যখন ছোট ছিলাম তখন সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পাওয়া লেখকদের খুব বড় বলে মনে হতো। তাদের মান খুব উঁচু ধরে রেখেছিলাম। এই উপাধিতে ভূষিত যারা আছেন তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম রবীন্দ্রনাথের সাথে আমার পরিচয় ঘটে তাই নিজের ধারণাটি অটুট ছিল। বাল্যে তো আর নোবেল এর রাজনীতি বুঝতাম না।
বড় হওয়ার পথে নানা নোবেলজয়ী সাহিত্যিকের লেখার সাথে পরিচয় হয়েছে। কমপক্ষে পনেরোজন তো হবেই। এদের অনেকেই ভালো লেখক, বড় লেখক। যেমন: মার্কেজ। আবার, অনেকের লেখাকে জুতের লাগেনি। নোবেল বলতে যে মান আমি বুঝতাম ছোটবেলায়, তার সাথে এদের লেখার বিস্তর ফারাক। যেমন: হান কাং।
তবে, যখনই আমি ওরহান পামুকের লেখা পড়তে বসি তখনই মনে হয়, এই লেখাই তো নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য। এটাই তো নোবেলের মান।
আমার নাম লাল বা শ্বেত প্রাসাদ পড়ার মুহূর্তে আমার অনুভূতি এমনই ছিল। আবার, যখন পামুকের স্মৃতিকথা ইস্তাম্বুল পড়তে বসি তখনই এই কথাই মনে হয়।