একটা ছোট্ট গ্রাম ছিল নাম সোনাঝরা। সেখানে থাকত এক ছেলে—নাম অরিন। অরিন ছিল অন্য সবার মতোই সাধারণ, কিন্তু তার হৃদয়ের ভেতরে একটা নীরব জ্বালা ছিল—সে কিছু একটা করে দেখাতে চায়, কিন্তু ঠিক কীভাবে করবে তা সে বুঝে উঠতে পারত না।
একদিন সন্ধ্যায়, অরিন মাঠের ধারে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎ সে দেখল—একটি ছোট্ট নক্ষত্র যেন অদ্ভুতভাবে জ্বলে উঠল। নক্ষত্রটি যেন তাকে চোখ টিপে ইশারা করল!
অরিন চমকে উঠল।
পরদিন সে গ্রাম-বয়সী দাদু তীর্থদার কাছে গেল।
— “দাদু, আকাশের ওই ছোট নক্ষত্রটা যেন আমাকে কিছু বলতে চেয়েছিল…”
তীর্থদা মুচকি হেসে বললেন,
— “যারা নিজের স্বপ্নকে সত্যি করতে চায়, আকাশ তাদের সঙ্গেই থাকে। নক্ষত্রটা তোমাকে সাহস দিচ্ছে।”
অরিন সেই রাত থেকে নিজের মনের ভয় দূর করে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করল—
• পড়াশোনায় মন দিল
• গ্রামের ছোটদের পড়াতে লাগল
• বন্ধুদের নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দল বানাল
• নিজের ছোট স্বপ্নগুলো প্রতিদিন একটু করে এগিয়ে নিতে লাগল
ধীরে ধীরে গ্রামের সবাই অরিনকে চিনতে শুরু করল। তাদের মনে হলো—এই ছেলেটা খুব সাধারণ হলেও ওর ভেতরে আলো আছে।
একদিন রাতে, যখন অরিন আকাশের দিকে তাকাল, দেখল সেই নক্ষত্রটা আবার ঝলসে উঠল। যেন বলছে—
“দেখো, তুমি পেরেছ।”
অরিন হাসল। সে বুঝল—
বড় হতে হলে বড় কিছু লাগেনা। দরকার শুধু নিজের ভেতরের আলোটা খুঁজে বের করা।