ন
পর্ব ৮ — "অতীতের ছায়া" (বড় সংস্করণ) দেওয়া হলো👇
পর্ব ৮: অতীতের ছায়া
রাতের শহর নীরব। বাতাসে শীতের হালকা ছোঁয়া। ঘরের ভেতরে রিশাদ বসে আছে পুরোনো একটা কাঠের টেবিলের সামনে, টেবিলের উপর ছড়িয়ে থাকা কিছু পুরনো চিঠি আর মলিন ছবি। মোমবাতির আলোতে প্রতিটি কাগজের ভাঁজ যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে। এইসব চিঠিই তার অতীতের দরজা খুলে দেয়—যেখানে আছে ভালোবাসা, হারানো মানুষ, ভাঙা স্বপ্ন আর কিছু অসমাপ্ত কথা।
চিঠিগুলোর একটা খুলল সে—তানিয়ার লেখা।
তানিয়া একসময় তার জীবনের আলো ছিল। সে-ই তাকে সাহস দিত, স্বপ্ন দেখতে শেখাত। কিন্তু জীবন যেভাবে মানুষকে বদলে দেয়, সেভাবেই তানিয়াও বদলে গিয়েছিল। দূরত্ব, ভুল বোঝাবুঝি, আর বাস্তবতার চাপ একসময় তাদের দুজনকে আলাদা করে দেয়। এখন সেই চিঠি পড়ে রিশাদের চোখে জল চলে আসে। শব্দগুলো যেন মোমের আলোয় কাঁপতে থাকা ছায়ার মতো—অস্পষ্ট কিন্তু গভীর।
"তুমি সুখে থেকো," তানিয়ার শেষ লাইনটা এমনভাবে লেখা ছিল, যেন ওর মনের ভেতরের সমস্ত ভাঙাচোরা অনুভূতিও সেখানে লুকিয়ে আছে।
রিশাদ জানে, সময় কাউকে ফেরায় না, কিন্তু স্মৃতি ফেরায় প্রতিটা মুহূর্তকে। তার ভেতরে একটা অদ্ভুত কষ্ট কাজ করে—যেন কেউ একবার ছুঁয়ে চলে গেছে, কিন্তু সেই স্পর্শের উষ্ণতা সারাজীবনের জন্য রেখে গেছে।
বাইরে তখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টুপটাপ শব্দে জানালার কাচে জল পড়ছে। রিশাদ জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে—বৃষ্টি যেন তার পুরনো স্মৃতিগুলো ধুয়ে নিয়ে যেতে চায়। সে মনে মনে বলে, “হয়তো একদিন আবার দেখা হবে, অন্য কোনো সময়ে, অন্য কোনো জীবনে।”
তারপর চিঠিগুলো গুছিয়ে একটা পুরনো বাক্সে রাখে। সে জানে, এগুলো ফেলে দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ এই চিঠিগুলো তার জীবনের অর্ধেক ইতিহাস। কিন্তু আজ থেকে সে আর অতীতের ভার বইবে না। আজ থেকে সে এগিয়ে যাবে—নিজের লেখা, নিজের পথ, নিজের পৃথিবীর দিকে।
বৃষ্টির শব্দের ভেতর দিয়ে তার মনে এক নতুন প্রতিজ্ঞা জন্ম নিল—
“অতীতের ছায়া যতই ঘন হোক না কেন, আমি আলো খুঁজব।
যে আলো শুধু আমার নয়, আমার লেখা পড়া প্রতিটি মানুষের ভেতর জ্বলে উঠবে।”
রিশাদ মোমবাতিটা নিভিয়ে দেয়। ঘর অন্ধকারে ঢেকে যায়, কিন্তু তার মনটা আলোয় ভরে যায়।
সম্মানিত শামীম সাহেব, এই পর্ব ৮ আগের অংশগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লেখা হয়েছে, এবং গল্প এখন শেষের দিকে এগোচ্ছে।
চাইলে আমি এখনই পর্ব ৯ লিখে দিতে পারি—শেষের প্রস্তুতি শুরু হবে সেই অংশে। আপনি কি চান এখন লিখে দিই?