়া পেতে ছটপট করতে করতে লোকটার হাতে কা*মুড় বসিয়ে দৌড় দেয় রোজ।রাগে গজগজ করতে করতে নিচে ডাইনিং স্পেসে চলে এসেই চিৎকারে করে নিজের বাবাকে ডেকে বলে,
বাবা!বাবা!...।এই লোক আমার বেডরুমে যাওয়ার সাহস কই পেলো?কে এই লোক।আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে কে দিয়েছে?"
ইমরান সাহেব মেয়ের কথা সিঁড়ি দিকে তাকিয়ে লোকটাকে নামতে দেখে ব'লে উঠেন,
বাবা, ইউভান।তুমি ওর কথায় কিছু মনে করো না ও এরকমি জেদি"
নিজের বাবাকে এই নোং*রা লোকটার সাথে শান্ত সুরে কথা বলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে রোজ।কিছু বোঝে উঠার আগেই ইউভান এসেই রোজকে তার বাবার সামনেই তার কোমড় জড়িয়ে ধরে হেঁচকা টানে নিজের মুখোমুখি করে গম্ভীর সুরে বলে,
শরীরে অনেক তেজ তোর তাই না।তোর এই তেজ কিভাবে মিটাতে হয় তা ইউভান চৌধুরী খুব ভালো করেই জানে। "আর এতক্ষণ যেনো কি বলছিলি আমার হাত কেটে রাস্তার কুকুর কে খাওয়াবি?"তার উপরে আমায় তুই তুই করে বলছিলি এতক্ষণ তাই না।
এতক্ষণ যেটা আমার বাড়ি, আমার বাড়ি করছিলি।সেটা আমি কিনে নিয়েছি।আন্ডারস্ট্যান্ড??"
ইউভান এবার টেবিলে থাকা ছুড়িটা রোজের হাতে চেপে ধরেতেই ফিনকি দিয়ে তা থেকে র*ক্ত বের হতে থাকে।
রোজ যন্ত্রণায় কেঁদে ফেলে।বাবার দিকে তাকিয়ে নিজের বাবাকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বুঁকটা ফেটে যাচ্ছে তার।ইনি কি আসলেই তার বাবা।নিজের মেয়েকে এভাবে চোখের সামনে কষ্ট দেয়া লোককে সে কিছুই বলছে না।
।চোখেরজল মুছার আগেই ইউভান রোজের হাত ধরে ইমরান সাহেবের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে কপাল ছুঁয়া চুল গুলো বেকব্রাশ করে বলেশুনুন,আপনার এই হ'ট সুন্দরী মেয়েকে আমি আমার সাথে নিয়ে যাচ্ছি।বিনিময়ে এই বাড়িটা আপনার নামে লিখেদিবো।সেই একটা কড়া মা'ল আপনার এই মেয়ে।আপনার বাড়িতে এতো সুন্দর মা'ল আছে তা না আসলে জানতামই না।একে আমার চাই।ডিল ডান।ওকে?"একটা মানুষের দৃষ্টি এতোটা জঘন্য কি করে হতে পারে তা রোজের জানা নেই।রোজকে টানতে টানতে ইউভান রিক চৌধুরী তূর্জ হাউস ত্যাগ করে।রোজের আজ নিজের প্রতি করুণা হতে থাকে।কত নির্মম তার ভাগ্যে দুনিয়াতে নিজেকে আজ বড্ড একা ফিল হতে থাকে।চলে আসার সময় বাবার উপর সমস্ত ক্ষোভ সরিয়েও শেষ বারের মতো পিছনে ফিরে তাকায়নি আর।একটা বিশাল ডুপ্লেক্স প্যালেসের সামনে এনে মার্সিডিজ কারটা থামায় ইউভান।
নিশ্চয়ই এই বিশাল বাড়িটা এই মনস্টার লোকটারই হবে,মনে মনে ভাবতে থাকে রোজ,পুরো রাস্তা শুধু কেঁদে কেঁদেই এসেছে রোজ। চোখ মুখ লাল হয়ে ফুলে উঠেছে।