Posts

চিন্তা

মন:কষ্ট -০৪

November 15, 2025

Shams

22
View

বর্তমানে সরকারি প্রশিক্ষণ, সেমিনার বা মিটিং, টেন্ডার উন্মুক্তকরন/ মূল্যায়নের  জন্য নির্ধারিত সম্মানী অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কর্মকর্তাগণই পান। অথচ এইসব কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদনে অনেক  কর্মচারী যেমন টাইপিস্ট,  পিয়ন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এসব কাজে কার্যকরী কাজ—ডাটা প্রস্তুত করা, উপস্থিতি রেজিস্টার তৈরি, প্রতিবেদন টাইপ করা, প্রজেকটর সাজানো—এসবের দায়িত্ব এসব কর্মচারীর ওপরই বর্তায়। তবুও তারা কোন সম্মানী পান না, যা একটি প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য তৈরি করছে।
অন্যদিকে, কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় একই বিষয়ে একাধিকবার মিটিং আহ্বান করা হয় এবং একাধিকবার সম্মানী গ্রহণ করা হয় , যা আইন বা বিধির মধ্যে থেকেও করা হয়, কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনে তার কোন যুক্তি থাকে না। এর ফলে সরকারের অপ্রয়োজনীয় অর্থব্যয় হয় এবং কর্মঘণ্টারও অপচয় ঘটে। একদিকে অযথা মিটিং বাড়ছে, অন্যদিকে যারা প্রকৃত পরিশ্রম করেন তারা বঞ্চিত হচ্ছেন—এটি একটি দ্বৈত সমস্যা, যা প্রশাসনিক দক্ষতাকে ক্ষুণ্ণ করছে।
এই বৈষম্যমূলক সম্মানী নীতির ফলে নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের মধ্যে অনুপ্রেরণার অভাব তৈরি হয এবং তাদের শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। ফলে কর্মদক্ষতা কমে যায় এবং সামগ্রিকভাবে অফিস ব্যবস্থাপনা বিঘ্নিত হয়। একই সাথে, বারবার অপ্রয়োজনীয় মিটিং করার কারণে বরাদ্দ বাজেটের একটি বড় অংশ অপচয় হয়, যা অন্য উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা যেত।

Comments

    Please login to post comment. Login