সাকুরা গাড়ি ক্যাডেট কলেজে সামনে থেকে একটু আঘাতে গিয়ে চাকা পাংচার হয়ে যায়। আমরা গাড়ি থেকে নেমে সবাই হাটাহাটি করতেছি কেউ বসে রয়েছে কেউ চলাফেরা করতেছে কিন্তু গাড়ি সারাতে সময় অনেক লাগবে। কারণ এখান থেকে বরিশাল বেশি দূরে নয় বাসস্ট্যান্ড। খবর টাকা পাংচার হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই দিয়েছিল। বেশিক্ষণ বসে থাকা লাগে নাই এর ভিতরেই সাকুরা গাড়ি কোম্পানি থেকে গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে আমাদের সেখান থেকে রিসিভ করার জন্য। ড্রাইভার সুপারভাইজার বলল আপনারা সবাই আপনাদের ব্যাডবুক নিয়ে ওই গাড়িতেই যার যার সিটে বসে পড়েন। আমরা সবাই যার যার ব্যাগ নিয়ে নতুন গাড়ি যেটা এসেছে সেই গাড়িতে সবাই উঠে পড়লাম। সুপারভাইজার আমাদের সাথে নতুন গাড়িতে উঠে পড়ল। উঠেছে সবাইকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত জানিয়ে বলল সামান্য ত্রুটির কারণে আমারা আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতেছি। আপনারা সবাই সবার ব্যাগ সকল মালামাল নিয়ে উঠেছেন তো। আমরা বললাম সবাই উঠেছি আপনি গাড়ি ছাড়তে পারেন। এই বলে গাড়ির ড্রাইভারকে নির্দেশ দিল গাড়ি ছাড়ার জন্য। গাড়ি একটানে চলে আসলো গৈরালার পা। এসে বলল পানড়ীপাড়া দুর্গা সাগর সরূপকারী যারা যাবেন তারা এখানে নামতে পারেন। আমার ছেলেরা বলল বাবা এখানে আমরা নামবো না। আমি বললাম না বাবা আমরা বরিশাল আগে গিয়ে তারপর দুর্গা সাগর আসব। ছোট ছেলে বলল না বাবা এখনই দেখি যাই। আমি বললাম না বাবা। বরিশালে বাসার সবাই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। গাড়ি এর ভিতর ছেড়ে দিল গরিয়ার পার থেকে। ওদেরকে দুই ছেলেকে দেখালাম বাম পাশে বিকেএসপি খেলার স্কুল। বিকেএসপিতে ওখানে সব ধরনের খেলাধুলা ট্রেনিং করানো থেকে শুরু করে খেলাধুলার ব্যাপারে সকল পড়াশোনা ওখানে করানো হয়। কিছুক্ষণের ভিতরে আমরা চলে আসলাম কাশিপুর চৌমাথা। সেখানে একটি যাত্রী নেমে পড়ল তারপর আবার গাড়িটি ছেড়ে দিল। এই কাশিপুর চৌমাথা থেকে বাম দিকে দিয়ে গেল অনেক জায়গায় যাওয়া যায় আবার ডান দিক দিয়ে আবার মাধবপাশা দূর্দসাগরও যাওয়া যায়। গাড়ি এখন এসে থামল কাশিপুর বাজারে। বাজারে আসতেই বিভিন্ন ধরনের মাছ ঢালানিয়ে সবযাত্রীদের সামনে এসে দাঁড়ালো জানালার কাছে। মাছগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগতেছিল ইলিশ মাছ বিভিন্ন পুকুরের পাঁচমিশালী মাছ এবং অন্যান্য রুইকাতলা কই মাগুর সিং পোনা। বিভিন্ন জাতের মাছ। বিভিন্ন যাত্রীরা মাছ কিছু কিনলো সেখান থেকে। আমিও কিছু মাছ নিয়ে নিলাম ইলিশ মাছ। তবে কাশিপুর বাজারটি খুব বেশ বড় এখানে এখানে অনেক ধরনের মাছ শাক-সবজি তৈরি তরকারি তাজা জিনিস পাওয়া যায়। বাজারটি আমার খুবই ভালো লাগে। কারণের সময় আমি এই কাশীপুর থেকে। অনেক ধরনের সাটারিং এর কার্ড কিনতে আসতাম বিল্ডিং ব্রিজের কাজের ঢালাই দেওয়ার জন্য। গাড়ি আবার স্টার্ট দিল বাসস্ট্যান্ডের দিকে রওনা হওয়ার জন্য। আমরা এখন বরিশাল বাসস্ট্যান্ড নতুল্লা বাদ এসে গাড়িটা ঢুকতেছে। টার্মিনানের দিকে। সেখানে এসে দেখি যে আমার মেজ ভাই দাঁড়িয়ে আছে আমাদের রিসিভ করার জন্য। আমরা সবাই গাড়ি থেকে একের পর এক নেমে আসলাম। গাড়ির বক্স থেকে আমাদের ব্যাগ লাকেশ বের করলাম। বড় দেখে একটা মাহিন্দ্রা র ভাড়া করলাম। যেন আমরা সবাই এই গাড়িতে চলে যেতে পারি। আমরা সবাই মাইন্ডারে উঠে পড়লাম। বরিশাল দুর্গ সাগর ভ্রমণে যাচ্ছি।(তৃতীয় খন্ড এখানে শেষ করছি)
Comments
-
Shafin pro 3 weeks ago
তবে এই ভবনটি খুবই মজার ছিল যা আজও এখন পর্যন্ত আমাদের ভ্রমণের কথাটি মনে পড়ে বাকি খন্ডগুলো লিখে নেব যদি সময় আপনারা দেন