আকাশ,রফিক ও নিরব ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। তারা তিনজন সবসময় একসাথেই থাকে। যদিও তিন জনের সভাব তিন রকম। আকাশ খুব মেধাবী। অপরদিকে নিরব তার বিপরীত। সে পড়াশোনা তো করেই না, সব সময় অকাজ করে বেড়ায়।আর রফিক খুব সান্ত ও ভিতু। সামনেই তাদের HSC। যদিও আকাশ বাদে বাকি দুজনের কাছে এটা কোন বিষয় নয়।
আগেই বলেছিলাম, নিরব সব সময় অকাজ করে বেড়ায়। তার মধ্যে একটি অকাজ হলো সে সময় এমন এমন জায়গায় যায় যেখানে মানু্ষ রাতে তো দুর দিনেও যেতে ভয় পায়। সে আবার তেমন একটা জায়গার সন্ধান পেয়েছে। এই বিষয়ে সে তার দুই বন্ধুর সাথে কথা বলছে।
নিরব: একটা খবর আছে।শুনবি?
আকাশ: কী খবর?
রফিক : না, তোর খবর মানেই তো আজব জায়গায় আমাদের নিয়ে যাবি।
নিরব: তুই চুপ কর! আমি বলছি।আমাদের এলাকার মসজিদের পিছনে একটা পুরানো বাড়ি আছে।
রফিক:এটা তো আমরা সবাই জানি।
নিরব: আরে পুরো কথাটা তো বলতে দে।
রফিক : ঠিক আছে,বল।
নিরব: আমি শুনেছি, ঔ বাড়িতে নাকি কেউ থাকে।
আকাশ: মানে! কেউ থাকলে আমরা দেখতে পেতাম না?
নিরব: আরে আমরা কীভাবে দেখবো। সেখানে তো মানুষ থাকে না।অন্য কিছু থাকে।
রফিক : আমি এখনই চলে যাবো, এসব আজব কথা বললে।
নিরব: আরে তুই রেগে গেলে কেমনে হবে।আমরো সবাই একসাথে কীভাবে যাবো।
রফিক : তুই কী আমাকে পাগল পেয়েছিস? আমি এসব জায়গায় কিচুতেই যাবো না।
আকাশ: আরে রফিক। তুই মাথা গরম করছিস কেন।ও বললেই কী আমাদের মেনে নিতে হবে? আমরা কীভাবে কেন ওর কথা মানবো। আমরা তো জানিই ও সবসময় এরকম গল্প করে।
নিরব: তোর মনে হয় আমি মিথ্যা কথা বলছি! এই কথা আমার নয় গ্রামের অনেকেই বলছে।
আকাশ: এভাবে তো আমি মানবো না। আমাকে প্রমান দিতে হবে।
নিরব: ঠিক আছে। তাহলে আজই চল।
রফিক : তোদের মাথা কী খারাপ হয়ে গেছে? আমরা কেন এত বছর ধরে বন্ধ পড়ে থাকা একটা বাড়িতে যাবো?
নিরব: না বলে কোন লাভ নেই।একবার যখন ঠিক করেছি যাবো। তাহলে যেতেই হবে।
রফিক : তাহলে তোরা যা। আমার কাজ আছে।
নিরব: জি না।তোকে তো ছাড়ছি না। তোকেও যেতে হবে।