ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিন বাঁশি
ফিলিস্তিনের গ্রামগুলো ধূলোমাখা। ঘরগুলো ভাঙাচোরা, রাস্তা ধ্বংসস্তূপে ভরা। বিদ্যুৎ নেই, পানি সীমিত। বাজার খালি, হাসপাতাল বন্ধ। মানুষ ক্ষুধার্ত, দারিদ্র্যগ্রস্ত। প্রতিটি সকাল আসে ভয় আর অনিশ্চয়তার সঙ্গে।
প্রতিটি দিন মানে বেঁচে থাকার লড়াই। মানুষ ঘুম থেকে ওঠে, জানে না আজকে বাঁচবে কি না। বিস্ফোরণ, বন্দুকের আওয়াজ, হামলার আতঙ্ক—এগুলো তাদের দৈনন্দিন বাস্তবতা। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অবরোধ—সব মিলিয়ে জীবন একটি অবিরাম যন্ত্রণার চক্র।
মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে সামান্য রুটি, পানি বা জ্বালানি খুঁজে পায়। কেউ পানির বোতল পায়, কেউ ত্রাণের সামান্য জিনিস। তারা ভাগাভাগি করে, একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। কেউ দারিদ্র্যজনিত অসুস্থতায় মারা যায়, কেউ বিস্ফোরণে হারায় প্রিয়জন। শোক আর ক্ষুধার্ত চোখ—এগুলো তাদের জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে।
বছর কেটে যায়। অবরোধের ধোঁয়া আরও ঘন হয়। মানুষ ক্লান্ত, চোখে হাহাকার, হৃদয়ে যন্ত্রণার চিহ্ন। তবু তারা একে অপরকে ধরে রাখে। ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে, বাঁশ-ঝোলা দিয়ে ছোট আশ্রয় বানায়।
মানুষ বুঝতে শুরু করে, একা একা তারা ঠিক রাখতে পারবে না। তারা ছোট ছোট অনুরোধ পাঠায়—দূরে থাকা আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রতিবেশী দেশকে। সাহায্য আসে—খাবার, পানি, ওষুধ। স্বেচ্ছাসেবকরা আসে গ্রামে, ধূলোমাখা রাস্তা পরিষ্কার করতে, ধ্বংসস্তূপ সরাতে।
ধীরে ধীরে রাস্তার ধুলো কমতে শুরু করে। মানুষ দেখতে পায়, বাজারে সামান্য খাবার এসেছে। হাসপাতাল খোলে, বিদ্যুৎ ফিরছে। তারা ধীরে ধীরে ঘরগুলো মেরামত করতে শুরু করে, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নতুন পথ বানায়।
এই সময়, ফিলিস্তিনবাসীর মধ্যে শক্তি ও সংহতি জন্মায়। তারা একত্রিত হয়, একে অপরকে সাহায্য করে, পরিকল্পনা করে, নিজের শহর, গ্রাম, জীবন রক্ষা করে। প্রতিটি অভিযান, প্রতিটি প্রতিবাদ, প্রতিটি ছোট উদ্যোগ—সব মিলিয়ে তারা ইসরাইলের অবরোধ ও শক্তিকে প্রতিহত করে।
মানুষ হারিয়েছে অনেক প্রিয়জন—বন্ধু, প্রতিবেশী, পরিবার। কিন্তু তারা বুঝতে পারে, বেঁচে থাকা, একে অপরকে সাহায্য করা, একত্রিত থাকা—এগুলোই শক্তি। তারা রাস্তা খালি করে, বাজার পুনর্গঠন করে, স্কুল খোলে, বিদ্যুৎ ও পানি ফিরিয়ে আনে। প্রতিটি ধাপে তাদের শক্তি, একতার শক্তি ইসরাইলের অত্যাচারকে ধীরে ধীরে ভেঙে দেয়।
ছোট ছোট সাহায্য, আন্তর্জাতিক ত্রাণ, স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় তারা ধীরে ধীরে জীবন ফিরিয়ে এনেছে। ধূলোমাখা রাস্তায় নতুন ধূলোর কমতি, বাজারে খাবার, বিদ্যুৎ, পানি—সবই তাদের ধীরে ধীরে শক্তি ও একতার প্রতিফলন।
সবশেষে এক কথায়: তারা একসাথে দাঁড়িয়ে ইসরাইলকে হারিয়ে দিল, এবং ধীরে ধীরে আলোর দিকে এগোল।
গল্পের শেষটুকু আমার মন মতো লেখা হয়েছে। এখানে শুধু বাস্তব চিত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এখানে কাউকে অপমান করা হয়নি।