চলতি বছর অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪৩২ পেয়েছেন ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও ভূপর্যটক মহুয়া রউফ। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার সম্মাননা।
‘দখিন দুয়ার খোলা’ এবং ‘লাতিনের নাটাই’ বই দুটির জন্য মহুয়া রউফ এই পুরস্কার পেলেন। পুরস্কার হিসেবে তানি পান ১ লাখ টাকা।
অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, ৩০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হচ্ছে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার। ১৯৯৪ সালে যখন এই পুরস্কার প্রথম দেওয়া হয়, তখন নারীদের জন্য একক কোনো সাহিত্য পুরস্কার ছিল না। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে শুধু নারীদের জন্য সাহিত্য পুরস্কারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
তিনি জানান, প্রথমবার ভ্রমণসাহিত্যকে সম্মাননা দিল অনন্যা। বাংলাদেশে নারী লেখকদের মধ্যে খুব কম ভ্রমণসাহিত্যিক পাওয়া যাবে। মহুয় রউফ ভ্রমণ বিষয়ে লেখালেখির মধ্যে নতুন আঙ্গিক এনেছেন।
এদিকে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মহুয়া রউফ বলেন, পৃথিবীর পথে পথে ভ্রমণ করতে গিয়ে লেখক হয়ে উঠেছি। দক্ষিণ এশিয়ার একজন নারীর এই বিশ্বমানবের মধ্যে অবস্থান কোথায়, সেটা বুঝতে চেয়েই ভ্রমণ নিয়ে লেখার শুরু হয়েছে। আমাদের এখন প্রতিটি বিভাজন হচ্ছে নারীকে কেন্দ্র করে। আমাদের রাষ্ট্রকাঠামোতে শক্তি পেলেই দানবীয় হয়ে উঠতে দেখা যায়। কিন্তু প্রকৃতির কাছে গেলে মানুষ জানে, দানবীয় শক্তি পেলেও কীভাবে শক্তিহীনের মতো বিনয়ী আচরণ করতে হয়।
উল্লেখ্য, সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৩ সাল (বাংলা ১৪০১ সন) থেকে নারী সাহিত্যিকদের অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।