Posts

ফিকশন

নীলকুঠি (পর্ব-৪)

November 24, 2025

Marjahan begum

Original Author সানজিদা

25
View

( রফিক অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় আকাশ ও নিরব খুব ভয় পেয়ে গেল।তারপর দুজন মিলে অনেক কষ্ট করে বাইরে নিয়ে এলো।তারপর পুকুর থেকে পানি নিয়ে রফিকের চোখে মুখে দিলো। ২,৩ মিনিট পর রফিকের হুশ এলো।)

রফিক : আমরা এখানে কেন? আমরা তো বাড়ির ভেতরে ছিলাম।

আকাশ: তুই জ্ঞান হারিয়েছিলি, তার পর তোকে আমরা টেনেটুনে এখানে নিয়ে এলাম। 

রফিক : (নিরবকে উদ্দেশ্য করে) সব কিছু তোর জন্য হয়েছে। আমি আসতে চাইনি। আমাকে জোর করে এনেছিস! আজ যদি আমাদের কিছু হয়ে যেত ; কেউ আমাদের এখানে খুঁজতেও আসতো না এখানে।

নিরব: হয়েছে। আমাকে আর দোষারোপ করে কাজ নেই।চল বাড়ি চলে যাই।

( সবাই নিজেদের বাড়ি চলে গেল।দৃশ্যপট পরদিন সকালে তাদের কলেজে।) 

আকাশ: কালকে আল্লাহ বাচাইছে। নাহলে আমাদের কী অবস্থা হতে কে জানে!

নিরব: তোরা একটু বেশিই ভয় পাস। কালকে ভয় পাওয়ার মতো তেমন কিছুই হয় নি।

আকাশ: ও আচ্ছা! শুধু আমরা ভয় পেয়ছি।তুই পাসনি?

নিরব: এরকম অন্ধকার পরিবেশে গেলে সবারই হালকা ভয় লাগে।কিন্তু তোরা তো এমন ভয় পেয়েছিলি যেন ভুত দেখেছিস।

আকাশ : কিরে রফিক, তুই কোন কথা বলছিস না কেন?

রফিক : আমার এই বিষয়ে কথা বলার কোন আগ্রহ নেই।অন্য কোন কথা থাকলে তাড়াতাড়ি বল,আমি ক্লাসে যাচ্ছি। 

(রফিক ক্লাসে চলে গেল) 

আকাশ: চল,আমরাও  ক্লাসে যাই। 

নিরব : শোন,আরেকটা কথা ছিল। 

আকাশ : বল।

নিরব : আমি ভাবছি আজ রাতে আবার যাবো নীলকুঠিতে।

আকাশ : তুই কি সাইকো! নাকি তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে! একবারে শিক্ষা হয় নি। 

নিরব : আরে,রেগে যাচ্ছিস কেন। পুরো কথা বলতে দে।আমার মনে হয় ঔ বাড়িতে কোন গুপ্তধন আছে।কেউ হয়তো সেটা পাহরা দেয়।আর কালকে আমাদের তাড়ানোর জন্য ভয় দেখিয়েছে। 

আকাশ: আমি এতো কথা বুঝতে চাইনা।তোর যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে যা। আমি আর ঔ বাড়িতে যাব না।

নিরব: ভেবে দেখ।গুপ্তধন পেলে অর্ধেক তোর। 

আকাশ : এসব বলে আমাকে রাজি করাতে পারবি না।

নিরব: ঠিক আছে আমি একাই যাবো।

( রাত বাজে ৯ টা।নিরব একাই নীলকুঠিতে গেল।সে ভেতরে ঢুকে আলো আসা রুমটার দিকে যেতে শুরু করে। হঠাৎ কে যেন তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলো।নিরব তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।)

Comments

    Please login to post comment. Login

  • Marjahan begum 1 week ago

    ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। আমি খুব অলস তাই পর্বগুলো বেশি বড় হয় না।