নিরব এর জ্ঞান ফিরতেই রফিক আর আকাশ কে দেখতে পায়।এবং ধীরে ধীরে বুঝতে পারে যে সে আকাশদের বাড়িতে।নিরব কিছুই বুঝতে পারছে না কী ঘটছে তার সাথে।.....
নিরব :আমি এখানে কেন?কীভাবে এখানে এলাম?
আকাশ:তুই নীলকুঠির সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলি।আমরা অনেক কষ্টে তোকে আমার বাড়ি নিয়ে এলাম।
নিরব :কিন্তু তোরা সেখানে কেন গিয়েছিলি?
আকাশ :তুই আমাদের যখন ঔ বাড়িতে যেতে বললি,তখন আমরা রাজি হই নি।কিন্তু পরে মনে হলো তোকে একলা ছাড়াটা আমাদের ঠিক হয় নি।তাই আমি আর রফিক ঠিক করি আমরাও যাবো। কিন্তু তুই তো অনেক আগেই চলে গিয়েছিলি।তারপর আমরা গিয়ে দেখি তুই এভাবে পড়ে আছিস।
রফিক :কিন্তু তুই কীভাবে জ্ঞান হারালি?
নিরব:পিছন থেকে কে যেন আমার মাথায় আঘাত করলো। আর আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম।
রফিক :আমি নিশ্চিত, তোর মাথায় অশরিরি কিছু আঘাত করেছে। তারপর তোকে বাইরে রেখে গেছে।
নিরব:না,আমরা এতদিন যেরকম ভেবেছিলাম সেরকম কিছুই নয়।আমি নিশ্চিত আমাকে কোন মানুষই আঘাত করেছে।
আকাশ :তোর মতো আর কারো মাথা খারাপ হয় নি যে রাতের বেলা ঔ বাড়িতে যাবে।
নিরব :সময়ই বলে দেবে,আমি সত্যি বলছি না মিথ্যা বলছি।
আকাশ :আচ্ছা, দেখা যাবে।এখন তুই বিশ্রাম কর। আমি আন্টিকে ফোন করে দিচ্ছি তুই আজ রাত এখানে থাকবি।
নিরব:ঠিক আছে।
পরদিন সকাল বেলা। নিরব নিজের বাড়ি যাচ্ছে।পথে দেখা হলো এলাকার মুরুব্বী মোখলেস চাচার সাথে।নিরব তাকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করছে....
নিরব :চাচা ভালো আছেন তো?
মোখলেস :আর ভালা!আমার পোলাডার জালায় অতিষ্ট হয়ে গেছি।
নিরব:কেন?মানিক ভাই আবার কী করলো?
মোখলেস :আরে আমার ভালা পোলাডার কী যানি হইলো!সারাটাদিন নেশা করে।নেশার টাকা না দিলে বাড়িতে অশান্তি করে ভাংচুর করে।
নিরব :কী বল চাচা!মানিক ভাইয়ের মতো এত ভালো ছেলে এসব করে!
মোখলেস :আমার পোলাডা কত ভালা আছিল।ওর বন্ধুগুলাই এসব শিখাইছে।
নিরব :কিন্তু ওরা এসব মাদকদ্রব্য কোথায় পায়?আমার জানামতে আমাদের গ্রামে এমনকি আশপাশের কোন গ্রামেই এসব জিনিস পাওয়া যায় না।
(এরই মধ্যে হোসেন ভাই চলে এলো।)
হোসেন :কীরে নিরব চাচার সাথে কী বিষয়ে কথা বলছিস?
নিরব:মানিক ভাই নাকি নেশা করে। সেই ব্যাপারেই চাচা আমায় বলছিলো।
হোসেন :তাই নাকি।কিন্তু ও এসব কোথায় পেলো?আমাদের গ্রামে বা আশপাশের গ্রামে তো এসব পাওয়া যায় না।
নিরব :পাওয়া যায় না সেটা আমরা বলেছি, হতেই তো পারে কেউ গোপনে মাদকদ্রব্য বিক্রি করে।
হোসেন :আরে না না।আমার তেমন কিছু মনে হয় না। তুই একটু বেশিই ভাবছিস।
নিরব:কী জানি হতেও পারে। আচ্ছা এখন আমি যাই।
(নিরব কিছু একটা ভাবতে ভাবতে চলে গেলো।)