রফিক : ঠিক আছে। আমি যাবো। কিন্তু একটা সর্ত আছে।
আাকাশ: কী সর্ত?
রফিক : আমি বাড়ির ভেতরে যাবো না। বাইরে দাড়িয়ে থাকবো।
নিরব: এটা কোন কথা! তাহলে তোর যাওয়ার দরকার নেই। ( রেগে গিয়ে)
আকাশ: তুই এত রেগে যাস কেন।আমি রফিককে রাজি করছি।"শোন রফিক আমরা সেই ছোট বেলা থেকে একসাথে আছি।তাই তোকে ছাড়া আমাদের কোথাও যেতে ভালো লাগে না।"
রফিক : ঠিক আছে,যাবো।
নিরব: তাহলে আজ রাতেই তোরা মসজিদ এর কাছে চলে আসিস।তারপর এশার নামাজ পড়ে যাবো।
রফিক: দিনে গেলে হয় না?
নিরব: না হয় না।দিনে মানুষ দেখলে আমাদের যেতে দেবে না।
আকাশ : তাহলে এখন সবাই বাড়ি যাই।রাতে দেখা হবে।
(দিন গড়িয়ে রাত হলো।এশার নামাজ এর সময় হয়ে গেল।রফিক, আকাশ ও নিরব তিনজনই হাজির।নামাজ শেষে তারা মসজিদের পিছনে যেতে লাগলো। পথে দেখা হলো গ্রামের বড় ভাই হোসেন এর সাথে)
হোসেন: কীরে! তোরা তিনজন মসজিদ এর পিছনে কেন যাছছিস?
নিরব: না হোসেন ভাই, তেমন কিছু না। এমনিই হাটতে যাই।
হোসেন: ঠিক আছে যা। তবে ঔ পুরোনো বাড়িটার দিকে ভুলেও যাস না। আজকাল শুনছি এ বাড়িতে নাকি কে হাটে আবার কথাও বলে।
( এগিলো শুনে রফিক রীতিমতো ঘামছে।আর কীরকম অস্থির অস্থির করছে)
হোসেন :" রফিক “। ”কী হয়েছে তোর এই শীতেও এরকম ঘামছিস কেন?"
( আকাশ আার নিরব কী বলে ধামাচাপা দেবে বুঝতে পারছে না।হঠাৎ আকাশ বলে ওঠে...)
আকাশ: ওর আসলে মাঝে মাঝেই এরকম হয়।সামনে HSC না, এই চিন্তায়।
হোসেন : আরে বোকা এতো চিন্তার কী আছে। পড়ালেখা ছাড়াও জীবন চলে।আমাকে দেখছিস না। আমি 5 পাস হয়েও লাখ লাখ টাকা কামাই।
নিরব: আমরা তাহলে এখন যাই, বড় ভাই?
হোসেন : ঠিক আছে, যা।
( হোসেন যদিও ওদের সামনে কিছু বুঝতে দেয় নি।কিন্তু কিছু একটা সন্দেহ করছে)