বৃষ্টির গল্প
রিমঝিম বৃষ্টি পড়ছে। ছোট্ট শহরের এক কোণে, ধুলোয় ভেজা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে অনি। তার চুল ভেজা, গালে বৃষ্টির ফোঁটা। সে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটা ধরার চেষ্টা করছে, আর মনে মনে হাসছে। বাতাসে ভিজে থাকা মাটির ঘ্রাণ, বৃষ্টির শব্দ—সবই যেন তার মনকে শান্তি দিচ্ছে।
রাস্তার পাশের এক ছায়াময় গাছের তলায় অনি একটি ছোট্ট কুকুর দেখে। কুকুরটি ছাতা ছাড়া, ভিজে দাঁড়িয়ে আছে। অনি ছুটে যায় এবং কুকুরটিকে আলতো করে টেনে নেয়। কুকুরটি তার দিকে তাকিয়ে হেঁটতে থাকে, আর অনি খুশিতে লাফায়। তারা দুজন একসাথে বৃষ্টির মধ্যে নাচতে শুরু করে।
বৃষ্টি তাদের শুধু ভিজিয়ে দেয়নি, বরং এক অদ্ভুত বন্ধুত্বও গড়ে তুলেছে। অনি ভাবছে—কত সুন্দর মুহূর্ত বৃষ্টির সঙ্গে কাটানো। রাস্তার ধারে puddle-এর মধ্যে তারা কুৎসিত কুৎসিত লাফ দিয়ে খেলছে। চারপাশে শিশুরা ছাতা নিয়ে দৌড়াচ্ছে, বাতাসে ভিজে থাকা ফুলগুলো যেন তাদের আনন্দে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি থেমে যায়। আকাশের পাশে রঙিন রংয়ের ইন্দ্রধনু ফুটেছে। অনি ও কুকুরটি একসাথে ইন্দ্রধনুর দিকে তাকিয়ে থাকে। অনি মনে মনে ঠিক করে—এই ছোট্ট মুহূর্তগুলোই জীবনের সবচেয়ে বড় সুখ।
মেয়েটির মন ভরে যায় বৃষ্টির মধুর স্মৃতি দিয়ে। সে জানে, কখনও কখনও সবচেয়ে সাধারণ দিনগুলোই সবচেয়ে আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। বৃষ্টি শুধু ভেজায় না, মানুষকে শেখায় জীবনের ছোট ছোট খুশি খুঁজে বের করতে।