তুমি অগ্রহায়ণের চন্দ্রমল্লিকা।
কতো বুনোফুল তোমার সঙ্গী হয়ে ফোটে।
বৃষ্টি হীন ঋতুতে তুমি জন্মাও রঙ -
কুয়াশার মতো মানস পরিধানে।
যেন নোনাজল মাখা শ্যামল কাঁঠালপাতায় -
দু’ফোটা টুপটাপ শিশিরের ছোঁয়া।
তুমি জ্যোৎস্না নও, তুমি স্নিগ্ধ ছায়া -
যেন রাত্রির বুক ছিঁড়ে চাঁদ ওঠার অধিরা।
তুমি কাদামাটির ঘ্রাণে ভেজা
বউ কথা কও'র ডানায় সোনালী নাম।
তোমার সুরভী যেন খেজুরগুড়ের সুবাস মাখা ঘ্রান।
তুমি যেন রাত্রির গভীরে চলা -
মায়ার মতো আধো আলোয় কেউ,
তুমি ভোরের হাওয়ায় ভাসানো নীল রঙের ঢেউ।
তুমি দোয়েল, শালিকের সুরেলা নিবিড় ডাক
তুমি কহু-কেকা ভরা মিষ্টি রাগের ঐকতান।
তুমি মাঠের দোলায় ধানফোটা গান,
কুঁড়ির মতন সহজসরল অথচ গভীর প্রাণ।
মানচিত্রহীন নদীর মতো নিস্তব্ধতা পূর্ণতায়,
চুপচাপ বয়ে চলো একান্ত নিজস্ব গভীরতায়।