❤️ গল্প: “হঠাৎ দেখা, হঠাৎ প্রেম”
বৃষ্টি থেমে গেছে তখনই। কলেজ ছুটির পর ভেজা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল অনিক। হঠাৎই সামনে থেকে ছুটে আসা এক মেয়ে ধাক্কা খেল তার সাথে।
মেয়েটার চোখে ভয়, হাতে ছাতা, আর কাঁধের ব্যাগ থেকে কয়েকটা কাগজ উড়ে গিয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো।
অনিক তাড়াতাড়ি কাগজগুলো তুলে দিল।
মেয়েটা হালকা হেসে বলল,
— “Thanks… আসলে আমি একটু তাড়ায় ছিলাম।”
অনিক বলল,
— “কোন সমস্যা নেই… তবে এতটা তাড়া কেন?”
মেয়েটা বলল,
— “আজ আমার প্রথম গানের ক্লাস… দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর তুমি?”
অনিক হেসে বলল,
— “আমি আজ প্রথমবার কাউকে রাস্তায় ধাক্কা খেলাম… সেটা-ই শিখছি。”
মেয়েটা হেসে উঠলো।
এই হাসিটাই অনিকের মাথায় ঘুরতে থাকলো।
মেয়েটার নাম ছিল নাইলা।
সেদিনের পর থেকে প্রায়ই দেখা হতে লাগলো—কখনো কলেজের সামনে, কখনো অজান্তে একই রাস্তায়।
দু’জনেই বুঝতে পারছিল, কিছু একটা আলাদা… কিন্তু কেউই বলতে পারছিল না।
একদিন বিকেলে, লেকের ধারে নাইলা বসে ছিল। অনিক হালকা ভয়ে ভয়ে গেল।
অনিক বলল,
— “তোমাকে একটা কথা বলবো? না বললে রাতে ঘুম হবে না।”
নাইলা হেসে বলল,
— “বলুন, শুনছি।”
অনিক থেমে থেমে বলল,
— “সেদিন রাস্তায় শুধু কাগজ না… আমি আরেকটা জিনিস কুড়িয়েছিলাম… তোমার হাসিটা।”
নাইলা কিছুক্ষণ চুপ, তারপর বলল,
— “তাহলে সেটা রেখে দাও… কারণ আমিও প্রতিদিন একটা জিনিস খুঁজি… তোমার অপেক্ষার চোখটা।”
দু’জনেই হাসলো।
লেকের বাতাসটা তখন আরেকটু নরম হয়ে এলো।