( রফিক অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় আকাশ ও নিরব খুব ভয় পেয়ে গেল।তারপর দুজন মিলে অনেক কষ্ট করে বাইরে নিয়ে এলো।তারপর পুকুর থেকে পানি নিয়ে রফিকের চোখে মুখে দিলো। ২,৩ মিনিট পর রফিকের হুশ এলো।)
রফিক : আমরা এখানে কেন? আমরা তো বাড়ির ভেতরে ছিলাম।
আকাশ: তুই জ্ঞান হারিয়েছিলি, তার পর তোকে আমরা টেনেটুনে এখানে নিয়ে এলাম।
রফিক : (নিরবকে উদ্দেশ্য করে) সব কিছু তোর জন্য হয়েছে। আমি আসতে চাইনি। আমাকে জোর করে এনেছিস! আজ যদি আমাদের কিছু হয়ে যেত ; কেউ আমাদের এখানে খুঁজতেও আসতো না এখানে।
নিরব: হয়েছে। আমাকে আর দোষারোপ করে কাজ নেই।চল বাড়ি চলে যাই।
( সবাই নিজেদের বাড়ি চলে গেল।দৃশ্যপট পরদিন সকালে তাদের কলেজে।)
আকাশ: কালকে আল্লাহ বাচাইছে। নাহলে আমাদের কী অবস্থা হতে কে জানে!
নিরব: তোরা একটু বেশিই ভয় পাস। কালকে ভয় পাওয়ার মতো তেমন কিছুই হয় নি।
আকাশ: ও আচ্ছা! শুধু আমরা ভয় পেয়ছি।তুই পাসনি?
নিরব: এরকম অন্ধকার পরিবেশে গেলে সবারই হালকা ভয় লাগে।কিন্তু তোরা তো এমন ভয় পেয়েছিলি যেন ভুত দেখেছিস।
আকাশ : কিরে রফিক, তুই কোন কথা বলছিস না কেন?
রফিক : আমার এই বিষয়ে কথা বলার কোন আগ্রহ নেই।অন্য কোন কথা থাকলে তাড়াতাড়ি বল,আমি ক্লাসে যাচ্ছি।
(রফিক ক্লাসে চলে গেল)
আকাশ: চল,আমরাও ক্লাসে যাই।
নিরব : শোন,আরেকটা কথা ছিল।
আকাশ : বল।
নিরব : আমি ভাবছি আজ রাতে আবার যাবো নীলকুঠিতে।
আকাশ : তুই কি সাইকো! নাকি তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে! একবারে শিক্ষা হয় নি।
নিরব : আরে,রেগে যাচ্ছিস কেন। পুরো কথা বলতে দে।আমার মনে হয় ঔ বাড়িতে কোন গুপ্তধন আছে।কেউ হয়তো সেটা পাহরা দেয়।আর কালকে আমাদের তাড়ানোর জন্য ভয় দেখিয়েছে।
আকাশ: আমি এতো কথা বুঝতে চাইনা।তোর যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে যা। আমি আর ঔ বাড়িতে যাব না।
নিরব: ভেবে দেখ।গুপ্তধন পেলে অর্ধেক তোর।
আকাশ : এসব বলে আমাকে রাজি করাতে পারবি না।
নিরব: ঠিক আছে আমি একাই যাবো।
( রাত বাজে ৯ টা।নিরব একাই নীলকুঠিতে গেল।সে ভেতরে ঢুকে আলো আসা রুমটার দিকে যেতে শুরু করে। হঠাৎ কে যেন তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলো।নিরব তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।)