মায়াবন বিহারিনী হরিণী। আচ্ছা বলুন তো এই মা বোনটা কোথায় আর হরিণীর খোঁজ ই বা পাবো আমরা কোত্থেকে?
একটা সাদা শাড়ি পড়েছে আজকে মালঞ্চ। চোখে মোটা করে কাজল আঁকলো। পাশের বাসার বুয়া মন নিয়ে এসে বলল,"আফা, পাশের বাসার কাকা মরি গেসে। কাকি কান্নাকাটি কইরা বাড়ি মাথায় করতিসে।দেখতে যাইবেন না? "
মালঞ্চর মুখ ভাবলেশহীন।যেন সে আগে থেকে এটা জানতো!!! মানুষে কিছু না বলে তার ডাবর চোখে ধীরে সুস্থে কাজল দেয়। কাজল দেওয়া শেষ করে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে দেখে মানুষ জন হয়ে রয়েছে তাদের বাসার সামনে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো সে। কাজল দিয়ে মাল্যকে ঠিক সাদা হরিণীর মত লাগছে যেন। কাকাবাবু কে দেখতে গেল সে। কাকাবাবু কাপড় ঢাকা লাস্টে দেখেছি মনে মনে হাসবার বলল,"এই পৃথিবীতে মানুষ ভুলে যায় কিভাবে যে যেমন কর্ম তেমন ফল বলে একটা কথা আছে।কারমা!!!"
কাকুর বাসা থেকে বের হয়ে মালঞ্চ দেখাও তার মায়ের পূরণ বন্ধু শারমিন খালামণির সাথে। মুক্ত চোখের দিকে তাকাতেই মালঞ্চর মনটা খারাপ হয়ে গেল। মা মারা যাওয়ার পর শারমিন খালামণি তোকে কত আদর করতো। প্রত্যেক জন্মদিনে তাকে কেক বানিয়ে খাওয়াতো। শুরু করেছে মালঞ্চর।কাল রাত থেকে ৮ঃ০০ টার সময় আন্টি মারা যাবেন একটা রোড এক্সিডেন্টে।
তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হয়ে মালঞ্চ। সে জানে কিছুই করতে পারবে না তা শারমিন খালামণিকে বাঁচাতে, এটা জানার পরও খালামনির মৃত্যুক্ষণ। সবকিছু তার হাতের বাইরে। প্রকৃতি তাকে ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় দিলেও প্রকৃতির নিয়ম বদলানোর অধিকার দেয়নি। প্রকৃতির নিয়মকে বদলালে তাকে দিতে হবে চরম মূল্য।
চরম হতাশ হয়ে বাড়ি থেকে বের হয় মালঞ্চ। বাড়িটা তার বাবারই। গেটে লেখা "মায়াবন"।