নীরবতার ভিতরে তুমি
রিশাদের জীবন — পর্ব ৭: সংকল্পের বিকেল
রিশাদ বিকেলের হালকা সূর্যের আলোয় জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরে তাকাল। আকাশে মৃদু ধূসর মেঘ ভেসে যাচ্ছে, বাতাসে ভেজা মাটির গন্ধ। প্রতিটি কিরণ যেন তার মনকে নতুন উদ্দীপনা দিচ্ছে। গত দিনের কষ্ট আর হতাশা তাকে ভেঙে দিতে পারেনি; বরং শক্তি ও দৃঢ়তা দিয়েছে।
বিকেলের নিস্তব্ধতায় সে ভেবে দেখল, জীবন শুধুই বাধা নয়; প্রতিটি মুহূর্তই নতুন শক্তি আর নতুন সম্ভাবনার বার্তা বহন করে। পাখির কিচিরমিচির, বাতাসের নরম স্পর্শ, দূরের শিশুর হাসি—সবই তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল, জীবনকে মূল্য দিতে হবে।
ডেস্কে ফিরে সে কলম ধরল। প্রতিটি শব্দে তার হৃদয়ের গভীর অনুভূতি—দুঃখ, হাসি, প্রেম, আশা, সংগ্রাম—প্রকাশ পাচ্ছিল। লেখা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো, প্রতিটি লাইন যেন তার অভ্যন্তরীণ শক্তিকে আরও দৃঢ় করছে। প্রতিটি বাক্য তাকে স্মরণ করাচ্ছে, জীবনের লক্ষ্য শুধু বাঁচা নয়; বরং নিজের অনুভূতি, স্বপ্ন এবং লক্ষ্য পূরণের সংগ্রামও গুরুত্বপূর্ণ।
আজ রিশাদ সিদ্ধান্ত নিল, জীবনের প্রতিটি বাধা অতিক্রম করবে। প্রতিটি চেষ্টা, প্রতিটি পদক্ষেপ তাকে আরও সাহসী এবং দৃঢ়চেতা করছে। সে জানে, জীবনের প্রকৃত মূল্য সংগ্রাম, অধ্যবসায় এবং প্রত্যয়। প্রতিটি লেখা শুধু তার নিজের জন্য নয়, পাঠকের জন্যও আশা এবং প্রেরণার প্রতীক।
বিকেলের সেই নিস্তব্ধতা, বাতাসের নরম হাওয়া এবং দূরের পাখির কিচিরমিচির তাকে স্মরণ করাল—জীবন স্বপ্নের জন্য, লক্ষ্য অর্জনের জন্য এবং নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য। আজ রিশাদ বুঝল, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। প্রতিটি ক্ষুদ্র কাজ, প্রতিটি অনুভূতি তাকে নতুন শক্তি দিচ্ছে, যেন প্রতিটি দিন একটি নতুন অধ্যায় হয়ে ওঠে।
আজ রিশাদ আরও স্থিরসংকল্প হলো, তার লক্ষ্য স্পষ্ট: যে কোনো পরিস্থিতিতেই সে থামবে না, প্রতিটি লেখা হবে তার জীবনের গল্প, প্রতিটি গল্প হবে পাঠকের জন্য প্রেরণার আলো। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সে উচ্চারণ করল সাহস, আশা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে, যেন এই বিকেলের শান্তি তাকে চিরদিন শক্তি