গল্প: “ফ্যাক্টরি নাম্বার ১৩-এর গোপন দরজা”
রাফি সবসময় শুনত—তাদের শহরের বাইরে পুরনো একটি ফ্যাক্টরি আছে, যেটাকে সবাই বলে “ফিকশন ফ্যাক্টরি”। কথায় আছে, ওখানে নাকি গল্পগুলো সত্যি হয়ে ওঠে।
একদিন বিকেলে, রাফি তার ক্যামেরা নিয়ে ওই ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছে গেল। লোহার গেটটা আধখোলা। ভেতরে ঢুকতেই সে দেখল পুরনো যন্ত্রপাতির মাঝে একটি ছোট নীল আলো জ্বলছে।
আলোটি কাছে গিয়ে দেখতেই রাফি অবাক!
ওটা ছিল একটি ফ্লোটিং বুক—আকাশে ভাসছে, নিজে নিজে পাতা উল্টাচ্ছে।
বইটি হঠাৎ থেমে গিয়ে বলল,
“একটি গল্প বেছে নাও… আর তুমি সেই গল্পের নায়ক হয়ে যাবে।”
রাফি ভয় পেলেও কৌতূহল সামলাতে পারল না।
সে হাত বাড়াতেই চারপাশে বাতাস ঘুরতে লাগল—যেন একঝটকা ঝড়।
হঠাৎ সব থেমে গেল। চোখ খুলতেই রাফি নিজেকে দেখল সম্পূর্ণ অন্য জগতে—
রঙিন আকাশ, ভাসমান দ্বীপ, আর গাছে গাছে ঝুলে থাকা আলোছায়া প্রাণী।
বইটি আবার হাজির হয়ে বলল,
“এটাই তোমার গল্পের জগৎ। কিন্তু সাবধান—যদি শেষ করতে না পারো, তাহলে গল্প কখনো শেষ হবে না!”
এবার রাফির অ্যাডভেঞ্চার শুরু—
একদিকে রহস্যময় প্রাণীদের ধাঁধা,
অন্যদিকে ভেঙে পড়া ভাসমান দ্বীপকে বাঁচানোর মিশন।
শেষে রাফি বুঝতে পারে—
গল্প জেতার আসল শক্তি কোনো জাদু নয়, বরং সাহস আর বুদ্ধি।
সে ধাঁধাগুলো সমাধান করে মূল জাদুকোডটা খুঁজে বের করে।
হঠাৎ আশেপাশে আলো ফেটে ওঠে—
আর রাফি আবার ফিরে আসে পুরনো ফ্যাক্টরিতে, নীল আলোর সামনে।
বইটি ধীরে বলে,
“তুমি তোমার গল্প শেষ করেছো। এবার পরের নায়কের অপেক্ষা।”
রাফি হাসল—
কারণ সে বুঝে গিয়েছে,
প্রতিটি গল্পই লুকিয়ে থাকে সাহসী কারও অপেক্ষায়।