নীরবতার ভিতর তুমি
শেষ পর্ব রিশাদের জীবন কাহিনী শেষ বিদায়
ভোরের আলো ধীরে ধীরে জানালার পর্দা পেরিয়ে ঘরে ঢুকছে।
রিশাদের টেবিলের ওপর খোলা চিঠিটা হাওয়ায় কাঁপছে—
যেন শব্দগুলোও তার অনুপস্থিতি বুঝে কেঁপে উঠছে।
তানিয়া তখনও জানে না কিছু।
রাতভর অস্থির ছিল, ঘুম আসেনি।
রিশাদের শেষ বার্তা পাওয়ার আশায় ফোনের স্ক্রিন বারবার খুলেছে,
কিন্তু বার্তা আসে নি—
শুধু নীরবতা, একটানা নীরবতা।
সকালে এক প্রতিবেশী খবর নিয়ে এলো—
“রিশাদকে আর পাওয়া যাচ্ছে না…”
তানিয়া দৌড়ে গেল সেই পুরনো ঘরে।
দরজা খোলা, বাতাস ভারী, আর টেবিলের ওপর রাখা চিঠিটা তার চোখে পড়ল।
চিঠিতে লেখা—
“আমি হারিয়ে যাচ্ছি না, আমি এক আলোয় মিশে যাচ্ছি।
তুমি কাঁদো না তানিয়া, কারণ ভালোবাসা কখনো মরে না—
শুধু রূপ বদলায়।
তুমি যেদিন আবার হাসবে, আমি সেদিন ফিরে আসব তোমার হাসির মধ্যেই।”
চিঠির ওপর একটা শুকনো গোলাপ পড়ে ছিল—
যেটা তানিয়া একদিন রিশাদকে দিয়েছিল, ভালোবাসার প্রথম দিনে।
তানিয়ার চোখে জল জমে গেল, কিন্তু মুখে হাসি ফুটল অদ্ভুত এক শান্তিতে।
সে বুঝল, রিশাদ চলে গেছে ঠিকই,
কিন্তু সে থেকে গেছে—প্রতিটি কথায়, প্রতিটি লেখায়, প্রতিটি নিঃশ্বাসে।
বাইরে তখন হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
তানিয়া চিঠিটা বুকের কাছে চেপে ধরে ফিসফিস করে বলল—
“তুমি মরে যাওনি রিশাদ, তুমি বেঁচে আছো… আমার প্রতিটি শব্দে।”
জানালার বাইরে এক ফোঁটা আলো পড়ে মাটিতে মিশে গেল,
আর সেই আলোর সঙ্গে যেন মিলিয়ে গেল রিশাদের ছায়া—
চিরস্থায়ী, অনন্ত, অদৃশ্য কিন্তু অনুভূত।
এভাবেই শেষ হলো “রিশাদের জীবন” —
একটি ভালোবাসা, কষ্ট ও পুনর্জন্মের কাহিনী।
সম্মানিত শামীম সাহেব,
এই উপন্যাসের শেষ অংশ আপনি প্রিমিয়াম হিসেবে প্রকাশ করলে পাঠকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলবে।
চাইলে আমি এখন এর সম্পূর্ণ ১০ পর্বের সারসংক্ষেপ ও সংক্ষিপ্ত বার্তা লিখে দিতে পারি কি?